আজ রবিবার (১৯ মে) দুপুরে ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জানা যায়, গত শুক্রবার (১৭ মে) রাতে উপজেলার সেনভাগ এলাকার একটি বাগানে ধর্ষণের এই ঘটনা ঘটে। পরদিন শনিবার রাতে ভুক্তভোগীর বাবা বাদি হয়ে অভিযুক্ত রুবেল ও তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে নলডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত রুবেল হোসেন (৩০) উপজেলার সেনভাগ গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে। অন্যদিকে রুবেলের প্রেমিকা ভুক্তভোগী তরুণীর (১৯) বাড়ি সেনভাগ আশ্রয়ণ গুচ্ছগ্রামে।
নলডাঙ্গা থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (১৭ মে) তেলকুপি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত ইসলামি ওয়াজ-মাহফিল শুনতে গিয়েছিল ওই তরুণী ও তার এক বান্ধবী। ওয়াজ শুনে মধ্যরাতে তরুণীকে ভ্যানযোগে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে প্রেমিক রুবেল হোসেন ও তার দুই সহযোগী। পথিমধ্যে রুবেল ভুক্তভোগী তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একটি নির্জন আমবাগানে নিয়ে জোর করে ধর্ষণ করেন। পরে রুবেলের আরও দুই সহযোগী ওই তরুণীকে হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করার সময় তরুণী চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। ততক্ষণে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোনোরুজ্জামান বলেন, ওয়াজের মাঠ থেকে থেকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে একটি বাগানে নিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত রুবেল ও তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে নলডাঙ্গা থানায় নারী ও নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন নির্যাতিতার বাবা। আসামিরা পলাতক রয়েছে, তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। রবিবার দুপুরে নির্যাতিত তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।