ইউএনওর ওপর হামলা: যুবলীগের দুই নেতা বহিষ্কার

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ০৬:৪২:১৫ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ৭৫৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন নিখিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ায় আমরা উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম ও সদস্য আসাদুল ইসলামকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছি।”

শুক্রবার ভোরে র‌্যাব-পুলিশের অভিযানে হাকিমপুর উপজেলার কালীগঞ্জ থেকে জাহাঙ্গীর ও আসাদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ইউএনওর বাসার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করেই তাদের চিহ্নিত এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার দুজনই মাদকাসক্ত এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।বুধবার রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে ইউএনওর বাসভবনের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর ওই হামলা চালানো হয়।

গুরুতর আহত ওয়াহিদাকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিকালে হেলিকপ্টারে তাকে ঢাকার এনে জাতীয় নিউরোসায়েন্স ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রাতে অস্ত্রোপচার শেষে চিকিৎসকরা বলেছেন, ওয়াহিদা খানমের অবস্থা ‘আশাব্যঞ্জক’।এ ঘটনায় ইউএনও ওয়াহিদার ভাই শেখ ফরিদ বৃহস্পতিবার রাতে ঘোড়াঘাট থানায় অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন, সেখানে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইউএনওর ওপর হামলা: যুবলীগের দুই নেতা বহিষ্কার

আপডেট সময় : ০৬:৪২:১৫ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

নিউজ ডেস্ক:

যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন নিখিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ায় আমরা উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম ও সদস্য আসাদুল ইসলামকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছি।”

শুক্রবার ভোরে র‌্যাব-পুলিশের অভিযানে হাকিমপুর উপজেলার কালীগঞ্জ থেকে জাহাঙ্গীর ও আসাদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ইউএনওর বাসার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করেই তাদের চিহ্নিত এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার দুজনই মাদকাসক্ত এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।বুধবার রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে ইউএনওর বাসভবনের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর ওই হামলা চালানো হয়।

গুরুতর আহত ওয়াহিদাকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিকালে হেলিকপ্টারে তাকে ঢাকার এনে জাতীয় নিউরোসায়েন্স ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রাতে অস্ত্রোপচার শেষে চিকিৎসকরা বলেছেন, ওয়াহিদা খানমের অবস্থা ‘আশাব্যঞ্জক’।এ ঘটনায় ইউএনও ওয়াহিদার ভাই শেখ ফরিদ বৃহস্পতিবার রাতে ঘোড়াঘাট থানায় অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন, সেখানে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে