শিরোনাম :
Logo গাজায় ফিলিস্তিনি ফুটবলার নিহত Logo টাঙ্গাইলে পুকুরের পানিতে ডুবে এক বৃদ্ধের মৃত্যু Logo আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকায় ফ্যাসিস্ট শিক্ষকরা এখনো কাপড় পরে হাঁটতে পারছে : রাবি ছাত্রদল সভাপতি Logo কুড়ালিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এডহক কমিটির পরিচিতি, কৃতি ছাত্রীদের সংবর্ধনা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত Logo চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির আয়োজনে আড়ালে আবৃত গ্রন্থের পাঠ পর্যালোচনা Logo দুর্নীতির মামলায় বেরোবির সাবেক উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ গ্রেফতার Logo তেগুরিয়া শিশু বিদ্যানিকেতন এখন শিশু শিক্ষার আলোকবর্তিকা Logo কয়রা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত Logo উচাং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ইবির সমঝোতা স্মারক পর্যালোচনা বৈঠক Logo ইবিতে হিন্দুধর্ম অবমাননার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

গ্রেনেড হামলায় রাষ্ট্রযন্ত্রকে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করা হয়েছিলো : ওবায়দুল কাদের

  • আপডেট সময় : ০৩:৪৯:৩৮ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২২ আগস্ট ২০২০
  • ৭৫১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

হাওয়া ভবনের ছক অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে পারেনি বলেই বিএনপি একুশে আগস্টের হত্যাকে দুর্ঘটনা বলছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ শনিবার সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবন থেকে রাজশাহী সড়ক জোনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই হামলা করা হয়েছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপির নেতারা দিবালোকের মত সত্যকে বিকৃত করে বলছে, একুশে আগস্ট নাকি দুর্ঘটনা। একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় রাষ্ট্রযন্ত্রকে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়েছিলো। যা ছিলো পনের আগস্টের হত্যাকান্ডেরই ধারাবাহিকতা। একুশে আগস্টের টার্গেট ছিলো দেশরতœ শেখ হাসিনা। ‘
তিনি বলেন, মুফতি হান্নানসহ অন্যান্যদের বক্তব্য এবং দালিলিক প্রমাণে বেরিয়ে এসেছে কারা এর পেছনে মদদ দিয়েছে, কারা বৈঠক করেছে, ষড়যন্ত্র করেছে। এ হামলার মাস্টারমাইন্ড হাওয়া ভবন তাদের নির্দেশেই এই হামলা। বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব সবই জানতো। তারা আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে চেয়েছিল। মুছে দিতে চেয়েছিলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খুনীদের নিখুঁত হত্যা-পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ায় তারা তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে দুর্ঘটনাই মনে করতে পারে। তদন্তে বাধা দেয়া, জজ মিয়া নাটক সাজানো, আলামত নষ্টকরাসহ পদে পদে বাধাদানের মাধ্যমে তাদের সংশ্লিষ্টতার অকাট্য প্রমাণ জাতির কাছে আজ স্পষ্ট।
করোনাভাইরাস শিগগিরই চলে যাবে বা চলে যাচ্ছে এমন মনে করার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, “দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে রয়েছে। বাড়ছেও না, আবার কমছেও না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে তুলনা করলে বাংলাদেশে তুলনামূলক অবস্থান ভাল হলেও আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। নিউজিল্যান্ড এবং স্পেনসহ ইউরোপের অনেক দেশে দ্বিত্বীয় ওয়েব শুরু হয়ে গেছে। যে কোন সময়ে পরিস্থিতির আরও অবনতি কিংবা দ্বিতীয় ওয়েভ শুরু হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে করোনাভাইরাস শিগগিরই চলে যাবে বা চলে যাচ্ছে এমন মনে করার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। এমন ভেবে স্বাস্থ্যবিধির প্রতি অবহেলা প্রদর্শন বিপর্যয়ের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে। আমাদের অভ্যাসের পরিবর্তন ঘটিয়ে তা স্বাস্থ্যবান্ধব করতে হবে।”
বিআরটিএ মালিক-শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সাথে মতবিনিময়ের সুপারিশ মন্ত্রণালয় হয়ে কেবিনেট ডিভিশনে প্রেরণ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “সংক্রমণ রোধে প্রতিরোধ ব্যবস্থায় অধিক মনযোগ দেয়াই হচ্ছে সর্বোত্তম কৌশল। সরকার করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয়। গাড়ির আসনসংখ্যা অর্ধেক খালি রাখা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে ভাড়া সমম্বয় করে এ সময়ের জন্য। শুরুতে কিছু পরিবহন প্রতিশ্রুতি মেনে চললেও এখন অনেকেই মেনে চলছেনা। আসন খালি না রাখলে এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানলে যাত্রীসাধারণ অতিরিক্ত ভাড়া কেন দিবে?

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজায় ফিলিস্তিনি ফুটবলার নিহত

গ্রেনেড হামলায় রাষ্ট্রযন্ত্রকে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করা হয়েছিলো : ওবায়দুল কাদের

আপডেট সময় : ০৩:৪৯:৩৮ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২২ আগস্ট ২০২০

নিউজ ডেস্ক:

হাওয়া ভবনের ছক অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে পারেনি বলেই বিএনপি একুশে আগস্টের হত্যাকে দুর্ঘটনা বলছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ শনিবার সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবন থেকে রাজশাহী সড়ক জোনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই হামলা করা হয়েছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপির নেতারা দিবালোকের মত সত্যকে বিকৃত করে বলছে, একুশে আগস্ট নাকি দুর্ঘটনা। একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় রাষ্ট্রযন্ত্রকে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়েছিলো। যা ছিলো পনের আগস্টের হত্যাকান্ডেরই ধারাবাহিকতা। একুশে আগস্টের টার্গেট ছিলো দেশরতœ শেখ হাসিনা। ‘
তিনি বলেন, মুফতি হান্নানসহ অন্যান্যদের বক্তব্য এবং দালিলিক প্রমাণে বেরিয়ে এসেছে কারা এর পেছনে মদদ দিয়েছে, কারা বৈঠক করেছে, ষড়যন্ত্র করেছে। এ হামলার মাস্টারমাইন্ড হাওয়া ভবন তাদের নির্দেশেই এই হামলা। বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব সবই জানতো। তারা আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে চেয়েছিল। মুছে দিতে চেয়েছিলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খুনীদের নিখুঁত হত্যা-পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ায় তারা তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে দুর্ঘটনাই মনে করতে পারে। তদন্তে বাধা দেয়া, জজ মিয়া নাটক সাজানো, আলামত নষ্টকরাসহ পদে পদে বাধাদানের মাধ্যমে তাদের সংশ্লিষ্টতার অকাট্য প্রমাণ জাতির কাছে আজ স্পষ্ট।
করোনাভাইরাস শিগগিরই চলে যাবে বা চলে যাচ্ছে এমন মনে করার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, “দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে রয়েছে। বাড়ছেও না, আবার কমছেও না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে তুলনা করলে বাংলাদেশে তুলনামূলক অবস্থান ভাল হলেও আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। নিউজিল্যান্ড এবং স্পেনসহ ইউরোপের অনেক দেশে দ্বিত্বীয় ওয়েব শুরু হয়ে গেছে। যে কোন সময়ে পরিস্থিতির আরও অবনতি কিংবা দ্বিতীয় ওয়েভ শুরু হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে করোনাভাইরাস শিগগিরই চলে যাবে বা চলে যাচ্ছে এমন মনে করার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। এমন ভেবে স্বাস্থ্যবিধির প্রতি অবহেলা প্রদর্শন বিপর্যয়ের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে। আমাদের অভ্যাসের পরিবর্তন ঘটিয়ে তা স্বাস্থ্যবান্ধব করতে হবে।”
বিআরটিএ মালিক-শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সাথে মতবিনিময়ের সুপারিশ মন্ত্রণালয় হয়ে কেবিনেট ডিভিশনে প্রেরণ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “সংক্রমণ রোধে প্রতিরোধ ব্যবস্থায় অধিক মনযোগ দেয়াই হচ্ছে সর্বোত্তম কৌশল। সরকার করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয়। গাড়ির আসনসংখ্যা অর্ধেক খালি রাখা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে ভাড়া সমম্বয় করে এ সময়ের জন্য। শুরুতে কিছু পরিবহন প্রতিশ্রুতি মেনে চললেও এখন অনেকেই মেনে চলছেনা। আসন খালি না রাখলে এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানলে যাত্রীসাধারণ অতিরিক্ত ভাড়া কেন দিবে?