একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর মদদেই এই ধর্মঘট : ফখরুল

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১০:৫৫:৪৫ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০১৭
  • ৭৪৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

সরকারের একজন মন্ত্রীর মদদেই পরিবহন শ্রমিকদের এই ধর্মঘট বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল বলেন, পরিবহন ধর্মঘটের পেছনে যিনি মদদ জোগাচ্ছেন, তিনি সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী। আজকে একটি অরাজক পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। সরকার এই সমস্যা সমাধানে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।

২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহে পিলখানায় নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণে বিএনপি ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

পিলখানা হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, জাতীয় নিরাপত্তাব্যবস্থাকে ভেঙে দেওয়ার জন্য সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে পিলখানা হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে। স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্বের ওপর বারবার যখনই আঘাত এসেছে, সেনাবাহিনী তা প্রতিহত করেছে। কিন্তু তাদের ওপর যেদিন প্রথম আঘাত এসেছে, সেদিন তাদের পক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দায়ী।

মির্জা ফখরুল দাবি করেন, এখন বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গণমাধ্যম—সরকার সব নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। কারণ, তারা একদলীয় শাসন কায়েম করবে। বিচারের নামে সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে গোটা দেশকে কারাগারে পরিণত করেছে।

নির্বাচন সম্পর্কে ফখরুল বলেন, এ ব্যাপারে বিএনপির বক্তব্য স্পষ্ট। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল, বিএনপি নির্বাচন চায়। কিন্তু সে নির্বাচন অবশ্যই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে। এ সময় তিনি গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির তীব্র সমালোচনা করেন।

সাবেক সেনাপ্রধান ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান রহুল আলম চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর মদদেই এই ধর্মঘট : ফখরুল

আপডেট সময় : ১০:৫৫:৪৫ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

সরকারের একজন মন্ত্রীর মদদেই পরিবহন শ্রমিকদের এই ধর্মঘট বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল বলেন, পরিবহন ধর্মঘটের পেছনে যিনি মদদ জোগাচ্ছেন, তিনি সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী। আজকে একটি অরাজক পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। সরকার এই সমস্যা সমাধানে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।

২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহে পিলখানায় নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণে বিএনপি ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

পিলখানা হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, জাতীয় নিরাপত্তাব্যবস্থাকে ভেঙে দেওয়ার জন্য সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে পিলখানা হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে। স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্বের ওপর বারবার যখনই আঘাত এসেছে, সেনাবাহিনী তা প্রতিহত করেছে। কিন্তু তাদের ওপর যেদিন প্রথম আঘাত এসেছে, সেদিন তাদের পক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দায়ী।

মির্জা ফখরুল দাবি করেন, এখন বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গণমাধ্যম—সরকার সব নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। কারণ, তারা একদলীয় শাসন কায়েম করবে। বিচারের নামে সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে গোটা দেশকে কারাগারে পরিণত করেছে।

নির্বাচন সম্পর্কে ফখরুল বলেন, এ ব্যাপারে বিএনপির বক্তব্য স্পষ্ট। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল, বিএনপি নির্বাচন চায়। কিন্তু সে নির্বাচন অবশ্যই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে। এ সময় তিনি গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির তীব্র সমালোচনা করেন।

সাবেক সেনাপ্রধান ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান রহুল আলম চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।