বৃহস্পতিবার | ৪ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo গাইবান্ধা এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে নিহত যুবক Logo খুবিতে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা: নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে মতবিনিময় সভা Logo প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির ‘হেমন্তসন্ধ্যা ও হাঁস পার্টি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ Logo সদরপুরে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের জন্য কর্মবিরতি পালন করেছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা Logo কয়রায় আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি দিবস পালিত Logo খুবিতে রফিক আজম ট্রাভেল স্কলারশিপ চালুর লক্ষ্যে এমওইউ স্বাক্ষর Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সোনালী ব্যাংক এমপ্লয়ীজ এসোসিয়েশন সিবি’এর দোয়া মাহফিল

বগুড়ার কাহালু উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের চিকিৎসা সেবা মারাত্মক অনিয়ম

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৯:২৯:১২ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪
  • ৮২৬ বার পড়া হয়েছে

মোঃ হারুন অর রশিদ কাহালু (বগুড়া)প্রতিনিধি

বগুড়ার কাহালু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সল্পতার কারণে কাহালু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগিদের চিকিৎসা সেবা প্রদান মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

রোগ নির্ণয় না করে রোগী দেখে ঔষধ লিখছেন মেডিকেল এসেষ্টেন্টগন। সকাল থেকে হাসপাতালের বহির্বিভাগে রোগীরা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করলেও চিকিৎসক না পেয়ে একজন মেডিকেল এসেষ্টেন্টের লেখা নাম মাত্র ঔষধ নিয়ে অভিযোগের তীর ছুঁড়ে সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে বাড়ি ফিরছেন রোগীরা । এ হাসপাতালে নেই কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। রোগীর প্রয়োজনীয় ঔষধ হাসপাতাল ডিস্পিনসারিতে থাকলেও চিকিৎসরা তা না লিখে ঔষধ নেই বলে রোগীদের জানিয়ে দেন।

এতে ঐ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ রোগীরা সঠিক চিকিৎসা সেবা থেকে বন্চিত হচ্ছেন। ২৬ মে রোববার কাহালু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেছে রোগী দেখার জন্য জরুরি বিভাগে একজন চিকিৎসক দায়িত্ব পালনের কথা থাকলেও এসময় জরুরি বিভাগে চিকিৎসককে পাওয়া যায়নি।

অথচ পাশেই একজন মেডিকেল এসেষ্টেন্ট রােগীকে চিকিৎসা দিচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে আরো দেখা গেছে ঐ হাসপাতালের ২, ২৭, ২৮,২৯,৩০,ও ৩১ নং কক্ষে মেডিকেল চিকিৎসক না থাকায় ঐসব কক্ষে মেডিকেল এসেষ্টেন্ট দিয়ে রোগিদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে দেখা যায়। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নীল রতন দেব বেশ কিছু দিন ধরে রাজশাহী ও ঢাকাতে ট্রেনিং এ অবস্থান করছেন বলে জানান,

অফিস সহকারী প্রধান আজিজুল হক। তিনি জানান, গত মার্চ মাসে এক সঙ্গে ৭ জন চিকিৎসক বদলি হয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। চিকিৎসকের ২৯টি পদ থাকলেও বর্তমানে কনসালটেন্ট চিকিৎসক রয়েছেন ৬ জন। এর মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন ৩ জন। এছাড়া চিকিৎসকদের রুটিন অনুযায়ী সকাল ৯ টায় হাসপাতালে উপস্থিত হওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও অনেক চিকিৎসকরা সেটি মানছেন না।

টিকিট নিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর চিকিৎসককে পাচ্ছেন। এছাড়া জরুরি বিভাগে কোন রোগীএলে তাকে ভালো ভাবে চিকিৎসা ও পরামর্শ না দিয়েই বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এমন অভিযোগও কম নয়।

এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নীল রতন দেব এর সাথে মোবাইলে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

বগুড়ার কাহালু উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের চিকিৎসা সেবা মারাত্মক অনিয়ম

আপডেট সময় : ০৯:২৯:১২ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪

মোঃ হারুন অর রশিদ কাহালু (বগুড়া)প্রতিনিধি

বগুড়ার কাহালু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সল্পতার কারণে কাহালু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগিদের চিকিৎসা সেবা প্রদান মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

রোগ নির্ণয় না করে রোগী দেখে ঔষধ লিখছেন মেডিকেল এসেষ্টেন্টগন। সকাল থেকে হাসপাতালের বহির্বিভাগে রোগীরা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করলেও চিকিৎসক না পেয়ে একজন মেডিকেল এসেষ্টেন্টের লেখা নাম মাত্র ঔষধ নিয়ে অভিযোগের তীর ছুঁড়ে সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে বাড়ি ফিরছেন রোগীরা । এ হাসপাতালে নেই কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। রোগীর প্রয়োজনীয় ঔষধ হাসপাতাল ডিস্পিনসারিতে থাকলেও চিকিৎসরা তা না লিখে ঔষধ নেই বলে রোগীদের জানিয়ে দেন।

এতে ঐ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ রোগীরা সঠিক চিকিৎসা সেবা থেকে বন্চিত হচ্ছেন। ২৬ মে রোববার কাহালু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেছে রোগী দেখার জন্য জরুরি বিভাগে একজন চিকিৎসক দায়িত্ব পালনের কথা থাকলেও এসময় জরুরি বিভাগে চিকিৎসককে পাওয়া যায়নি।

অথচ পাশেই একজন মেডিকেল এসেষ্টেন্ট রােগীকে চিকিৎসা দিচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে আরো দেখা গেছে ঐ হাসপাতালের ২, ২৭, ২৮,২৯,৩০,ও ৩১ নং কক্ষে মেডিকেল চিকিৎসক না থাকায় ঐসব কক্ষে মেডিকেল এসেষ্টেন্ট দিয়ে রোগিদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে দেখা যায়। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নীল রতন দেব বেশ কিছু দিন ধরে রাজশাহী ও ঢাকাতে ট্রেনিং এ অবস্থান করছেন বলে জানান,

অফিস সহকারী প্রধান আজিজুল হক। তিনি জানান, গত মার্চ মাসে এক সঙ্গে ৭ জন চিকিৎসক বদলি হয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। চিকিৎসকের ২৯টি পদ থাকলেও বর্তমানে কনসালটেন্ট চিকিৎসক রয়েছেন ৬ জন। এর মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন ৩ জন। এছাড়া চিকিৎসকদের রুটিন অনুযায়ী সকাল ৯ টায় হাসপাতালে উপস্থিত হওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও অনেক চিকিৎসকরা সেটি মানছেন না।

টিকিট নিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর চিকিৎসককে পাচ্ছেন। এছাড়া জরুরি বিভাগে কোন রোগীএলে তাকে ভালো ভাবে চিকিৎসা ও পরামর্শ না দিয়েই বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এমন অভিযোগও কম নয়।

এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নীল রতন দেব এর সাথে মোবাইলে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।