শিরোনাম :
Logo জাবি ছাত্রদলের বর্ধিত কমিটি নিয়ে নানা সমালোচনা Logo দৈনিক কালের কন্ঠের সম্পাদকের সাথে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo সাংবাদিককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ! Logo গল্লামারী মৎস্য খামার হস্তান্তরে প্রধান উপদেষ্টার কাছে খুবি শিক্ষার্থীদের খোলা চিঠি Logo ইবিতে হিন্দু ধর্ম অবমাননার অভিযোগে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি Logo খুবির আবাসন সংকট ও ক্যাম্পাস সম্প্রসারণ নিরসনে বাধা গল্লামারী মৎস্য খামার Logo রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কালচারাল সোসাইটির সভাপতি নিতু, সাধারণ সম্পাদক রিদয় Logo ডাঃ আব্দুল হাই ফাউন্ডেশনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ: ৯৩ কৃতি শিক্ষার্থীর মাঝে বৃত্তি সনদ ও নগদ সহায়তা প্রদান Logo সিরাজগঞ্জে রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার আগেই ফাটল! প্রশাসনের তদন্তে অনিয়মের প্রমাণ Logo আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: জবির ফিন্যান্স ১৭তম ব্যাচের সহপাঠীদের বিবৃতি

বিএনপি নেতা-কর্মীদের কর্মসূচি দিয়ে মাঠে থাকার সাহস নেই।

  • আপডেট সময় : ০৩:০২:০৩ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৮ আগস্ট ২০২০
  • ৭৬৫ বার পড়া হয়েছে
নিউজ ডেস্ক:
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। এরপর বিএনপির তৃণমূলের দাবি ছিলো- কঠোর কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলন করার। কিন্তু কেন্দ্র থেকে সামান্য বিক্ষোভ আর সমাবেশ ছাড়া তেমন কোনো কর্মসূচি দিতে পারেনি দলটি। এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি ক্ষোভ বাড়ছে তৃণমূলের। 
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, অদক্ষ নেতৃত্ব আর সিদ্ধান্তহীনতার কারণেই বিএনপির হাইকমান্ড কর্মসূচি দিতে ব্যর্থ হয়েছে। বছরজুড়ে বিএনপির সিনিয়র নেতা থেকে শুরু করে মাঝারি ও তৃণমূল নেতারা দোয়া-মোনাজাত, কালো পতাকা মিছিল, মানববন্ধন, সমাবেশ, ঘরোয়া আলোচনা সভা আর ছোটখাটো বিক্ষোভ কর্মসূচি করেছে। এ সময় তারা বড় আন্দোলনের হুমকি দিলেও কার্যত কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারেনি। এমনকি ঢাকার বাইরের বিভাগীয় শহরগুলোতেও বড় সমাবেশ করতে ব্যর্থ হয়েছে তারা।
তারা বলেন, কে দেবে বিএনপির কর্মসূচি? বিএনপি নেতা-কর্মীদের কর্মসূচি দিয়ে মাঠে থাকার সাহস নেই। এ পর্যন্ত তাদের নেতাকর্মীরা কোনো আন্দোলন বেগবান করতে পারেনি। এমনকি আন্দোলনের ডাক দিলেও বিএনপির নেতাকর্মীরা মাঠে আসেন না। আর বর্তমানে তো বিএনপিতে কর্মসূচি দেয়ার মতো কেউই নেই। 
তারা আরো বলেন, বিএনপির সিনিয়র নেতারা ঘরে বসে শুধু প্রেস ব্রিফিং আর সরকারের সমালোচনা করতেই ব্যস্ত। বলা চলে, বিএনপির নেতারা শুধু নামে আছে, রাজনীতির মাঠে নেই। আর সেই ক্ষোভ থেকেই নেতাকর্মীদের  মধ্যে এক ধরনের দূরত্ব বাড়ছে। বর্তমানে বিএনপির মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল আর হিংসাত্মক রাজনীতি প্রকাশ্যে চলছে। 
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর থেকে শুরু করে সিনিয়র নেতারা যথাসময়ে কঠিন কর্মসূচি দেয়ার কথা বলেন। তবে বছরের পর বছর পার হলেও এই কর্মসূচি শুধু বক্তব্যের মধ্যেই রয়েছে, মাঠের রাজনীতি ও আন্দোলন তাদের পক্ষে করা সম্ভব হয়নি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন, বিএনপির আন্দোলন শুধু মুখে মুখেই। বাস্তবে মাঠের আন্দোলন করার সাহস তাদের নেই। আর আন্দোলনের ডাক দিয়ে ঘরে বসে থাকেন তারা। এতোগুলো বছরের মধ্যে একটি আন্দোলনও করতে পারেনি বিএনপি।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জাবি ছাত্রদলের বর্ধিত কমিটি নিয়ে নানা সমালোচনা

বিএনপি নেতা-কর্মীদের কর্মসূচি দিয়ে মাঠে থাকার সাহস নেই।

আপডেট সময় : ০৩:০২:০৩ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৮ আগস্ট ২০২০
নিউজ ডেস্ক:
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। এরপর বিএনপির তৃণমূলের দাবি ছিলো- কঠোর কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলন করার। কিন্তু কেন্দ্র থেকে সামান্য বিক্ষোভ আর সমাবেশ ছাড়া তেমন কোনো কর্মসূচি দিতে পারেনি দলটি। এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি ক্ষোভ বাড়ছে তৃণমূলের। 
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, অদক্ষ নেতৃত্ব আর সিদ্ধান্তহীনতার কারণেই বিএনপির হাইকমান্ড কর্মসূচি দিতে ব্যর্থ হয়েছে। বছরজুড়ে বিএনপির সিনিয়র নেতা থেকে শুরু করে মাঝারি ও তৃণমূল নেতারা দোয়া-মোনাজাত, কালো পতাকা মিছিল, মানববন্ধন, সমাবেশ, ঘরোয়া আলোচনা সভা আর ছোটখাটো বিক্ষোভ কর্মসূচি করেছে। এ সময় তারা বড় আন্দোলনের হুমকি দিলেও কার্যত কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারেনি। এমনকি ঢাকার বাইরের বিভাগীয় শহরগুলোতেও বড় সমাবেশ করতে ব্যর্থ হয়েছে তারা।
তারা বলেন, কে দেবে বিএনপির কর্মসূচি? বিএনপি নেতা-কর্মীদের কর্মসূচি দিয়ে মাঠে থাকার সাহস নেই। এ পর্যন্ত তাদের নেতাকর্মীরা কোনো আন্দোলন বেগবান করতে পারেনি। এমনকি আন্দোলনের ডাক দিলেও বিএনপির নেতাকর্মীরা মাঠে আসেন না। আর বর্তমানে তো বিএনপিতে কর্মসূচি দেয়ার মতো কেউই নেই। 
তারা আরো বলেন, বিএনপির সিনিয়র নেতারা ঘরে বসে শুধু প্রেস ব্রিফিং আর সরকারের সমালোচনা করতেই ব্যস্ত। বলা চলে, বিএনপির নেতারা শুধু নামে আছে, রাজনীতির মাঠে নেই। আর সেই ক্ষোভ থেকেই নেতাকর্মীদের  মধ্যে এক ধরনের দূরত্ব বাড়ছে। বর্তমানে বিএনপির মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল আর হিংসাত্মক রাজনীতি প্রকাশ্যে চলছে। 
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর থেকে শুরু করে সিনিয়র নেতারা যথাসময়ে কঠিন কর্মসূচি দেয়ার কথা বলেন। তবে বছরের পর বছর পার হলেও এই কর্মসূচি শুধু বক্তব্যের মধ্যেই রয়েছে, মাঠের রাজনীতি ও আন্দোলন তাদের পক্ষে করা সম্ভব হয়নি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন, বিএনপির আন্দোলন শুধু মুখে মুখেই। বাস্তবে মাঠের আন্দোলন করার সাহস তাদের নেই। আর আন্দোলনের ডাক দিয়ে ঘরে বসে থাকেন তারা। এতোগুলো বছরের মধ্যে একটি আন্দোলনও করতে পারেনি বিএনপি।