নিউজ ডেস্ক:
ফিল্মপাড়ার জন্য যে ধরনের বডি ল্যাংগুয়েজ প্রয়োজন, প্রয়োজন যে ধরনের আবেদন তার সবই রয়েছে। গত বছর একই সঙ্গে দুটি ছবি মুক্তি পায় এই লাস্যময়ীর। সেই সময় রুপালি জগতের যে বীজ বপন করেছিলেন সেটাই এখন অঙ্কুর মাড়িয়ে ডালপালা ছড়াচ্ছে। বলছি বুবলীর কথা। বর্তমানে শাহাদাত হোসেন লিটনের ‘অহংকার’ ছবি নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন তিনি।
ব্যস্ততার এই কম্পন মাত্রা কতদূর ত্বরান্বিত হচ্ছে তা জানতে চাইলে বুবলী বলেন, “এককথায় চমৎকার। তার আগে একটু বলে রাখি, সম্প্রতি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য হলাম। তাই মনটাও ফুরফুরে। সেই সঙ্গে অহঙ্কারের কাজও প্রায় ৮০% সম্পন্ন। বাকি রয়েছে কয়েকটি সিকোয়েন্স ও দুটি গান। এ ছবিটি শেষ হলেই নতুন ব্যস্ততায় মেতে উঠব।
সমিতির সদস্য হলেন তাহলে তো দায়বদ্ধতা আরও বেড়ে গেল কি বলেন? “হা… হা… হা… দেখুন, সদস্য হওয়ার আগেও দায়বদ্ধতা নিয়ে কাজ করেছি। কারণ ছোটবেলা থেকেই একটা বিষয় মাথায় কাজ করত। যখন যাই করব না কেন, সেটা যেন পরিপূর্ণভাবে করি। তবে এটাও সত্য যে, একটা সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে গেছি। তাই দর্শক এবং কাজের প্রতি আন্তরিকতা ও দায়বদ্ধতা আরও বেড়ে গেল।
বুবলীর দুটি ছবি মুক্তি পেয়েছে দুটিই শাকিব খানের বিপরীতে। একটির শুটিং চলছে। সেটাও এ নায়কের সঙ্গে। এমনকি পরবর্তী অপেক্ষমাণ ছবিটিও শাকিবের সঙ্গে। এসব অবস্থাকে কেন্দ্র করে প্রায়ই কানাঘুষা ও নানারকম গুঞ্জন উচ্চারিত হয় ফিল্মপাড়ায়। কেউ কেউ অভিযোগের সুরে বলেন, শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের সিকুয়েল হলো শাকিব-বুবলী। অর্থাৎ অপুর প্রথম দিকের ছবি বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত যে রকম দেখা যেত সেটার প্রতিচ্ছবি নাকি পাওয়া যাচ্ছে বুবলির জীবনে।
এমন অভিযোগের প্রতু্ত্তরে বুবলি বলেন, “আমি জানি না প্রায় সময় এ প্রশ্নটা শুনতে হচ্ছে কেন? সবে মাত্র দুটি ছবি মুক্তি পেল আমাদের। আগেই বলেছি, একটু বেছে বেছে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তার মানে এই নয় যে, অন্য নায়কের সঙ্গে কাজ করব না। কিছু লোক বরাবরই সমালোচনা করছেন। তাদের কাজই সমালোচনা করা”
তিনি আরও বলেন, “ইতিমধ্যে অনেকের সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তাও শেষ হয়েছে। অপেক্ষায় থাকুন শীঘ্রই সবাইকে চমকে দিব। আর হ্যাঁ, জুটি প্রথা যদি গড়ে উঠে সমস্যা কোথায়? এটা তো ফিল্মপাড়ায় নতুন কিছু নয়। ”
এদিকে বুবলির অবয়ব এবং বাহ্যিক সৌন্দর্যের জন্য তাকে শহুরে কন্যা হিসেবে ভাবতে শুরু করেছেন অনেকেই। বলা হচ্ছে, তাকে দিয়ে শুধু মাত্র মাম্মি-ড্যাড্ডি’ সোসাইটির ছবি তৈরি করা যাবে। রূপবান বা গ্রাম্য কন্যার চরিত্র তাকে মানাবে না। এ প্রসঙ্গে বুবলী বলেন, “হতে পারে প্রথম দুই ছবিতে আমার মেকাপ ও গেটাপ দেখে এই ধারাণা পোষণ করছেন অনেকেই। তাদের আশ্বস্ত করতে চাই, সব ধরনের চরিত্রেই মানাতে প্রস্তুত আমি। এছাড়া অহঙ্কার ছবিতে যে চরিত্রের অভিনয় করছি সেটাও ভিন্ন মাত্রার। এমনকি এ ছবির নামকরণও আমাকে দিয়েই। যদি তাই হতো তাহলে আলিয়া ভ্যাটের মতো একটি ড্যাসিং মেয়েকে হাইওয়ে সিনেমায় মানাতো না। এখানে চরিত্র নয় পরিস্ফুটন ও বাস্তবায়নটাই মুখ্য। ”
বড় পর্দার পাশাপাশি ছোট পর্দায় অভিনয়ের ইচ্ছা আছে কিনা জানতে চাইলে বুবলী বলেন, “আপাতত এরকম কোনো ইচ্ছা নেই। তবে বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে কাজ করা যেতে পারে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনের প্রস্তাবও পেয়েছি। যদি ব্যাটে বলে মিলে তবে এই সেক্টরে দেখা যেতে পারে কিন্তু নাটক বা টেলিফিল্মে নয়।