শিরোনাম :
Logo ঝিকুট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মালখানগর ঐক্যতান সমাজকল্যাণ সংগঠনের শুভেচ্ছা Logo চাঁদপুরে ২১ তম জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন Logo রাবিতে প্রো-ভিসি’র ওপর হামলার প্রতিবাদে ইবি জিয়া পরিষদের নিন্দা Logo উৎসবমুখর  পরিবেশে কয়রায় পালিত হতে যাচ্ছে  শারদীয় দুর্গা উৎসব Logo কচুয়ায় ষড়যন্ত্রমূলক মামলার প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর Logo চাঁদপুরে জুলাই শহিদ পরিবার ও যোদ্ধাদের মানববন্ধন Logo ইবিতে বৃক্ষ বিতরণ কর্মসূচিতে সম্প্রীতির বার্তা Logo বর্ণাঢ্য আয়োজনে ইবিতে নবীনবরণ সম্পন্ন Logo যুবকদের কর্মসংস্থানে নতুন সম্ভাবনা-কয়রায় প্রশিক্ষণ সংলাপ  Logo

শেখ কামাল ছিলেন দূরদর্শী ও গভীর চিন্তাবোধের অধিকারী: সেতুমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০১:২৪:৫৫ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৫ আগস্ট ২০২০
  • ৭৭৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শহীদ শেখ কামাল ছিলেন দূরদর্শী ও গভীর চিন্তাবোধের অধিকারী এবং নির্লোভ, নির্মোহ,যিনি ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দুতে থেকেও ছিলেন অতি সাধারণ।
আজ সকালে শহীদ শেখ কামালের ৭১ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রথমে ধানমন্ডিস্থ আবাহনী ক্লাব ও বনানী কবরস্থানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তার সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক অবস্থার পরিবর্তনে রাজনীতির সংস্কৃতি বদলানোর বিষয়টি উপলব্ধি করেই শহীদ শেখ কামাল সংস্কৃতির রাজনীতির উপর গুরুত্বরোপ করেছিলেন।
রাজনৈতিক সংস্কৃতি আদর্শবাদী রাজনীতি মজবুত করার বুনিয়াদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ কামাল বুঝতে পেরেছিলেন, রাজনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন চাইলে রাজনীতির সংস্কৃতি বদলাতে হয়। রাজনীতির সংস্কৃতিকে টেকসই করার জন্য শেখ কামাল সংস্কৃতির রাজনীতির উপর গুরুত্বরোপ করেছিলেন। ক্রীড়া ও সংস্কৃতিকে তিনি গ্রহণ করেছিলেন আত্মপোলব্ধির সোপান হিসেবে।
কাদের বলেন, দেশ বিভাগের মাধ্যমে সৃষ্ট সদ্য পাকিস্তান রাষ্ট্রে শেখ কামালের জন্ম হয়। পাকিস্তান রাষ্ট্রে শোষণ বঞ্চনা-নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাঙালির স্বাধীনতা আদায়ের সংগ্রামের পরিক্রমা আর শেখ কামালের বেড়ে ওঠা ছিল সমান্তরাল। বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা, ইতিহাসের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে তিনি খুব কাছ থেকেই বাঙালী জাতির অধিকার আদায়ের সংগ্রামের বিষয়টি প্রত্যক্ষ করেন।
তিনি বলেন, শেখ কামাল সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উৎকর্ষ সাধনে ক্রীড়া ও সংস্কৃতির নিগূঢ় শক্তিতে বলীয়ান হতে পারলে সব কিছুই কল্যাণমুখী হবে- এ বোধ তার মধ্যে প্রবলভাবে জেগে উঠেছিল। স্বাধীনতা উত্তর যুদ্ধবিদ্ধস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন কর্মসূচির পাশাপাশি সমাজের পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নে সমাজ চেতনায় উদ্বুদ্ধকরণে মঞ্চ নাটক আন্দোলনের ক্ষেত্রে তিনি প্রথম সারির সংগঠক ছিলেন।
অভিজ্ঞতায়-স্মৃতিতে-অনুভূতিতে শেখ কামাল প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে চির অম্লান উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শহীদ শেখ কামাল খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সংগঠিত বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আত্মনিবেদিত ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাড়ি থেকে বের হয়ে সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ছিলেন তার প্রজন্মের অগ্রবর্তী পথ প্রদর্শক। তিনি ছিলেন দূরদর্শী ও গভীর চিন্তাবোধের অধিকারী।
শেখ কামাল মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানের পুত্র হয়েও অত্যন্ত সাদাসিধে জীবনযাপন করতেন। ক্ষমতার বিন্দুতে থেকেও তিনি ছিলেন নির্লোভ, নির্মোহ। এ কারণে শেখ কামাল বর্তমান প্রজন্মের কাছে এক অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব হলেও স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি ও দেশ বিরোধী চক্র জাতির পিতার পরিবার নিয়ে গোয়েবলসীয় কায়দায় বার বার মিথ্যাচার করে জনমানসে এক ভ্রান্ত প্রতিচিত্র আঁকার অপচেষ্টা করেছে। ঘন কালো মেঘ সূর্যোদয় ক্ষণিকের জন্য বাধাগ্রস্থ করতে পারলেও যেমন সূর্যোদয় রুখতে পারে না ঠিক তেমনি সত্য তার নিজস্ব শক্তি নিয়েই সকল বাধা ডিঙ্গিয়ে উদ্ভাসিত হয় প্রকৃতির নিয়মে।
তিনি বলেন, শেখ কামাল অফুরন্ত-অনিঃশেষ প্রাণশক্তির অধিকারী ছিলেন। বিরামহীনভাবে ছুটে চলা এই উদ্দীপ্ত কর্মনিষ্ঠ প্রাণের স্পন্দনকে চিরতরে স্তব্ধ করে দেয় খুনী ঘাতক চক্র। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট খুনী ঘাতকচক্র শেখ কামালকে হত্যার মধ্য দিয়ে শুধুমাত্র এক প্রতিশ্রুতিশীল তারুণ্য বা যুব অহংকারকেই হত্যা করেনি, হত্যা করেছিল ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের এক সম্ভাবনাময় নেতৃত্বকে। সেদিন বিদেশের মাটিতে থাকার কারণে প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। এরপরও শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য অসংখ্যবার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু হতভাগ্য-বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায় ও আমাদের সামগ্রিক মুক্তির পথ প্রদর্শক হিসেবে শেখ হাসিনা এ দেশের মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে পরম করুণাময়ের অশেষ কৃপায় বেঁচে আছেন।
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনা ইবনে রশীদের হত্যাকারীরা পার পাবে না বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সত্য উৎঘাটন করা হবে। কেউ পার পেয়ে যেতে পারবে না।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঝিকুট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মালখানগর ঐক্যতান সমাজকল্যাণ সংগঠনের শুভেচ্ছা

শেখ কামাল ছিলেন দূরদর্শী ও গভীর চিন্তাবোধের অধিকারী: সেতুমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০১:২৪:৫৫ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৫ আগস্ট ২০২০

নিউজ ডেস্ক:

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শহীদ শেখ কামাল ছিলেন দূরদর্শী ও গভীর চিন্তাবোধের অধিকারী এবং নির্লোভ, নির্মোহ,যিনি ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দুতে থেকেও ছিলেন অতি সাধারণ।
আজ সকালে শহীদ শেখ কামালের ৭১ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রথমে ধানমন্ডিস্থ আবাহনী ক্লাব ও বনানী কবরস্থানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তার সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক অবস্থার পরিবর্তনে রাজনীতির সংস্কৃতি বদলানোর বিষয়টি উপলব্ধি করেই শহীদ শেখ কামাল সংস্কৃতির রাজনীতির উপর গুরুত্বরোপ করেছিলেন।
রাজনৈতিক সংস্কৃতি আদর্শবাদী রাজনীতি মজবুত করার বুনিয়াদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ কামাল বুঝতে পেরেছিলেন, রাজনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন চাইলে রাজনীতির সংস্কৃতি বদলাতে হয়। রাজনীতির সংস্কৃতিকে টেকসই করার জন্য শেখ কামাল সংস্কৃতির রাজনীতির উপর গুরুত্বরোপ করেছিলেন। ক্রীড়া ও সংস্কৃতিকে তিনি গ্রহণ করেছিলেন আত্মপোলব্ধির সোপান হিসেবে।
কাদের বলেন, দেশ বিভাগের মাধ্যমে সৃষ্ট সদ্য পাকিস্তান রাষ্ট্রে শেখ কামালের জন্ম হয়। পাকিস্তান রাষ্ট্রে শোষণ বঞ্চনা-নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাঙালির স্বাধীনতা আদায়ের সংগ্রামের পরিক্রমা আর শেখ কামালের বেড়ে ওঠা ছিল সমান্তরাল। বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা, ইতিহাসের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে তিনি খুব কাছ থেকেই বাঙালী জাতির অধিকার আদায়ের সংগ্রামের বিষয়টি প্রত্যক্ষ করেন।
তিনি বলেন, শেখ কামাল সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উৎকর্ষ সাধনে ক্রীড়া ও সংস্কৃতির নিগূঢ় শক্তিতে বলীয়ান হতে পারলে সব কিছুই কল্যাণমুখী হবে- এ বোধ তার মধ্যে প্রবলভাবে জেগে উঠেছিল। স্বাধীনতা উত্তর যুদ্ধবিদ্ধস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন কর্মসূচির পাশাপাশি সমাজের পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নে সমাজ চেতনায় উদ্বুদ্ধকরণে মঞ্চ নাটক আন্দোলনের ক্ষেত্রে তিনি প্রথম সারির সংগঠক ছিলেন।
অভিজ্ঞতায়-স্মৃতিতে-অনুভূতিতে শেখ কামাল প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে চির অম্লান উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শহীদ শেখ কামাল খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সংগঠিত বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আত্মনিবেদিত ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাড়ি থেকে বের হয়ে সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ছিলেন তার প্রজন্মের অগ্রবর্তী পথ প্রদর্শক। তিনি ছিলেন দূরদর্শী ও গভীর চিন্তাবোধের অধিকারী।
শেখ কামাল মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানের পুত্র হয়েও অত্যন্ত সাদাসিধে জীবনযাপন করতেন। ক্ষমতার বিন্দুতে থেকেও তিনি ছিলেন নির্লোভ, নির্মোহ। এ কারণে শেখ কামাল বর্তমান প্রজন্মের কাছে এক অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব হলেও স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি ও দেশ বিরোধী চক্র জাতির পিতার পরিবার নিয়ে গোয়েবলসীয় কায়দায় বার বার মিথ্যাচার করে জনমানসে এক ভ্রান্ত প্রতিচিত্র আঁকার অপচেষ্টা করেছে। ঘন কালো মেঘ সূর্যোদয় ক্ষণিকের জন্য বাধাগ্রস্থ করতে পারলেও যেমন সূর্যোদয় রুখতে পারে না ঠিক তেমনি সত্য তার নিজস্ব শক্তি নিয়েই সকল বাধা ডিঙ্গিয়ে উদ্ভাসিত হয় প্রকৃতির নিয়মে।
তিনি বলেন, শেখ কামাল অফুরন্ত-অনিঃশেষ প্রাণশক্তির অধিকারী ছিলেন। বিরামহীনভাবে ছুটে চলা এই উদ্দীপ্ত কর্মনিষ্ঠ প্রাণের স্পন্দনকে চিরতরে স্তব্ধ করে দেয় খুনী ঘাতক চক্র। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট খুনী ঘাতকচক্র শেখ কামালকে হত্যার মধ্য দিয়ে শুধুমাত্র এক প্রতিশ্রুতিশীল তারুণ্য বা যুব অহংকারকেই হত্যা করেনি, হত্যা করেছিল ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের এক সম্ভাবনাময় নেতৃত্বকে। সেদিন বিদেশের মাটিতে থাকার কারণে প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। এরপরও শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য অসংখ্যবার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু হতভাগ্য-বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায় ও আমাদের সামগ্রিক মুক্তির পথ প্রদর্শক হিসেবে শেখ হাসিনা এ দেশের মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে পরম করুণাময়ের অশেষ কৃপায় বেঁচে আছেন।
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনা ইবনে রশীদের হত্যাকারীরা পার পাবে না বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সত্য উৎঘাটন করা হবে। কেউ পার পেয়ে যেতে পারবে না।