বুধবার | ৫ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল

চুয়াডাঙ্গায় ষষ্ঠ দিনের মতো শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক কর্মীদের পাহারা অব্যাহত

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৬:০২:৫৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১১ আগস্ট ২০২৪
  • ৭৪৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

আমরা স্বাভাবিক হচ্ছি। সময় আমাদেরকে স্বাভাবিক হতে বাধ্য করছে। যে প্রয়োজনে এই স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলন, সেই প্রয়োজনই আমাদের সাফল্য এনে দিচ্ছে। সভ্য হতে শেখাচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা শহরের গ্রাম থেকে শহর এখন নিরাপদ হচ্ছে। আমাদের ভয় নেই, ছিল না কখনো। এখন প্রয়োজনের তাগিদে আমরা এক হতেও শিখে গেছি। প্রয়োজনে সকল দুর্বৃত্ত-দৃষ্কৃতিকারীদের আমরা রুখে দিতে পারি। আমরা সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে পারি। আমরা আমাদের ভালোবাসি, ভালোবাসি প্রিয় মাতৃভূমিকে। সেই ভালোবাসর টানে আমাদের তরুণরা, আমাদের ছাত্ররা আমরা আজ রাজপথে।

চুয়াডাঙ্গার সড়ক-মহাসড়ক এখন শৃঙ্খল। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের ভেঙ্গে পড়া চুয়াডাঙ্গার ট্রাফিক ব্যবস্থা এখন উদ্ধার হয়েছে। তরুণদের কাজে খুশি হয়ে নানাভাবে অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। নিজেদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ঐক্যবদ্ধ হয়ে পাহারা দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, বিএনপি, জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীদের পাহারায় নিরাপদ হচ্ছে চুয়াডাঙ্গা জেলা।

গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গা শহর ঘুরে দেখা যায়, প্রায় সকল দোকানপাট খোলা শুরু করেছে। রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা আগের রূপে ফিরেছে। ভেঙ্গে পড়া ট্রাফিক ব্যবস্থকে পুনরুদ্ধার করেছে আনসার, স্কাউট, বিএনসিসি ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গত কয়েকদিনের মতোই শনিবারও শৃঙ্খল ছিল চুয়াডাঙ্গা। শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব পালনে খুশি হয়ে দুপুরে খাবার থেকে শুরু করে বিভিন্ন উপহার দিয়ে তাদেরকে উদ্দীপনা যোগাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। রাতেও শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। আবার রাতেও ধীরে ধীরে রাস্তায় লোকজনের আনাগোনাও ছিল বেশ। এদিনও স্থানীয় বাসগুলো ছাড়তে দেখা গেছে। খুলেছিল সকল কাউন্টার।

বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গ্রামে গ্রামে স্থানীয়রা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন। নিজেরাই দিচ্ছেন পাহারা। বাইরে থেকে কেউ এসে যেন দুর্বৃত্তায়ন করতে না পারে, সে জন্য নিজেরাই রয়েছেন সজাগ। গত কয়েকদিনের মতোই ব্যবসায়ীরা নিজেদের নিরাপত্তায় নিজেরাই রাত জেগে পাহারা দিয়েছেন দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। শহরের সদর থানার সামনে স্বর্ণপট্টিতেও একইভাবে পাহারা চলমান ব্যবসায়ীদের। ছয়দিন ধরে পুলিশ নেই। তবুও শনিবার কোনো অপ্রীতিকর খবর একেবারেই ছিল না। সচেতন মহল বলছেন, নিজেদের সুরক্ষার ব্যবস্থা নিজেরাই করছেন সাধারণ মানুষ। সচেতন হয়ে নিজেরাই গড়ে তুলছেন প্রতিরোধ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’তে অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মীর যোগদান

চুয়াডাঙ্গায় ষষ্ঠ দিনের মতো শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক কর্মীদের পাহারা অব্যাহত

আপডেট সময় : ০৬:০২:৫৬ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১১ আগস্ট ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

আমরা স্বাভাবিক হচ্ছি। সময় আমাদেরকে স্বাভাবিক হতে বাধ্য করছে। যে প্রয়োজনে এই স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলন, সেই প্রয়োজনই আমাদের সাফল্য এনে দিচ্ছে। সভ্য হতে শেখাচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা শহরের গ্রাম থেকে শহর এখন নিরাপদ হচ্ছে। আমাদের ভয় নেই, ছিল না কখনো। এখন প্রয়োজনের তাগিদে আমরা এক হতেও শিখে গেছি। প্রয়োজনে সকল দুর্বৃত্ত-দৃষ্কৃতিকারীদের আমরা রুখে দিতে পারি। আমরা সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে পারি। আমরা আমাদের ভালোবাসি, ভালোবাসি প্রিয় মাতৃভূমিকে। সেই ভালোবাসর টানে আমাদের তরুণরা, আমাদের ছাত্ররা আমরা আজ রাজপথে।

চুয়াডাঙ্গার সড়ক-মহাসড়ক এখন শৃঙ্খল। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের ভেঙ্গে পড়া চুয়াডাঙ্গার ট্রাফিক ব্যবস্থা এখন উদ্ধার হয়েছে। তরুণদের কাজে খুশি হয়ে নানাভাবে অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। নিজেদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ঐক্যবদ্ধ হয়ে পাহারা দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, বিএনপি, জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীদের পাহারায় নিরাপদ হচ্ছে চুয়াডাঙ্গা জেলা।

গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গা শহর ঘুরে দেখা যায়, প্রায় সকল দোকানপাট খোলা শুরু করেছে। রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা আগের রূপে ফিরেছে। ভেঙ্গে পড়া ট্রাফিক ব্যবস্থকে পুনরুদ্ধার করেছে আনসার, স্কাউট, বিএনসিসি ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গত কয়েকদিনের মতোই শনিবারও শৃঙ্খল ছিল চুয়াডাঙ্গা। শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব পালনে খুশি হয়ে দুপুরে খাবার থেকে শুরু করে বিভিন্ন উপহার দিয়ে তাদেরকে উদ্দীপনা যোগাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। রাতেও শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। আবার রাতেও ধীরে ধীরে রাস্তায় লোকজনের আনাগোনাও ছিল বেশ। এদিনও স্থানীয় বাসগুলো ছাড়তে দেখা গেছে। খুলেছিল সকল কাউন্টার।

বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গ্রামে গ্রামে স্থানীয়রা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন। নিজেরাই দিচ্ছেন পাহারা। বাইরে থেকে কেউ এসে যেন দুর্বৃত্তায়ন করতে না পারে, সে জন্য নিজেরাই রয়েছেন সজাগ। গত কয়েকদিনের মতোই ব্যবসায়ীরা নিজেদের নিরাপত্তায় নিজেরাই রাত জেগে পাহারা দিয়েছেন দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। শহরের সদর থানার সামনে স্বর্ণপট্টিতেও একইভাবে পাহারা চলমান ব্যবসায়ীদের। ছয়দিন ধরে পুলিশ নেই। তবুও শনিবার কোনো অপ্রীতিকর খবর একেবারেই ছিল না। সচেতন মহল বলছেন, নিজেদের সুরক্ষার ব্যবস্থা নিজেরাই করছেন সাধারণ মানুষ। সচেতন হয়ে নিজেরাই গড়ে তুলছেন প্রতিরোধ।