স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ-
ঝিনাইদহ জেলায় নির্মানাধিন ৭টি মডেল মসজিদের মধ্যে ৫টি নির্মান কচ্ছপ গতিতে। অথচ দু বছর আগেই নির্মান কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। ফান্ড না থাকার অজুহাতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্মান কাজ করছেন না। যে ভাবে মসজিদগুলোর নির্মান কাজ চলছে তাতে শেষ হতে এখনো অনেক দেরি। নির্মানাধীন মিেজদর মধ্যে রয়েছে, ঝিনাইদহ জেলা মডেল মসজিদ, ঝিনাইদহ সদর উপজেলা মডেল মসজিদ, শৈলকুপা উপজেলা, কালীগঞ্জ উপজেলা ও হরিণাকুন্ডু উপজেলা মডেল মসজিদ। দৃষ্টিনন্দন এ মসজিদ গুলো নির্মান করছে গনপুর্ত অধিদপ্তর।
৭টি মসজিদের মধ্যে মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর উপজেলা মডেল মসজিদের নির্মান কাজ শেষ হয়েছে। জেলা গনপুর্ত অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহ জেলা মডেল মসজিদ নির্মানে ব্যয় বরাদ্ধ আছে ১৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। ২০২০ সালে ৩১ ডিসেম্বর নির্মান কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। চলতি অর্থ বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত নির্মান কাজের শতকরা ২৫ ভাগ শেষ হয়েছে। কোটচাঁদপুর উপজেলা মডেল মসজিদের নির্মান ব্যয় বরাদ্ধ ছিল ১২ কোটি ৬৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। এ মসজিদের নির্মান শেষ হয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মানে ব্যয় বরাদ্ধ আছে ১৩ কোটি ৪১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এপর্যন্ত কাজ হয়েছে মাত্র ১৬ ভাগ।
এই মসজিদের পাইপ ক্যাপের কাজ শেষ হয়েছে। শৈলকুপা উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মানে ব্যয় বরাদ্ধ আছে ১২ কোটি ৬৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। এপর্যন্ত কাজ হয়েছে ২৮ ভাগ। দোতলার ছাদ পর্যন্ত উঠে তেমে আছে। মহেশপুর উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মানে ব্যয় বরাদ্ধ আছে ১২ কোটি ৬৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। এটির নির্মান কাজ শেষ হয়েছে। হরিণাকুন্ডু উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মানে ব্যয় বরাদ্ধ আছে ১৩ কোটি ৪১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত কাজ হয়েছে মাত্র ১৭ ভাগ। সবেমাত্র পাইল ক্যাপের কাজ শেষ হয়েছে।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মানে ব্যয় বরাদ্ধ আছে ১২ কোটি ৬৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত কাজ হয়েছে মাত্র দুই ভাগ। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা পর্যায়ের মসজিদ গুলো হবে তিন তলা বিশিষ্ট এবং জেলা মডেল মসজিদ হবে ৪ তলা। প্রতিটি মসজিদে থাকবে ইসলামিক ট্রেনিং সেন্টার, অটিজম সেন্টার, পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃখক নামাযের জায়গা, কনফারেন্স রুম ও গেষ্ট রুম। থাকবে ফুলের বাগান। প্রতিটি মসজিদ হবে একই ডিজাইনের। গনপুর্ত অধিদপ্তরের ঝিনাইদহের নির্বাহী প্রকৌশলী জেরাল্ড ওলিভার গুডা জানান, ৫টি মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজের গতি খুব ধীর গতিতে চলছে।
তিনি জানান, নির্মান কাজ দ্রুত শেষ করতে ঠিকাদারদের বারবার চিঠি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তারা কাজের গতি বাড়াচ্ছে না।