নিউজ ডেস্ক:
রাশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের’ জন্য ‘রাশিয়ান যন্ত্রপাতি’ নির্মাণ কার্যক্রমের অগ্রগতি দেখতে মস্কোর দু’টি কারখানা পরিদর্শন করেছেন।
তিনি গতকাল বুধবার মস্কোস্থ ‘জেএসসি রাস’ এবং তার আগেরদিন মঙ্গলবার ‘পিজেএসসি জিও পোডোলস্ক’- এইদু’টি কারখানা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
‘পিজেএসসি জিও পোডোলস্ক’ কারখানা পরিদর্শনের আগে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক (ডিজি) আনাতোলি এম স্মিরভ তাদের কারখানায় ‘যন্ত্রাংশ নির্মাণ’ কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন।
এ সময় কামরুল আহসান বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ
কেন্দ্রের যন্ত্রপাতি ‘আন্তর্জাতিক মান-সম্পন্ন ও যথাসময়ে স্থাপনের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার আহবান জানান।
পরে তিনি এ কারখানার বিভিন্ন বিভাগে রূপপুর প্রকল্পের জন্য নির্মাণাধীন যন্ত্রাংশ অবলোকন করেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, জিও পোডোলস্ক কারখানায় রূপপুর পারমাণবিক বিদুৎ কেন্দ্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু যন্ত্রপাতি তৈরি হচ্ছে। এ কারখানা থেকে ইতোমধ্যে প্রথম ইউনিটের ময়েশ্চার সেপারেটর রিহিটারের চারটি সেট, হাই প্রেসার হিটারের চারটি সেট এবং প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিটের বাবলার ট্যাঙ্ক রূপপুর প্রকল্প এলাকায় সরবরাহ করা হয়েছে। কারখানাটিতে এখন দ্বিতীয় ইউনিটের ময়েশ্চার সেপারেটর রিহিটার, হাই প্রেসার হিটার এবং ইমার্জেন্সি কোর কুলিং সিস্টেম হাইড্র্াে একুমুলেটর নির্মাণের কাজ চলছে। কারখানা কতৃপক্ষ, যন্ত্রপাতি-নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের আগেই সম্পন্ন করে প্রকল্প এলাকায় সরবরাহের ব্যাপারে রাষ্ট্রদূতকে নিশচয়তা প্রদান করেছেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এস্কোর ‘জিওপোডোলস্ক কারখানাটি’ একশ’ বছরের অধিক সময় ধরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, তেল ও গ্যাস প্রক্রিয়াকরণ শিল্প এবং পারমাণবিক শক্তিচালিত জাহাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ তৈরি করে আসছে। এটি রোসাটমের কারিগরী বিভাগ এ্যটম-এনার্গোম্যাশের অধীনস্থ একটি প্রতিষ্ঠান।
একই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জেএসসি রাসু কারখানা পরিদর্শনের আগে ওই কারখানার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আন্দ্রেই বুতকোর সাথে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সভায় ওই কারখানার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসানকে জানান, করোনা (কভিড-১৯) মহামারির মধ্যেও বিশেষ ব্যবস্থাপনায় কারখানার উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ সচল ছিল।