গাবতলীতে মানুষের ঢল, বাস না পেয়ে হেঁটে রওনা হাজারো মানুষের

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:৩৫:২৪ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৮ জুলাই ২০২২
  • ৮২৯ বার পড়া হয়েছে

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর গাবতলী আন্তজেলা বাস টার্মিনালে হাজারো মানুষের ঢল নেমেছে। বাস না পেয়ে হাজার হাজার মানুষ আমিনবাজারের দিকে হেঁটে রওনা দিয়েছেন। ট্রাক, পিকআপ, সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্বল্প দূরত্বে কয়েক গুণ বাড়তি ভাড়া আদায় করছে।

আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে দেখা যায়, গাবতলী বাস টার্মিনালে হাজারো মানুষ আসছেন। কিন্তু কোনো বাসেই টিকিট নেই। এ কারণে অনেকেই হেঁটে আমিনবাজারের দিকে রওনা দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ গরু বিক্রি করে যাওয়া ফাঁকা ট্রাকে করে রওনা দিচ্ছেন। আবার কেউবা বাসের ছাদে করেও যাচ্ছেন।

বেসরকারি চাকরিজীবী মো. মাসুম বিল্লাহ চট্টগ্রাম থেকে আজ বেলা ১১টার দিকে গাবতলী বাস টার্মিনালে আসেন। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে তিনি যাবেন রংপুর। কিন্তু বাসে কোনো টিকিট না পেয়ে সাভারের চন্দ্রার উদ্দেশে হেঁটে রওনা দেন।

মাসুম বিল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখন চন্দ্রা যাব। হেঁটে রওনা দিলাম। সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা বাস পেলে উঠব। এখানে তো কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। চন্দ্রা থেকে রংপুরগামী বাস পাওয়া যেতে পারে। না পেলেও ভেঙে ভেঙে চলে যাব।’

শুকতারা সার্ভিস লিমিটেডের একটি বাস গাবতলী থেকে পাটুরিয়া ঘাট ছাদে করে যাত্রীপ্রতি ২০০ টাকা করে নিচ্ছে। পিকআপে করে আরিচা ৫০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।

পাবনা যাবেন বেসরকারি চাকরিজীবী মো. নুরুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সকাল ৯টা থেকে গাবতলী বাস টার্মিনালে বসে আছি। কোনো কিছু পাচ্ছি না। এখন বেলা পৌনে ১টা বাজে। বাধ্য হয়ে পিকআপে উঠছি। ৫০০ টাকা করে নিচ্ছে আরিচা পর্যন্ত। আরিচা থেকে পাবনা যাব।’

নুরুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেক পরিবহন তিন থেকে চার গুণ বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে। মানুষকে তারা জিম্মি করে ফেলেছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

গাবতলীতে মানুষের ঢল, বাস না পেয়ে হেঁটে রওনা হাজারো মানুষের

আপডেট সময় : ০২:৩৫:২৪ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৮ জুলাই ২০২২

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর গাবতলী আন্তজেলা বাস টার্মিনালে হাজারো মানুষের ঢল নেমেছে। বাস না পেয়ে হাজার হাজার মানুষ আমিনবাজারের দিকে হেঁটে রওনা দিয়েছেন। ট্রাক, পিকআপ, সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্বল্প দূরত্বে কয়েক গুণ বাড়তি ভাড়া আদায় করছে।

আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে দেখা যায়, গাবতলী বাস টার্মিনালে হাজারো মানুষ আসছেন। কিন্তু কোনো বাসেই টিকিট নেই। এ কারণে অনেকেই হেঁটে আমিনবাজারের দিকে রওনা দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ গরু বিক্রি করে যাওয়া ফাঁকা ট্রাকে করে রওনা দিচ্ছেন। আবার কেউবা বাসের ছাদে করেও যাচ্ছেন।

বেসরকারি চাকরিজীবী মো. মাসুম বিল্লাহ চট্টগ্রাম থেকে আজ বেলা ১১টার দিকে গাবতলী বাস টার্মিনালে আসেন। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে তিনি যাবেন রংপুর। কিন্তু বাসে কোনো টিকিট না পেয়ে সাভারের চন্দ্রার উদ্দেশে হেঁটে রওনা দেন।

মাসুম বিল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখন চন্দ্রা যাব। হেঁটে রওনা দিলাম। সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা বাস পেলে উঠব। এখানে তো কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। চন্দ্রা থেকে রংপুরগামী বাস পাওয়া যেতে পারে। না পেলেও ভেঙে ভেঙে চলে যাব।’

শুকতারা সার্ভিস লিমিটেডের একটি বাস গাবতলী থেকে পাটুরিয়া ঘাট ছাদে করে যাত্রীপ্রতি ২০০ টাকা করে নিচ্ছে। পিকআপে করে আরিচা ৫০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।

পাবনা যাবেন বেসরকারি চাকরিজীবী মো. নুরুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সকাল ৯টা থেকে গাবতলী বাস টার্মিনালে বসে আছি। কোনো কিছু পাচ্ছি না। এখন বেলা পৌনে ১টা বাজে। বাধ্য হয়ে পিকআপে উঠছি। ৫০০ টাকা করে নিচ্ছে আরিচা পর্যন্ত। আরিচা থেকে পাবনা যাব।’

নুরুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেক পরিবহন তিন থেকে চার গুণ বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে। মানুষকে তারা জিম্মি করে ফেলেছে।