রবিবার | ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা ও শুভেচ্ছা মিছিল Logo সুদানের আবেই শান্তিরক্ষা মিশনের ড্রোন হামলায় শহীদ সেনা সদস্যের রাষ্টীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন পলাশবাড়ীতে Logo ৪৭৫ কোটি টাকা ‘জলে’: খনন শেষ হতেই ভরাট সাতক্ষীরার নদী-খাল ​জলাবদ্ধতা কাটেনি, উল্টো সেচ সংকটে কৃষক ও ঘেরমালিকরা ​ Logo খুবিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য মাস্টার্স ও পিএইচডি ভর্তি শুরু Logo মিয়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্টসহ ৮ জন পাচারকারী আটক Logo ইবিতে শহীদ ওসমান হাদি ও দীপু দাশ স্মরণে শান্তি প্রার্থনা Logo ফাউন্ডেশন ফর ডাঃ আব্দুল হাই মেধাবৃত্তিতে অংশ নিল ২২৫ শিক্ষার্থী Logo ভারতীয় নাগরিকের গুলিবর্ষণে সিলেট সীমান্তে ২ বাংলাদেশি নিহত Logo সাতক্ষীরায় জুলাই যোদ্ধা শরীফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, গায়েবানা জানাজা ও দোয়া মাহফিল Logo সাংবাদিকদের পাশে থাকবে সরকার: ন্যায়বিচারের আশ্বাস

ষড়যন্ত্রকারীরা দেশের এগিয়ে যাওয়ার পথ বন্ধ করতে চায় : ওবায়দুল কাদের

  • আপডেট সময় : ০৯:৩৪:৫৯ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৪ আগস্ট ২০২০
  • ৭৮৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের কুশীলবরা সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে দেশের এগিয়ে যাওয়ার পথ বন্ধ করতে চায়।
তিনি বলেন, ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের কুশীলববরা এখনও আছে। উন্নয়ন বিরোধী অপশক্তি এখনও চারপাশে। উগ্রসাম্প্রদায়িক অপশক্তি এখনও সুযোগ খুঁজছে। তারা দেশের উন্নয়ন বিরোধী। শান্তি ও স্বস্তির বাংলাদেশ তারা চায় না। শেখ হসিনার নেতৃত্বে সমৃদ্ধ আগামীর পথে এগিয়ে যাওয়া তাদের গাত্রদাহ।’
ওবায়দুল কাদের আজ শুক্রবার বিকেলে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন(ডিএসসিসি) আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের তাঁর জাতীয় সংসদ ভবনের বাসভবন থেকে আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা এদেশকে পাকিস্তানী ভাবধারায় নিয় যেতে চায়, চায় সংঘাতে জর্জড়িত রক্তান্ত প্রান্তর। তারা সাম্প্রদয়িকতার বিষ ছড়িয় দেশের এগিয়ে যাওয়া বন্ধ করতে চায়। কিন্তু যতক্ষন দেশরতœ শেখ হাসিনা আছেন, আমাদের সমৃদ্ধ আগামী বিনির্মানের আগ্রযাত্রা এগিয়ে যাবেই। সতর্কতার পাশাপাশি আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সম্মলিত প্রয়াসে দেশরতœ শেখ হাসিনার হাতকে করতে হবে শক্তিশালী।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা কথায় কথায় গুম-খুনের কথা বলেন,মানবাধিকারের বুলি আওড়ায় তারাই অপারেশন ক্লিন হার্র্টের নামে ২০০২ সাল থেকে ২০০৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে ৯৭ জনকে হত্যা করেছিলো। যারা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বাঁচাতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিলো তাদের মুখে মানবাধিকারের কথা মানায় না।
তিনি বলেন, খুনিদের সাথে সখ্যতা, খুনের অনুমোদন দেওয়া আর হত্যা ও সন্ত্রাস নির্ভর রাজনীতিই বিএনপির ঐতিহ্য। তারা দুর্নীতি নিয়ে কথা বলে। অথচ বিএনপি আর দুর্নীতি শব্দ দু’টি এখন অনেকটাই সমার্থক।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের রক্ত¯্রােতে এদেশের প্রতি ইঞ্চি ভূমি পবিত্র উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতি ইঞ্চি ভূমি এখন উন্নয়নের ফসলে ভরে তুলেছেন উন্নয়নের কান্ডারী শেখ হাসিনা।
১৫ ও ২১ আগস্টের কুশীলবরা এখনও সক্রিয়। এখনও তাদের ষড়যন্ত্রের নীলনকশা চলছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৫ আগস্ট ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম রাজনৈতিক হত্যাকান্ড। জগতে আর কোনো হত্যাকান্ডে নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করা হয়নি, ‘অবলা নারী’কে হত্যা করা হয়নি, টার্গেট করা হয়নি অন্তঃসত্ত্বা নারীকে।
তিনি বলেন, সে সময় বিদেশে ছিলেন বলেই প্রাণে বেঁচে যান আমাদের আশার বাতিঘর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানা। সেদিন তারা বেঁচে গিয়েছিলেন বলেই আজকে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। হয়েছে যুদ্ধাপরাধের বিচার। কলঙ্কমুক্ত হয়েছে দেশ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাযজ্ঞ এবং পরবর্তীতে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা। ১৫ আগস্টের প্রধান টার্গেট ছিল আমাদের ভৌগলিক মুক্তির স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। একুশে আগস্টে প্রধান টার্গেট ছিল আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির স্থপতি শেখ হাসিনা। দু’টি ঘটনার কুশীলবরা এখনও সক্রিয়। তাদের ষড়যন্ত্রের নীলনকশা এখনও চলছে।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢাকায় বসে গণমাধ্যমে মিথ্যাচার করা, নেতিবাচকতার বিষবাষ্প এবং গুজব ছড়ানোই এখন তাদের রাজনীতির মূল হাতিয়ার। শেখ হাসিনা অপরাধীদের বিচারের বেলায় কোনো দলীয় পরিচয় দেখেননি। অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই বিবেচনা করেছেন। নিজের দলের কর্মীদেরও তিনি ছাড় দেননি। তিনি প্রমাণ করেছেন দলীয় পরিচয় স্বার্থরক্ষার ঢাল হতে পারে না।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে শোক দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন এলজিআরডি মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি,সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলাল উদ্দিন আহমদ প্রমুখ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা ও শুভেচ্ছা মিছিল

ষড়যন্ত্রকারীরা দেশের এগিয়ে যাওয়ার পথ বন্ধ করতে চায় : ওবায়দুল কাদের

আপডেট সময় : ০৯:৩৪:৫৯ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৪ আগস্ট ২০২০

নিউজ ডেস্ক:

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের কুশীলবরা সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে দেশের এগিয়ে যাওয়ার পথ বন্ধ করতে চায়।
তিনি বলেন, ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের কুশীলববরা এখনও আছে। উন্নয়ন বিরোধী অপশক্তি এখনও চারপাশে। উগ্রসাম্প্রদায়িক অপশক্তি এখনও সুযোগ খুঁজছে। তারা দেশের উন্নয়ন বিরোধী। শান্তি ও স্বস্তির বাংলাদেশ তারা চায় না। শেখ হসিনার নেতৃত্বে সমৃদ্ধ আগামীর পথে এগিয়ে যাওয়া তাদের গাত্রদাহ।’
ওবায়দুল কাদের আজ শুক্রবার বিকেলে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন(ডিএসসিসি) আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের তাঁর জাতীয় সংসদ ভবনের বাসভবন থেকে আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা এদেশকে পাকিস্তানী ভাবধারায় নিয় যেতে চায়, চায় সংঘাতে জর্জড়িত রক্তান্ত প্রান্তর। তারা সাম্প্রদয়িকতার বিষ ছড়িয় দেশের এগিয়ে যাওয়া বন্ধ করতে চায়। কিন্তু যতক্ষন দেশরতœ শেখ হাসিনা আছেন, আমাদের সমৃদ্ধ আগামী বিনির্মানের আগ্রযাত্রা এগিয়ে যাবেই। সতর্কতার পাশাপাশি আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সম্মলিত প্রয়াসে দেশরতœ শেখ হাসিনার হাতকে করতে হবে শক্তিশালী।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা কথায় কথায় গুম-খুনের কথা বলেন,মানবাধিকারের বুলি আওড়ায় তারাই অপারেশন ক্লিন হার্র্টের নামে ২০০২ সাল থেকে ২০০৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে ৯৭ জনকে হত্যা করেছিলো। যারা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বাঁচাতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিলো তাদের মুখে মানবাধিকারের কথা মানায় না।
তিনি বলেন, খুনিদের সাথে সখ্যতা, খুনের অনুমোদন দেওয়া আর হত্যা ও সন্ত্রাস নির্ভর রাজনীতিই বিএনপির ঐতিহ্য। তারা দুর্নীতি নিয়ে কথা বলে। অথচ বিএনপি আর দুর্নীতি শব্দ দু’টি এখন অনেকটাই সমার্থক।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের রক্ত¯্রােতে এদেশের প্রতি ইঞ্চি ভূমি পবিত্র উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতি ইঞ্চি ভূমি এখন উন্নয়নের ফসলে ভরে তুলেছেন উন্নয়নের কান্ডারী শেখ হাসিনা।
১৫ ও ২১ আগস্টের কুশীলবরা এখনও সক্রিয়। এখনও তাদের ষড়যন্ত্রের নীলনকশা চলছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৫ আগস্ট ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম রাজনৈতিক হত্যাকান্ড। জগতে আর কোনো হত্যাকান্ডে নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করা হয়নি, ‘অবলা নারী’কে হত্যা করা হয়নি, টার্গেট করা হয়নি অন্তঃসত্ত্বা নারীকে।
তিনি বলেন, সে সময় বিদেশে ছিলেন বলেই প্রাণে বেঁচে যান আমাদের আশার বাতিঘর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানা। সেদিন তারা বেঁচে গিয়েছিলেন বলেই আজকে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। হয়েছে যুদ্ধাপরাধের বিচার। কলঙ্কমুক্ত হয়েছে দেশ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাযজ্ঞ এবং পরবর্তীতে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা। ১৫ আগস্টের প্রধান টার্গেট ছিল আমাদের ভৌগলিক মুক্তির স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। একুশে আগস্টে প্রধান টার্গেট ছিল আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির স্থপতি শেখ হাসিনা। দু’টি ঘটনার কুশীলবরা এখনও সক্রিয়। তাদের ষড়যন্ত্রের নীলনকশা এখনও চলছে।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢাকায় বসে গণমাধ্যমে মিথ্যাচার করা, নেতিবাচকতার বিষবাষ্প এবং গুজব ছড়ানোই এখন তাদের রাজনীতির মূল হাতিয়ার। শেখ হাসিনা অপরাধীদের বিচারের বেলায় কোনো দলীয় পরিচয় দেখেননি। অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই বিবেচনা করেছেন। নিজের দলের কর্মীদেরও তিনি ছাড় দেননি। তিনি প্রমাণ করেছেন দলীয় পরিচয় স্বার্থরক্ষার ঢাল হতে পারে না।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে শোক দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন এলজিআরডি মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি,সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলাল উদ্দিন আহমদ প্রমুখ।