শিরোনাম :
Logo সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচারে জর্জরিত দেশের শিল্পাঙ্গন বিনোদন প্রতিবেদন Logo ইবি কারাতে ক্লাবের নেতৃত্বে নোমান-সাদিয়া Logo গৌরবের অষ্টম বর্ষে আলোর দিশার পদার্পণে থাকছে নানা আয়োজন Logo শিক্ষার্থীদের রিটেক সমস্যা সমাধানে গাফিলতির অভিযোগ যবিপ্রবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে  Logo নতুন ভবনেই বদলে যাবে সফিবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র” Logo ভুয়া নিয়োগপত্রে প্রতারণা: সিরাজগঞ্জের যুবকের কাছ থেকে আদায় ২১ লাখ ৭০ হাজার টাকা Logo সাতক্ষীরায় ব্র্যাকের আয়োজনে জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য প্রকল্পের কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo কয়রায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo পলাশবাড়ীর পল্লীতে সাপের দংশনে কিশোরীর মৃত্যু Logo চাঁদপুর জেলা পুলিশের প্রচেষ্টায় এক বছরে ১ হাজার ১৪১টি হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার

‘বিএনপি জিয়া হত্যার বিচার কেন করেনি, জনগণ জানতে চায়’

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:৩১:৪৭ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪
  • ৭৬৭ বার পড়া হয়েছে

নীলকন্ঠ ডেক্স :
বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের বিচার কেন করেনি তা জনগণ জানতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ড আজও রহস্যময় রয়ে গেছে, এ রহস্যের উন্মোচন ঘটাতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) পুরান ঢাকার ধোলাইখালের সাদেক হোসেন খোকা খেলার মাঠে অসহায় হতদরিদ্র ১৩০০ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, আজ ৩০ মে দেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী। অর্থাৎ ৪৩ বছর আগে জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তার পরিবারের কেউ জিয়া হত্যাকাণ্ডের বিচার চায়নি। কোনো থানায় জিয়া পরিবারের কেউ কোনো এফআইআর করেনি। কেন তারা করেনি জনগণ সেটা জানতে চায়।

তিনি বলেন, বিএনপি তিন তিনবার ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বিএনপির নেতাদের বুকে সাহস থাকলে সেটার জবাব দিয়ে প্রমাণ করুন আপনারা সত্যিই জিয়াউর রহমানকে ভালোবাসেন।
মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, জিয়া হত্যার বিচারের নামে যা হয়েছে সেটা কোর্ট মার্শাল। তখন কিছু মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। প্রকাশ্যে আদালতে বিচার হলে বাংলাদেশের মানুষ জানতে পারতো সেদিন কি হয়েছিল, কারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। কারা এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী বা কারা হত্যাকাণ্ডের সুবিধাভোগী। তাদের মুখোশ উন্মোচিত হতো। আজকে ৪৩ বছর পর আমি একজন ক্ষুদ্র নাগরিক হিসেবে যারা বিএনপি নেতৃত্বে রয়েছেন তাদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলাম, আপনারা জিয়া হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত করুন। বাংলার মানুষ জানতে চায় কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে; হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে কে লাভবান হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য যেদিন উন্মোচিত হবে যারা আজকে বড় বড় কথা বলেন, যারা পান থেকে চুন খসলে জিয়ার মাজারে গিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেয় তাদের অনেকেই এতে ফেঁসে যাবেন। কারও দিকে আঙুল না তুলে আসুন আমরা সত্যটাকে উন্মোচন করি।

বিএনপির প্রয়াত নেতা সাদেক হোসেন খোকা খেলার মাঠের নামকরণের কথা উল্লেখ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটির সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, আজকে আপনারা যে মাঠে বসে আছেন এই মাঠের নাম আমি ইচ্ছা করলে পরিবর্তন করে দিতে পারতাম। আমি তা করিনি। জল সবুজে প্রকল্পের আওতায় ঢাকা দক্ষিণের যে ১৯টি পার্ক ও ১২টি মাঠ আধুনিকায়ন করেছিলাম, তার মধ্যে একটি এই মাঠ। ইতিহাস সাক্ষী থাকবে যার যেমন পাওনা, যার যা সম্মান তাকে সেটা দিতে হবে। সমালোচনা না করে উন্নয়ন করা সম্ভব। জনগণ রয়েছে মূল্যায়ন করার জন্য।

তিনি বলেন, এই শহরের ২ কোটি মানুষের ৪ কোটি চোখ রয়েছে, এই ৪ কোটি চোখ ফাঁকি দেওয়া কারো পক্ষে সম্ভব না। আমি কোথাও কোন নাম পরিবর্তন করিনি, আগের নামে রয়েছে। আমি কাজ শুরু করে দিয়ে গেছি, পরে যিনি এসেছেন তিনি সম্পূর্ণ করেছেন আমি তাকে ধন্যবাদ দিতে চাই। সম্মান যদি কেউ চায় সে যেন আরেকজনকে সম্মান করে।

অনুষ্ঠানে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের আগে ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে প্রাণপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী আপনাদের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য পাঠিয়েছেন। যাতে আপনাদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হয়। আপনাদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিসহ, আমাদের পুলিশের কর্মকর্তাসহ এই সমস্ত খাদ্যদ্রব্য আমরা আপনাদের হাতে তুলে দিচ্ছি। ইনশাআল্লাহ অল্প সময়ের মধ্যে দ্রব্যমূল্য নাগালের মধ্যে চলে আসবে। যতদিন না নাগালের মধ্যে আসছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তাঁর কর্মীরা আপনাদের পাশে থাকবে, ইনশাআল্লাহ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচারে জর্জরিত দেশের শিল্পাঙ্গন বিনোদন প্রতিবেদন

‘বিএনপি জিয়া হত্যার বিচার কেন করেনি, জনগণ জানতে চায়’

আপডেট সময় : ০৮:৩১:৪৭ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪

নীলকন্ঠ ডেক্স :
বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের বিচার কেন করেনি তা জনগণ জানতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ড আজও রহস্যময় রয়ে গেছে, এ রহস্যের উন্মোচন ঘটাতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) পুরান ঢাকার ধোলাইখালের সাদেক হোসেন খোকা খেলার মাঠে অসহায় হতদরিদ্র ১৩০০ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, আজ ৩০ মে দেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী। অর্থাৎ ৪৩ বছর আগে জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তার পরিবারের কেউ জিয়া হত্যাকাণ্ডের বিচার চায়নি। কোনো থানায় জিয়া পরিবারের কেউ কোনো এফআইআর করেনি। কেন তারা করেনি জনগণ সেটা জানতে চায়।

তিনি বলেন, বিএনপি তিন তিনবার ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বিএনপির নেতাদের বুকে সাহস থাকলে সেটার জবাব দিয়ে প্রমাণ করুন আপনারা সত্যিই জিয়াউর রহমানকে ভালোবাসেন।
মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, জিয়া হত্যার বিচারের নামে যা হয়েছে সেটা কোর্ট মার্শাল। তখন কিছু মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। প্রকাশ্যে আদালতে বিচার হলে বাংলাদেশের মানুষ জানতে পারতো সেদিন কি হয়েছিল, কারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। কারা এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী বা কারা হত্যাকাণ্ডের সুবিধাভোগী। তাদের মুখোশ উন্মোচিত হতো। আজকে ৪৩ বছর পর আমি একজন ক্ষুদ্র নাগরিক হিসেবে যারা বিএনপি নেতৃত্বে রয়েছেন তাদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলাম, আপনারা জিয়া হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত করুন। বাংলার মানুষ জানতে চায় কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে; হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে কে লাভবান হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য যেদিন উন্মোচিত হবে যারা আজকে বড় বড় কথা বলেন, যারা পান থেকে চুন খসলে জিয়ার মাজারে গিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেয় তাদের অনেকেই এতে ফেঁসে যাবেন। কারও দিকে আঙুল না তুলে আসুন আমরা সত্যটাকে উন্মোচন করি।

বিএনপির প্রয়াত নেতা সাদেক হোসেন খোকা খেলার মাঠের নামকরণের কথা উল্লেখ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটির সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, আজকে আপনারা যে মাঠে বসে আছেন এই মাঠের নাম আমি ইচ্ছা করলে পরিবর্তন করে দিতে পারতাম। আমি তা করিনি। জল সবুজে প্রকল্পের আওতায় ঢাকা দক্ষিণের যে ১৯টি পার্ক ও ১২টি মাঠ আধুনিকায়ন করেছিলাম, তার মধ্যে একটি এই মাঠ। ইতিহাস সাক্ষী থাকবে যার যেমন পাওনা, যার যা সম্মান তাকে সেটা দিতে হবে। সমালোচনা না করে উন্নয়ন করা সম্ভব। জনগণ রয়েছে মূল্যায়ন করার জন্য।

তিনি বলেন, এই শহরের ২ কোটি মানুষের ৪ কোটি চোখ রয়েছে, এই ৪ কোটি চোখ ফাঁকি দেওয়া কারো পক্ষে সম্ভব না। আমি কোথাও কোন নাম পরিবর্তন করিনি, আগের নামে রয়েছে। আমি কাজ শুরু করে দিয়ে গেছি, পরে যিনি এসেছেন তিনি সম্পূর্ণ করেছেন আমি তাকে ধন্যবাদ দিতে চাই। সম্মান যদি কেউ চায় সে যেন আরেকজনকে সম্মান করে।

অনুষ্ঠানে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের আগে ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে প্রাণপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী আপনাদের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য পাঠিয়েছেন। যাতে আপনাদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হয়। আপনাদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিসহ, আমাদের পুলিশের কর্মকর্তাসহ এই সমস্ত খাদ্যদ্রব্য আমরা আপনাদের হাতে তুলে দিচ্ছি। ইনশাআল্লাহ অল্প সময়ের মধ্যে দ্রব্যমূল্য নাগালের মধ্যে চলে আসবে। যতদিন না নাগালের মধ্যে আসছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তাঁর কর্মীরা আপনাদের পাশে থাকবে, ইনশাআল্লাহ।