আজ বৃহস্পতিবার সেনা সদরে এ বৈঠকে নৌ ও বিমানবাহিনী প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন।
সব বাহিনী প্রধানদের ওই বৈঠকে দেশজুড়ে চলমান অরাজকতা, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম বন্ধে সশস্ত্র বাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শক্ত অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিকেলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো খুদে বার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, চলমান অরাজকতা, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম বন্ধের মাধ্যমে দেশে স্থিতিশীলতা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শক্ত অবস্থানে থাকার বিষয়ে বাহিনী প্রধানেরা সিদ্ধান্ত নেন।
ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনা গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশত্যাগ করেন। এর পর থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে। আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন থানা ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আক্রমণের শিকার হয়েছে। এ ছাড়া রাতে ঢাকায় বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতির ঘটনায় নগরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
সরকার পতনের পর বিভিন্ন থানায় হামলার ঘটনায় পুলিশ সদস্যরাও এর মধ্যে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত ছিলেন। এর মধ্যে নতুন পুলিশ মহাপরিদর্শক হিসেবে মো. ময়নুল ইসলাম নিয়োগ পাওয়ার পর পুলিশ সদস্যদের আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে নিজ নিজ কর্মস্থলে কাজে যোগ দিতে বলেছেন।
সেনাপ্রধানের সঙ্গে অন্যান্য বাহিনী প্রধানের এই বৈঠকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেনাবাহিনীর সহায়তায় দেশের সব থানার কার্যক্রম শুরু করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।