স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ-
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনের কয়েক ঘন্টা আগে খুন হওয়া জানিক হোসেন খুনিদের নাম বলে গেছে। আওয়ামলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে এই খুনের ঘটনা ঘটে। জানিক হোসেন সারুটিয়া ইউনিয়নের পুরাতন বাখরবা গ্রামের ইবাদত হোসেনের ছেলে এবং আওয়ামী লীগ নেতা জুলফিকার কায়সার টিপুর সমর্থক।
তিনি একাধিক হত্যা মামলার আসামী ছিলেন। এলাকাবাসি জানায়, এলাকায় সামাজিক আধিপত্য ও দলের মধ্যে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতা জুলফিকার কায়সার টিপু এবং সারুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মামুনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জের ধরে গত ইউপি নির্বাচনে ৭জন খন হয়।
নিহত জানিক হোসেন একাধিক হত্যা মামলার আসামী ছিলেন। কয়েকদিন আগে তিনি আদালত থেকে জামিন পেয়ে বাড়ি আসেন। নিহত’র মামাতো ভাই স্থানীয় ইউপি মেম্বর বাধন হোসেন জানান, মৃত্যুর আগে জানিক হোসেন তার উপর হামলাকারীদের নাম বলে গেছে। বাধন হোসেন দাবী করেন, পুরাতন বাখরবা গ্রামের আইয়ুব হোসেন, রয়েলে, বাবু, আমজাদ ও শোভন জানিককে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে তার ভাই বলে গেছেন।