শিরোনাম :
Logo কয়রায় বিএনপির সম্প্রীতি সমাবেশ Logo প্রধান উপদেষ্টা ও কোসোভোর রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাত Logo ইসরায়েল মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে: ট্রাম্প Logo শহীদ আবু সাঈদের আত্মত্যাগই ফ্যাসিবাদের ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিল: শফিকুর রহমান Logo চাঁদপুর জেলা ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের নির্বাচনে সাইদ হোসেন অপু চৌধুরীর মনোনয়নপত্র জমা Logo চাঁদপুর জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত Logo ইবিতে জুলাই-৩৬ পরেও আবার কোটা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন Logo ২৫ জুন শুরু হচ্ছে রাবির কলা অনুষদের ৩য় আন্তর্জাতিক সম্মেলন Logo অস্ত্র উদ্ধার অভিযানের ডিবি টিমকে চাঁদপুর জেলা পুলিশের পুরস্কার প্রদান Logo কচুয়ায় মিলন হত্যা মামলায় দুই জনের মৃত্যুদন্ড, একজনের যাবজ্জীবন

লোডশেডিংয়ের তথ্য নিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যান : সাংবাদিকরা

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০১:৪৭:২৮ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০২২
  • ৭৫৬ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ-

লোডশেডিংয়ের তথ্য নিতে গিয়ে ঝিনাইদহের তিন সাংবাদিককে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠছে ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার ইসাহাক আলীর বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের রাউতাইল পল্লী বিদ্যুৎ ভবনে এ ঘটনা ঘটে।

অবরুদ্ধ সাংবকাদিকরা হলেন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের সাদ্দাম হোসেন, সময় টিভির লোটাস রহমান সোহাগ ও গ্লোবাল টিভির এস এম মেহেদী হাসান জিকু। অভিযোগ উঠেছে এ সময় আনসার সদস্য দিয়ে প্রধান গেট আটকিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে অশালীন আচরণর করা হয়। খবর পেয়ে ঝিনাইদহের সিনিয়র সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে পৌছে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের সহায়তায় অবরুদ্ধ সাংবাদিকদের উদ্ধার করেন।

এর আগে মঙ্গলবার লোড শেডিংয়ের তথ্য চাওয়া হলে জিএম ইসাহাক আলী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন। জানা গেছে, ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতের অধিনে জেলার ৬ উপজেলায় নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অতিরিক্ত সময় লোডশেডিং হচ্ছে। বিদ্যুতের সরবরাহ কম নাকি কারিগরি ত্রুটি এ বিষয়টি জানতে মঙ্গলবার দুপুরে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার ইসাহাক আলীর দপ্তরে যান।

সেখানে গিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে জিএম ইসাহাক আলী বলেন, আমি কোন তথ্য দিব না। প্রধানমন্ত্রী লোডশেডিং দিচ্ছেন আপনি তার কাছে যান। বুধবার লোডশেডিংয়ের তথ্য জানতে আরও কয়েকজন সংবাদকর্মী সেখানে গেলে অফিসে যাওয়ার পরপরই তিনি ক্ষুব্ধ হন। তথ্য না দিয়ে উল্টো সাংবাদিকদের সাথে অশালীন আচরণ শুরু করেন। একপর্যায়ে অফিসের সরকারি ফাইল ছুড়ে দিয়ে অকথ্য ভাষায় সাংবাদিকদের গালী-গালাজ করতে করতে অফিস কক্ষ থেকে বের হয়ে চিৎকার চেচামেচি করতে থাকেন এবং রুমে তালা দিয়ে আনসার সদস্যদের ডাকতে বলেন।

তিন সংবাদকর্মীরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়লে অফিসের অন্যান্যরা তাদের উপর ক্ষিপ্ত হন। খবর পেয়ে জেলায় কর্মরত সংবাদকর্মীরা সেখানে গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। সংবাদকর্মীরা বিষয়টি জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম, পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলামকে জানালে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ভুক্তভোগী সাংবাদিক সাদ্দাম হোসেন বলেন, “গনমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে জিএম যে আচরণ করেছেন তা কোন সরকারি কর্মকর্তার আচরণ হতে পারে না।

আমারা তার রুমে বসেই আছি আর তিনি অফিসের মধ্যে নিজেই চিৎকার চেচামেচি করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন। এ দৃশ্য দেখে মনে হয়েছে আমরা যেন ডাকাতি করতে এসেছি”। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জেনারেল ম্যানেজার ইসাহাক আলী অনুতপ্ত হয়ে বলেন, আমি ভুল করেছি। এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কয়রায় বিএনপির সম্প্রীতি সমাবেশ

লোডশেডিংয়ের তথ্য নিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যান : সাংবাদিকরা

আপডেট সময় : ০১:৪৭:২৮ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ-

লোডশেডিংয়ের তথ্য নিতে গিয়ে ঝিনাইদহের তিন সাংবাদিককে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠছে ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার ইসাহাক আলীর বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের রাউতাইল পল্লী বিদ্যুৎ ভবনে এ ঘটনা ঘটে।

অবরুদ্ধ সাংবকাদিকরা হলেন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের সাদ্দাম হোসেন, সময় টিভির লোটাস রহমান সোহাগ ও গ্লোবাল টিভির এস এম মেহেদী হাসান জিকু। অভিযোগ উঠেছে এ সময় আনসার সদস্য দিয়ে প্রধান গেট আটকিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে অশালীন আচরণর করা হয়। খবর পেয়ে ঝিনাইদহের সিনিয়র সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে পৌছে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের সহায়তায় অবরুদ্ধ সাংবাদিকদের উদ্ধার করেন।

এর আগে মঙ্গলবার লোড শেডিংয়ের তথ্য চাওয়া হলে জিএম ইসাহাক আলী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন। জানা গেছে, ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতের অধিনে জেলার ৬ উপজেলায় নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অতিরিক্ত সময় লোডশেডিং হচ্ছে। বিদ্যুতের সরবরাহ কম নাকি কারিগরি ত্রুটি এ বিষয়টি জানতে মঙ্গলবার দুপুরে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার ইসাহাক আলীর দপ্তরে যান।

সেখানে গিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে জিএম ইসাহাক আলী বলেন, আমি কোন তথ্য দিব না। প্রধানমন্ত্রী লোডশেডিং দিচ্ছেন আপনি তার কাছে যান। বুধবার লোডশেডিংয়ের তথ্য জানতে আরও কয়েকজন সংবাদকর্মী সেখানে গেলে অফিসে যাওয়ার পরপরই তিনি ক্ষুব্ধ হন। তথ্য না দিয়ে উল্টো সাংবাদিকদের সাথে অশালীন আচরণ শুরু করেন। একপর্যায়ে অফিসের সরকারি ফাইল ছুড়ে দিয়ে অকথ্য ভাষায় সাংবাদিকদের গালী-গালাজ করতে করতে অফিস কক্ষ থেকে বের হয়ে চিৎকার চেচামেচি করতে থাকেন এবং রুমে তালা দিয়ে আনসার সদস্যদের ডাকতে বলেন।

তিন সংবাদকর্মীরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়লে অফিসের অন্যান্যরা তাদের উপর ক্ষিপ্ত হন। খবর পেয়ে জেলায় কর্মরত সংবাদকর্মীরা সেখানে গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। সংবাদকর্মীরা বিষয়টি জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম, পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলামকে জানালে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ভুক্তভোগী সাংবাদিক সাদ্দাম হোসেন বলেন, “গনমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে জিএম যে আচরণ করেছেন তা কোন সরকারি কর্মকর্তার আচরণ হতে পারে না।

আমারা তার রুমে বসেই আছি আর তিনি অফিসের মধ্যে নিজেই চিৎকার চেচামেচি করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন। এ দৃশ্য দেখে মনে হয়েছে আমরা যেন ডাকাতি করতে এসেছি”। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জেনারেল ম্যানেজার ইসাহাক আলী অনুতপ্ত হয়ে বলেন, আমি ভুল করেছি। এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।