শিরোনাম :
Logo মব সন্ত্রাস নিয়ে সমাজের আতঙ্ক ও রাষ্ট্রের নীরবতা Logo ইবিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা, শিক্ষার্থীদের বজ্রকণ্ঠে প্রতিবাদ Logo ইবিতে খুলনা জেলা সমিতির নবীন বরণ ও প্রবীণ সম্মাননা Logo চাঁদপুরে খতিবকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে ইমাম পরিষদের মানববন্ধন Logo চাঁদপুরের মতলব উত্তরে ক্লু-লেস হাবিব হত্যা মামলার মূল আসামী গ্রেফতার Logo সংস্কার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না : নাহিদ ইসলাম Logo নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ না পেলে রাজনৈতিক লড়াইয়ের ঘোষণা এনসিপির Logo ভারতের শুল্ক ২০ শতাংশের কম হতে পারে,যুক্তরাষ্ট্র–ভারত বাণিজ্য চুক্তি Logo ট্রাকচাপায় ব্যবসায়ী নিহত Logo চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে দ্বিগুণ দামে টিকিট বিক্রি, কেবিনের জন্য বাড়তি টাকা

৯ দিনে গ্রেপ্তার সাত হাজার

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৭:৫২:১০ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০২৪
  • ৭৩৫ বার পড়া হয়েছে

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সংঘাতের ঘটনায় সারা দেশে পুলিশের চিরুনি অভিযানে গতকাল রোববার (২৮ জুলাই) পর্যন্ত সাত হাজারের বেশি সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল ছিল এই অভিযানের নবম দিন। পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি স্থাপনা ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধা দেওয়াসহ সহিংসতার অভিযোগে বিভিন্ন জেলায় করা পাঁচ শতাধিক মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরো দুই সমন্বয়ককে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দিতে পুলিশের হেফাজতে নিয়েছে।

তাঁরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী নুসরাত তাবাসসুম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার অন্যতম সমন্বয়ক আরিফ সোহেল।

এছাড়া বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে এই আন্দোলনে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে আটক করার দাবি করেছে তার পরিবার। তবে এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছয়জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার তথ্য দিয়েছে ডিবি।

নুসরাত তাবাসসুমকে রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর আবাসিক এলাকার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে আটক করে ডিবিতে নেওয়া হয়। অন্যদিকে গত শনিবার(২৭ জুলাই) দিবাগত রাত ১টার দিকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আসিফকে তার রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে আটক করে ডিবিতে নেওয়ার দাবি করেছে পরিবার।

পুলিশ ও বিভিন্ন সূত্র বলছে, কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ১ জুলাই শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলন শুরু হয়। ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষের পর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে।

এর পরদিন থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, সংঘর্ষ, সহিংসতা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের বেশিরভাগই বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী।

গ্রেপ্তারকৃতদের দেশের বিভিন্ন কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অনেককে রিমান্ডে এনে করা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ। এসব ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের আরো অনেক নেতাকর্মী আছেন বলে ডিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করতে সারা দেশে সাঁড়াশি অভিযান জারি রেখেছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মব সন্ত্রাস নিয়ে সমাজের আতঙ্ক ও রাষ্ট্রের নীরবতা

৯ দিনে গ্রেপ্তার সাত হাজার

আপডেট সময় : ০৭:৫২:১০ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সংঘাতের ঘটনায় সারা দেশে পুলিশের চিরুনি অভিযানে গতকাল রোববার (২৮ জুলাই) পর্যন্ত সাত হাজারের বেশি সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল ছিল এই অভিযানের নবম দিন। পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি স্থাপনা ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধা দেওয়াসহ সহিংসতার অভিযোগে বিভিন্ন জেলায় করা পাঁচ শতাধিক মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরো দুই সমন্বয়ককে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দিতে পুলিশের হেফাজতে নিয়েছে।

তাঁরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী নুসরাত তাবাসসুম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার অন্যতম সমন্বয়ক আরিফ সোহেল।

এছাড়া বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে এই আন্দোলনে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে আটক করার দাবি করেছে তার পরিবার। তবে এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছয়জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার তথ্য দিয়েছে ডিবি।

নুসরাত তাবাসসুমকে রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর আবাসিক এলাকার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে আটক করে ডিবিতে নেওয়া হয়। অন্যদিকে গত শনিবার(২৭ জুলাই) দিবাগত রাত ১টার দিকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আসিফকে তার রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে আটক করে ডিবিতে নেওয়ার দাবি করেছে পরিবার।

পুলিশ ও বিভিন্ন সূত্র বলছে, কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ১ জুলাই শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলন শুরু হয়। ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষের পর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে।

এর পরদিন থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, সংঘর্ষ, সহিংসতা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের বেশিরভাগই বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী।

গ্রেপ্তারকৃতদের দেশের বিভিন্ন কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অনেককে রিমান্ডে এনে করা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ। এসব ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের আরো অনেক নেতাকর্মী আছেন বলে ডিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করতে সারা দেশে সাঁড়াশি অভিযান জারি রেখেছে।