নিউজ ডেস্ক:
শনিবার ঢাকায় মতিঝিলের বিআইডব্লিউটিএ ভবনের মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি অডিটরিয়ামে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্ট ও ৩রা নভেম্বরের খুনি এবং খুনিদের মদদদাতা। তিনি ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করেন। তখনই প্রমাণিত হয় জিয়া ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। একটি হত্যাকাণ্ড একটি দেশ ও জাতিকে পিছিয়ে দিতে পারে, যেমনটি বাংলাদেশের ক্ষেত্রে হয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যকারীরা বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিলো। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দিতে দেশে লুটেরা দুর্নীতির ধারা সৃষ্টি করেছিলো।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে অনেক দেশে রাজনৈতিক কারণে অনেককে হত্যা করা হয়েছে; কিন্তু বাংলাদেশের মতো জাতির পিতাসহ তার পরিবারকে হত্যার মতো পৈশাচিক ঘটনা ঘটেনি। এর ফলে সামাজিক অবক্ষয় ঘটেছে।
আলোচনা সভার শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের সব শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী ‘বঙ্গবন্ধুর স্টিমার যাত্রা’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বিআইডব্লিউটিসি গ্রন্থটির প্রকাশনা করে। পরে প্রতিমন্ত্রী জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সদরঘাটে নৌ-শ্রমিকদের মাঝে বিশেষ খাবার বিতরণ করেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান খাজা মিয়া, বিআইডব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক। জুম অ্যাপ ভিডিওতে আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ এবং মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহাজাহান।