ইমাম বিমান, ঝালকাঠি থেকে :
ঝালকাঠিতে শারীরিক অসুস্থতা নিয়েও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য নিজ উদ্যোগে ৫০টি মধ্যবিত্ত ও গরীব পরিবারের মাঝে নিজ অর্থায়নে খাদ্যদ্রব্য বিতরন করেছেন ঝালকাঠির ব্যবসায়ী মহিউদ্দীন তালুকদার বাপ্পী।
এ বিষয় ব্যবসায়ী বাপ্পীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, সারা বিশ্বে
(কোভিড-১৯) তথা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের মূল মন্ত্র যেখানে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে চলা আর সেই দুরুত্ব বজায় রেখেই লকডাউন বাংলাদেশে সরকার কতৃক গরীবদের মাঝে খাদ্যদ্রব্য বিতরন করা হলেও মধ্যবিত্তরা ধরা ছোয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে। আমার জেলায় অসংখ্য মধ্যবিত্ত পরিবার রয়েছে যারা শত কষ্টের মধ্যে থাকলেও কারো কাছে হাত পাতছেন না, নিজের সম্মান টুকু বজায় রাখার জন্য, লজ্জা করেও কারো কাছে কিছু চাইতে পারছেন না। তাই আমার পক্ষে আমার জেলার সব স্থানে সহযোগীতা করতে না পারলেও নিজ আবাসস্থল তথা নিজ এলাকার মধ্যবিত্ত ও গরীব পরিবারকে প্রাধান্য দিয়েই নিজ পরিচয় গোপন রাতের আধারে একজন সহযোগী নিয়ে মধ্যবিত্ত পরিবারের দরজায় গিয়ে খাদ্যদ্রব্য পৌছে দিয়েছি। কি কি খাদ্যদ্রব্য দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, ৫ কেজি চাল, ১কেজি মুসূরের ডাল, ১ লিটার সয়াবিন তৈল, ২কেজি আটা, ২কেজি আলু, ১কেজি পিয়াজ ও স্যানেটেরাইজারের জন্য ১টি সাবান আলাদা প্যাকেট করে সম্পূর্ন দ্রব্য একটি ব্যাগে ঢুকিয়ে এভাবে ৫০টি ব্যাগে করে ৫০টি পরিবারের মধ্যে রাতের আধারে বিতরন করি।
আমি আমার এই দানের বিষয়টি প্রচার করতে আমার এক ঘনিষ্ট ভাই যাকে
আমাদের জেলা শহরে মানবসেবী সাগর নামে চেনে সেই সাগর ভাই ও সাংবাদিক ভাইকে একবার বারন করেছিলাম। কারন আমি চেয়েছিলাম ডান হাত দিয়ে দেব বাম হাত টের পাবেনা। কিন্তু সাগর ভাই অনুরোধ করলেন যে এটা প্রচার হওয়া দরকার কারন হিসেবে বললেন, আমার দেখাদেখি আমার জেলা তথা সমগ্র দেশের বিত্তবান ব্যক্তিরা এভাবে সামজিক দুরত্ব বজায় রাখতে মধ্যবিত্ত ও গরীবদের ঘরে ঘরে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে আসলে অনেকেই কাজের সন্ধানে বের হতেন না। আর এভাবেই আমাদের দেশের মানুষ করোনা ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পেত বলে আমি মনেকরি। সবশেষে আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রার্থনা তিনি আমাদের সকলকে ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা করুন।