বার্তা সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে এ প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। এতে বলা হয়, স্বাধীন ফিলিস্তিন গঠনের পক্ষে আবারও নিরাপত্তা পরিষদে ভোট নেওয়া হোক। এতে আপনাদের সমর্থন আছে কিনা।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, ‘আজকের ভোটের পর ফিলিস্তিন জাতিসংঘে পূর্ণ সদস্যপদ পেতে চাপ অব্যাহত রাখবে। এই ভোট থেকে প্রমাণিত হয়েছে বিশ্ব ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতার সঙ্গে এবং ইসরায়েলের দখলদারির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে।’
যদিও জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান সাধারণ পরিষদে বলেন, জাতিসংঘ একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রকে স্বাগত জানাচ্ছে। এই ভোট শুধু রাষ্ট্রের অধিকার প্রদান নয়, হামাসের ভবিষ্যত ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্রকে’ও সুযোগ-সুবিধা ও অধিকার দেবে।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের মোট সদস্যরাষ্ট্রের সংখ্যা ১৯৩টি। কোনো রাষ্ট্র যদি জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ চায়, সেক্ষেত্রে সেই রাষ্ট্রকে সংস্থাটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশ জোগাড় করতে হবে।
এই সুপারিশ নেয়ার পর সাধারণ পরিষদে আবেদন করা হলে আবেদনের ওপর ভোট হয়। সাধারণ পরিষদের দুই তৃতীয়াংশ সদস্য যদি আবেদন মঞ্জুরের পক্ষে ভোট দেয়, তাহলেই জাতিসংঘের সদস্যপদ পায় সে-ই রাষ্ট্র।গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর ফের পূর্ণ সদস্যপদের জন্য তৎপরতা শুরু করে ফিলিস্তিন।
নিরাপত্তা পরিষদে এ নিয়ে আবেদনও করেছিল জাতিসংঘের ফিলিস্তিন প্রতিনিধি দল। তবে ১৮ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর কারণে বাতিল হয়ে যায় সেই আবেদন।