ইতিমধ্যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করে হয়েছে। নতুন এ পরিচালক যোগদার হওয়ার পর থেকে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধিতে নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহন করে আসছে। সেবার মান বৃদ্ধি পাওয়ায় দিন দিন বাড়ছে রোগীর সংখ্যা । এতে রোগী ও স্থানীয়দের মধ্যে দেখা দিয়েছে আশার আলো।
গত (১৬ এপ্রিল) মঙ্গলবার শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে সভাপতি ও সহকারি পরিচালক আনোয়ার হোসেনকে সদস্য সচিব করে ৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
এ কমিটির ফলাফল স্বরুপ দেড় মাসে চিত্র আজ (১জুন) শনিবার পৌনে ২টার দিকে পরিচালকের ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক) শিপন জাহাঙ্গীর ও শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অফিসিয়াল ফেসবুক আইডিতে
তুলে ধরেন।
এতে উল্লেখ করা হয়- পরিচ্ছন্নতা অভিযানের মাধ্যমে ময়লার ডিবিতে পরিণত হওয়া ৭৫ টি কেবিন ব্যাবহার উপযোগী করা হয়েছে। হাসপাতাল ভবনের প্রায় পরিত্যক্ত ও বন্ধ পূর্ব ও পশ্চিম গেইট (৮ টি করে ১৬টি সংলগ্ন টয়লেট সহ) চালু করে জরুরী বিভাগ, বহিঃবিভাগ ,আবাসিক এলাকা ও কলেজ ভবনের সাথে যোগাযোগ সহজ ও সুন্দর করা হয়েছে। হাসপাতালের আন্ডারগ্রাউন্ডে অবস্থিত বিশাল গাড়ির গ্যারেজকে পরিত্যক্ত অবস্থা থেকে চালু করা হয়েছে। জরুরী বিভাগ সহ সবকটি ফ্লোরের ওয়ার্ড ও মডুউলার ওটি পরিষ্কারপূর্বক বন্টন ও চালু না হওয়া বিভাগগুলো চালু করা হয়েছে।
এ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, মেডিকেল হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ মোঃ সেলিম রেজা, ডাঃ মোঃ আমিনুল ইসলাম খান, আরএস (সার্জারী), ডাঃ প্রবীণ কুমার মাহাতো, আরএস (গাইনী) ডাঃ ফারহানা তানজিন, আরপি (মেডিসিন ডাঃ এরফান আহমেদ, আরপি (শিশু) ডাঃ মাহবুবা আখতার তানিয়া, এমও (ইউনানী) ডাঃ মোঃ আব্দুর রহিম, ষ্টোর অফিসার মোঃ আরিফুল ইসলাম।
এ বিষয়ে পরিচালক ডাঃ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সরকারি হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে ব্যবহারকারীদের অসচেতনতা। হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে ব্যাপক পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানো হয়েছে। সবার সহযোগিতা ও নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা অভিযান সফল ও অব্যাহত রাখতে এই টিম কাজ করবে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে মানুষের সেবা নিশ্চিতে একসাথে সবাইকে নিয়ে কাজ করার তিনি আহ্বান জানান।