শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির সঙ্গে তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo নোবিপ্রবিতে গবেষণা, বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষণ Logo রাবি ময়মনসিংহ জেলা সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা Logo “কণিকা”সংগঠনের সচেতনতা সেমিনার ও কুইজ এমইএস কলেজে অনুষ্ঠিত Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী

প্রধান উপদেষ্টা ও সেনাপ্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে পোস্ট সোহেল তাজের

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:৫২:০৭ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট ২০২৪
  • ৭৯০ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও স্বাধীনতা সংগ্রামের শীর্ষ নেতা তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সোহেল তাজকে গোপনে নজরদারিতে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেছেন।

বুধবার (২৮ আগস্ট) রাতে এ অভিযোগ করে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পোস্ট দেন তিনি।

সোহেল তাজ অভিযোগ করেন, এক ব্যক্তি সংসদ ভবন এলাকা থেকে তাকে অনুসরণ করে ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত চলে আসেন। এরপর সোহেল তাজকে গাড়ি থামাতে বাধ্য করেন। কিছুক্ষণ পর আবার রহস্যজনকভাবে চলেও যান।

এ ঘটনায় সোহেল তাজ বেশ ক্ষুব্ধ ও আতঙ্কিত। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং সেনাবাহিনীর প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। সোহেল তাজের ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো:

দৃষ্টি আকর্ষণ: প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, সেনাবাহিনীর প্রধান
আজকে রাতে কাজ থেকে ফেরার সময় একটি খুবই আতঙ্কজনক ও রহস্যজনক ঘটনার শিকার হই। একজন মোটরসাইকেল আরোহী আমাকে সংসদ ভবন থেকে ফলো করে ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে চলে আসে এবং একটা সময় তার বুকে লাল-নীল বাতি জ্বালিয়ে আমাকে থামতে বলে। আমি থামার পর তার পরিচয় জানতে চাই এবং আমাকে কেন থামতে বললেন তা তাকে জিজ্ঞেস করি।

প্রতিউত্তরে সে আমাকে বলে যে তাদের লোক আসছে আর আমার তাদের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আমি আবার তার পরিচয় জানতে চাইলাম এবং তাকে জিজ্ঞেস করলাম তিনি কি আমাকে চিনতে পেরেছেন কিনা। জবাবে সে আমাকে বললো আমি আপনাকে চিনি- আপনি সোহেল তাজ। তারপর সে মোবাইল ফোনে বললো যে সে আমাকে থামিয়েছে এবং লোকেশন জানিয়ে আসতে বললো। আমি আবার তার পরিচয় জানতে চাইলাম এবং কারা আসছে আর কেন আমাকে থামিয়েছে জানতে চাইলাম। সে কোনো উত্তর না দিয়ে আবার ফোনে কথা বললো তারপর আমাকে বললো চলে যেতে আর সেও মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে চলে গেল।

তার কথা বলার ধরন এবং আচরণে আমি একেবারে কনফিডেন্ট সে কোনো গোয়েন্দা সংস্থার লোক। এই ভাবে মানুষকে যাতে হয়রানি না করা হয় সেটাই ছিল আমাদের সবার প্রত্যাশা- এখন দেখা যাচ্ছে একই কায়দায় সব চলছে- ছি ছি।

বি: দ্রষ্টব্য: এই ঘটনার তদন্ত করা প্রয়োজন এবং ক্যান্টনমেন্টের জাহাঙ্গীর গেটের প্রবেশ পথের হাই রেজুলেশন  ক্লোসড সার্কিট ক্যামেরার (CCTV) ফুটেজ দেখলেই ধরা পড়বে কে এই মোটরসাইকেল আরোহী- সময় রাত ১০:৫০ মিনিট থেকে ১১:০০- আমার গাড়ি এই সময়ের মধ্যে প্রবেশ করে এবং পেছনেই এই মোটরসাইকেল আরোহী ছিল।

প্রসঙ্গত, সোহেল তাজ ২০০১ সালের নির্বাচনে গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৮ সালে একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয় সোহেল তাজকে। একই বছরের ৩১ মে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রধান উপদেষ্টা ও সেনাপ্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে পোস্ট সোহেল তাজের

আপডেট সময় : ০৮:৫২:০৭ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট ২০২৪

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও স্বাধীনতা সংগ্রামের শীর্ষ নেতা তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সোহেল তাজকে গোপনে নজরদারিতে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেছেন।

বুধবার (২৮ আগস্ট) রাতে এ অভিযোগ করে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পোস্ট দেন তিনি।

সোহেল তাজ অভিযোগ করেন, এক ব্যক্তি সংসদ ভবন এলাকা থেকে তাকে অনুসরণ করে ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত চলে আসেন। এরপর সোহেল তাজকে গাড়ি থামাতে বাধ্য করেন। কিছুক্ষণ পর আবার রহস্যজনকভাবে চলেও যান।

এ ঘটনায় সোহেল তাজ বেশ ক্ষুব্ধ ও আতঙ্কিত। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং সেনাবাহিনীর প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। সোহেল তাজের ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো:

দৃষ্টি আকর্ষণ: প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, সেনাবাহিনীর প্রধান
আজকে রাতে কাজ থেকে ফেরার সময় একটি খুবই আতঙ্কজনক ও রহস্যজনক ঘটনার শিকার হই। একজন মোটরসাইকেল আরোহী আমাকে সংসদ ভবন থেকে ফলো করে ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে চলে আসে এবং একটা সময় তার বুকে লাল-নীল বাতি জ্বালিয়ে আমাকে থামতে বলে। আমি থামার পর তার পরিচয় জানতে চাই এবং আমাকে কেন থামতে বললেন তা তাকে জিজ্ঞেস করি।

প্রতিউত্তরে সে আমাকে বলে যে তাদের লোক আসছে আর আমার তাদের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আমি আবার তার পরিচয় জানতে চাইলাম এবং তাকে জিজ্ঞেস করলাম তিনি কি আমাকে চিনতে পেরেছেন কিনা। জবাবে সে আমাকে বললো আমি আপনাকে চিনি- আপনি সোহেল তাজ। তারপর সে মোবাইল ফোনে বললো যে সে আমাকে থামিয়েছে এবং লোকেশন জানিয়ে আসতে বললো। আমি আবার তার পরিচয় জানতে চাইলাম এবং কারা আসছে আর কেন আমাকে থামিয়েছে জানতে চাইলাম। সে কোনো উত্তর না দিয়ে আবার ফোনে কথা বললো তারপর আমাকে বললো চলে যেতে আর সেও মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে চলে গেল।

তার কথা বলার ধরন এবং আচরণে আমি একেবারে কনফিডেন্ট সে কোনো গোয়েন্দা সংস্থার লোক। এই ভাবে মানুষকে যাতে হয়রানি না করা হয় সেটাই ছিল আমাদের সবার প্রত্যাশা- এখন দেখা যাচ্ছে একই কায়দায় সব চলছে- ছি ছি।

বি: দ্রষ্টব্য: এই ঘটনার তদন্ত করা প্রয়োজন এবং ক্যান্টনমেন্টের জাহাঙ্গীর গেটের প্রবেশ পথের হাই রেজুলেশন  ক্লোসড সার্কিট ক্যামেরার (CCTV) ফুটেজ দেখলেই ধরা পড়বে কে এই মোটরসাইকেল আরোহী- সময় রাত ১০:৫০ মিনিট থেকে ১১:০০- আমার গাড়ি এই সময়ের মধ্যে প্রবেশ করে এবং পেছনেই এই মোটরসাইকেল আরোহী ছিল।

প্রসঙ্গত, সোহেল তাজ ২০০১ সালের নির্বাচনে গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৮ সালে একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয় সোহেল তাজকে। একই বছরের ৩১ মে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।