নিউজ ডেস্ক:
তারা জানান, রোববার টানেলের বাম লাইনের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এতে প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশের কাজ সম্পন্ন হলো।
কর্ণফুলী নদীর নিচে অবস্থিত ৯.৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ সুড়ঙ্গটি নদীর দুই তীরের অঞ্চলকে যুক্ত করবে। এটিই বাংলাদেশের প্রথম সুড়ঙ্গ পথ। যার মূল কাঠামো ২৪৫০ মিটার দীর্ঘ এবং ব্যাস ১১.৮ মিটার। এ টানেলের মধ্য দিয়ে যুক্ত হবে ঢাকা-চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক। যার দুটি আলাদা পথে চারটি লেন দিয়ে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার গতিতে চলবে গাড়ি।
শহরপ্রান্তের নেভাল একাডেমির পাশ দিয়ে শুরু হওয়া এ সুড়ঙ্গ সিইউএফএল (চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড) এবং কাফকো (কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার লিমিটেড) কারখানার মাঝামাঝি স্থান দিয়ে নদীর দক্ষিণ প্রান্তে পৌঁছাবে। যা নদীর মধ্যভাগে ১৫০ ফুট গভীরে অবস্থান করবে।
২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরে ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি কর্ণফুলী সুড়ঙ্গ বা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। টানেলটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে নয় হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। যার পাঁচ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা প্রকল্প ঋণ হিসেবে অর্থায়ন করছে চায়না এক্সিম ব্যাংক। এছাড়া বাকি অর্থায়ন বাংলাদেশ সরকারের (জিওবি)।