মঙ্গলবার | ২ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo বিএনপি চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় জীবননগরে ছাত্রদল ও শ্রমিকদের দোয়া Logo জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদারে ব্যাপক প্রস্তুতি সরকারের Logo কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির Logo চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’ গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলছে Logo বেগম খালেদা জিয়া’র আশু রোগমুক্তি কামনায় ৮ নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির আধুনিকায়নে ৩৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ Logo চাঁদপুরে যোগদানের প্রথম দিনেই সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

জাপানের অব্যাহত সহযোগিতা কামনা পরিবেশমন্ত্রীর

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১২:৫৯:৪১ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪
  • ৭৫৪ বার পড়া হয়েছে

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে সবুজ বিনিয়োগ, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে সবুজ, টেকসই ও সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরের ক্ষেত্রে জাপানের অব্যাহত সহায়তা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বাংলাদেশের জলবায়ু ঝুঁকিকে সহিষ্ণুতা এবং তারপর সমৃদ্ধিতে রূপান্তরিত করার জন্য জাপানকে মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা (MCPP) বাস্তবায়িত করতে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানান।

স্হানীয় সময় সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে জাপানের পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী মটোমে তাকিসাওয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে পরিবেশমন্ত্রী এ কথা বলেন।

সাবের হোসেন চৌধুরী আগামী এনডিসি এবং নিঃসরণ কমানোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের মিথেন হ্রাস লক্ষ্য পূরণে জাপানের সহায়তা কামনা করেন। মন্ত্রী গবেষণা-জ্ঞান ভাগাভাগি এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা কামনা করেন। তিনি প্রস্তাব করেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের অধীনে সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়ে জয়েন্ট ক্রেডিটিং মেকানিজমের (জেসিএম) মাধ্যমে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো যেতে পারে।

প্রতিমন্ত্রী তাকিসাওয়া এশিয়া প্যাসিফিক ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাডাপ্টেশন ইনফরমেশন প্ল্যাটফর্মের (এপি-প্ল্যাট) মাধ্যমে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নতুন প্রযুক্তির কথাও উল্লেখ করেন, যা বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হতে পারে।

উভয় পক্ষই আসন্ন বহুপক্ষীয় আলোচনা, যেমন জীববৈচিত্র্য-সংক্রান্ত জাতিসংঘ কনভেনশন (ইউএনসিবিডি), ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অব ক্লাইমেট চেঞ্জ (ইউএনএফসিসিসি) এবং জাতিসংঘের কনভেনশন অন কমবেটিং ডেজার্টিফেশনের (ইউএনসিসিডি) সাথে সাথে সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় প্লাস্টিক চুক্তি এবং অভিন্ন উদ্বেগের বিষয়ে উভয় দেশের অবস্থানের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়।

মন্ত্রীরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থাসহ বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন এবং নীতিগতভাবে বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ককে আরো গভীর করতে সহযোগিতার একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সাথে এগিয়ে যেতে সম্মত হন।

পরে মন্ত্রী স্টপ ইকোসাইড ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জোজো মেহতার সাথে একটি বৈঠক করেন এবং বড় ধরনের পরিবেশগত অপরাধ মোকাবিলায় ইতিবাচক অগ্রগতি এবং এই বিষয়ে জাতীয় আইনগুলো উন্নত করার সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ

জাপানের অব্যাহত সহযোগিতা কামনা পরিবেশমন্ত্রীর

আপডেট সময় : ১২:৫৯:৪১ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে সবুজ বিনিয়োগ, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে সবুজ, টেকসই ও সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরের ক্ষেত্রে জাপানের অব্যাহত সহায়তা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বাংলাদেশের জলবায়ু ঝুঁকিকে সহিষ্ণুতা এবং তারপর সমৃদ্ধিতে রূপান্তরিত করার জন্য জাপানকে মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা (MCPP) বাস্তবায়িত করতে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানান।

স্হানীয় সময় সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে জাপানের পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী মটোমে তাকিসাওয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে পরিবেশমন্ত্রী এ কথা বলেন।

সাবের হোসেন চৌধুরী আগামী এনডিসি এবং নিঃসরণ কমানোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের মিথেন হ্রাস লক্ষ্য পূরণে জাপানের সহায়তা কামনা করেন। মন্ত্রী গবেষণা-জ্ঞান ভাগাভাগি এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা কামনা করেন। তিনি প্রস্তাব করেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের অধীনে সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়ে জয়েন্ট ক্রেডিটিং মেকানিজমের (জেসিএম) মাধ্যমে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো যেতে পারে।

প্রতিমন্ত্রী তাকিসাওয়া এশিয়া প্যাসিফিক ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাডাপ্টেশন ইনফরমেশন প্ল্যাটফর্মের (এপি-প্ল্যাট) মাধ্যমে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নতুন প্রযুক্তির কথাও উল্লেখ করেন, যা বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হতে পারে।

উভয় পক্ষই আসন্ন বহুপক্ষীয় আলোচনা, যেমন জীববৈচিত্র্য-সংক্রান্ত জাতিসংঘ কনভেনশন (ইউএনসিবিডি), ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অব ক্লাইমেট চেঞ্জ (ইউএনএফসিসিসি) এবং জাতিসংঘের কনভেনশন অন কমবেটিং ডেজার্টিফেশনের (ইউএনসিসিডি) সাথে সাথে সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় প্লাস্টিক চুক্তি এবং অভিন্ন উদ্বেগের বিষয়ে উভয় দেশের অবস্থানের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়।

মন্ত্রীরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থাসহ বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন এবং নীতিগতভাবে বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ককে আরো গভীর করতে সহযোগিতার একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সাথে এগিয়ে যেতে সম্মত হন।

পরে মন্ত্রী স্টপ ইকোসাইড ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জোজো মেহতার সাথে একটি বৈঠক করেন এবং বড় ধরনের পরিবেশগত অপরাধ মোকাবিলায় ইতিবাচক অগ্রগতি এবং এই বিষয়ে জাতীয় আইনগুলো উন্নত করার সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন।