শিরোনাম :
Logo সংগ্রাম, ত্যাগ, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ৮১ বছরে বেগম খালেদা জিয়া Logo উচ্ছ্বাস আর স্বপ্নে মুখর রাবি ক্যাম্পাস; জীবনের নতুন যাত্রা নিয়ে নবীনদের অনুভূতি Logo গণঅভ্যুত্থানের পরে আনোয়ার ইব্রাহিমের বাংলাদেশ সফর আমাদের প্রেরণা যুগিয়েছিল : অধ্যাপক ইউনূস Logo সাতক্ষীরা পৌরসভা ২ নাম্বার ওয়ার্ডে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন উদ্বোধন Logo বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকেও নিয়মিত বেতন উত্তোলন । Logo কয়রায় চিংড়িতে জেলি পুশ,৫০ হাজার টাকা জরিমানা Logo ইবি’র লালন শাহ হল পরিদর্শনে উপাচার্য Logo বিতর্ক প্রতিযোগিতা বাড়ে চিন্তার পরিধি, জ্ঞান আর প্রতিপক্ষের প্রতি সম্মান Logo কচুয়ায় ১৬ পরিবারকে ঢেউটিন ও সহায়তার চেক বিতরণ Logo মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

শুল্ক গোয়েন্দার কাছে গাড়ি দিলেন আইএলও কর্মকর্তা !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০১:১৮:১৬ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
  • ৭৫৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহার করা আইএলও বাংলাদেশ কান্ট্রি অফিসের প্রাক্তন এক কর্মকর্তার ব্যবহৃত সাদা রঙের টয়োটা সিডান গাড়িটি জমা দেওয়া হয়েছে।গতকাল রোববার দুপুরে আইএলও বাংলাদেশ কান্ট্রি অফিস থেকে শুল্ক গোয়েন্দার তদন্ত দলের কাছে গাড়িটি জমা দেওয়া হয়েছে।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, গতকাল দুপুর ১টায়  গুলশান-১ এর আইএলও বাংলাদেশ কান্ট্রি অফিস থেকে শুল্ক গোয়েন্দার তদন্ত দলের কাছে গাড়িটি হস্তান্তর করা হয়। আইএলওর ড্রাইভার গোলাম মোস্তফার মাধ্যমে গাড়িটি কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা সদর দপ্তরে আনা হয়। গাড়ির ব্যবহারকারী ছিলেন ফ্রান্সিস দিলীপ বসন্ত ডি সিলভা। তিনি ২০০৮   সালের ১৭ জুন থেকে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আইএলও বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

শুল্ক গোয়েন্দা সূত্র আরো জানায়, গাড়িটির ব্যবহারকারী  ফ্রান্সিস দিলীপ বসন্ত ডি সিলভা  আইএলও বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বাংলাদেশে অবস্থানকালে তিনি ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য সাদা রঙের গাড়িটি শুল্কমুক্ত সুবিধায় ক্রয় করেন। গাড়ির Reg no : AJALA-0036, Chassis no- JZS133-0033001।  তিনি ৩১ ডিসেম্বর/২০১৬ তারিখে বাংলাদেশে অ্যাসাইনমেন্ট শেষ করে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। কিন্তু আইনানুযায়ী বাংলাদেশ ত্যাগের পূর্বে তার ব্যবহৃত কাস্টমস পাসবুক ও গাড়িটি কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করার কথা  থাকলেও তিনি তা করেননি।

শুল্ক গোয়েন্দারা ধারণা করছেন, শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহার করে বিভিন্ন বিদেশি সংস্থা কর্তৃক অবৈধভাবে ব্যবহৃত গাড়ির বিরুদ্ধে শুল্ক গোয়েন্দার সাম্প্রতিক তৎপরতার কারণে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ঢাকার আইএলও কান্ট্রি অফিস গাড়িটি শুল্ক গোয়েন্দার কাছে হস্তান্তর করে।

গাড়িটি বর্তমানে শুল্ক গোয়েন্দা সদর দপ্তরের হেফাজতে রয়েছে। কাগজপত্র যাচাই করে গাড়িটির বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও শুল্ক গোয়েন্দা সূত্র জানায়।
ইতোপূর্বে ২০১৬ সালের  ডিসেম্বরে শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহারের অভিযোগে আরেকজন আইএলও কর্মকর্তার গাড়ি আটক করা হয়েছিল।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সংগ্রাম, ত্যাগ, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ৮১ বছরে বেগম খালেদা জিয়া

শুল্ক গোয়েন্দার কাছে গাড়ি দিলেন আইএলও কর্মকর্তা !

আপডেট সময় : ০১:১৮:১৬ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহার করা আইএলও বাংলাদেশ কান্ট্রি অফিসের প্রাক্তন এক কর্মকর্তার ব্যবহৃত সাদা রঙের টয়োটা সিডান গাড়িটি জমা দেওয়া হয়েছে।গতকাল রোববার দুপুরে আইএলও বাংলাদেশ কান্ট্রি অফিস থেকে শুল্ক গোয়েন্দার তদন্ত দলের কাছে গাড়িটি জমা দেওয়া হয়েছে।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, গতকাল দুপুর ১টায়  গুলশান-১ এর আইএলও বাংলাদেশ কান্ট্রি অফিস থেকে শুল্ক গোয়েন্দার তদন্ত দলের কাছে গাড়িটি হস্তান্তর করা হয়। আইএলওর ড্রাইভার গোলাম মোস্তফার মাধ্যমে গাড়িটি কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা সদর দপ্তরে আনা হয়। গাড়ির ব্যবহারকারী ছিলেন ফ্রান্সিস দিলীপ বসন্ত ডি সিলভা। তিনি ২০০৮   সালের ১৭ জুন থেকে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আইএলও বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

শুল্ক গোয়েন্দা সূত্র আরো জানায়, গাড়িটির ব্যবহারকারী  ফ্রান্সিস দিলীপ বসন্ত ডি সিলভা  আইএলও বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বাংলাদেশে অবস্থানকালে তিনি ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য সাদা রঙের গাড়িটি শুল্কমুক্ত সুবিধায় ক্রয় করেন। গাড়ির Reg no : AJALA-0036, Chassis no- JZS133-0033001।  তিনি ৩১ ডিসেম্বর/২০১৬ তারিখে বাংলাদেশে অ্যাসাইনমেন্ট শেষ করে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। কিন্তু আইনানুযায়ী বাংলাদেশ ত্যাগের পূর্বে তার ব্যবহৃত কাস্টমস পাসবুক ও গাড়িটি কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করার কথা  থাকলেও তিনি তা করেননি।

শুল্ক গোয়েন্দারা ধারণা করছেন, শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহার করে বিভিন্ন বিদেশি সংস্থা কর্তৃক অবৈধভাবে ব্যবহৃত গাড়ির বিরুদ্ধে শুল্ক গোয়েন্দার সাম্প্রতিক তৎপরতার কারণে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ঢাকার আইএলও কান্ট্রি অফিস গাড়িটি শুল্ক গোয়েন্দার কাছে হস্তান্তর করে।

গাড়িটি বর্তমানে শুল্ক গোয়েন্দা সদর দপ্তরের হেফাজতে রয়েছে। কাগজপত্র যাচাই করে গাড়িটির বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও শুল্ক গোয়েন্দা সূত্র জানায়।
ইতোপূর্বে ২০১৬ সালের  ডিসেম্বরে শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহারের অভিযোগে আরেকজন আইএলও কর্মকর্তার গাড়ি আটক করা হয়েছিল।