সোমবার | ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo মাদকবিরোধী ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ খেলাধুলার মাধ্যমে তরুণদের মাদক থেকে দূরে রাখতে হবে” — অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ এরশাদ উদ্দিন Logo খুলনায় এনসিপি নেতাকে গুলি: সাতক্ষীরা সীমান্ত সিল, বিজিবির ৫৭ চেকপোস্ট ও ৮৭টি অতিরিক্ত টহল Logo কুয়াশার চাদরে মোড়া ডিসেম্বরের ক্যাম্পাস Logo যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার ওপর আরও চাপ প্রয়োগের আহ্বান জেলেনস্কির Logo নির্বাচনে আস্থার পরিবেশ তৈরিতে অপারেশন শুরু করবে যৌথবাহিনী: ইসি সানাউল্লাহ Logo রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে Logo কুমিল্লায় আইদি পরিবহন প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা, চাঁদপুরে মানববন্ধন Logo মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন চাঁদপুর-৩ আসনে ইসলামী ফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী সাংবাদিক আহসান উল্লাহ Logo আগামী ২৭ ডিসেম্বর শনিবার চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির শীতকালীন গিটারসন্ধ্যা Logo তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা ও শুভেচ্ছা মিছিল

নিউইয়র্কে করোনাভাইরাস কমপক্ষে ১৫ বাংলাদেশীর মৃত্যু

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১০:২১:২১ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩০ মার্চ ২০২০
  • ৭৭৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নিউইয়র্ক স্টেট এবং বিশেষ করে নিউইয়র্ক শহর।

সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এক নিউইয়র্ক সিটিতেই মারা গেছে ৭৮০ জন, আক্রান্তের সংখ্যা কমপক্ষে ৩৪ হাজার।

সেফেস্ট নামে একটি সামাজিক সংগঠন এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের নানা সংগঠনের বরাত দিয়ে নিউইয়র্কের সাংবাদিক লাভলু আনসার বিবিসি বাংলাকে বলেন, গত ১০ দিনে নিউইয়র্ক সিটিতে কমপক্ষে ১৫ জন প্রবাসী বাংলাদেশী মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ছয়জন নারী।

এছাড়া, এক শ’রও বেশি বাংলাদেশী বিভিন্ন হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশী অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটস এলাকার কাছে এম্‌হার্স্ট নামে একটি হাসপাতালে গত সপ্তাহে এক দিনে ২৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে চারজন ছিলেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত।

“হাসপাতালে বেড এবং ভেন্টিলেটর মেশিন না থাকায় অনেক রোগী অপেক্ষারত অবস্থাতে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন।”

ঐ মৃত্যুর ঘটনায় গভীর ক্ষোভ এবং শোক প্রকাশ করেছেন নিউইয়র্ক রাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রু ক্যুমো।

লাভলু আনসার বলছেন, এত মৃত্যুর ঘটনায় নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কম্যুনিটিতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

কেন এত বাংলাদেশী মারা গেল?

লাভলু অনসার বলছেন, নিউইয়র্কের পরিস্থিতি ভয়াবহ এবং শুধু বাংলাদেশি নয় নিউইয়র্কে অন্যান্য সব কম্যুনিটির লোকই মারা যাচ্ছে। তবে, তিনি বলেন, ১৯ মার্চ রাজ্যে লক-ডাউন ঘোষণার পর প্রথম দিকে বহু বাংলাদেশী তাকে তেমন গুরুত্ব দেননি।

“অনেক বাংলাদেশী তেমন গায়ে মাখেনি। জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকার বাংলাদেশী গ্রোসারিগুলোর বাইরে তাদের আড্ডা মারতে দেখা গেছে। একসাথে অনেক মানুষ দোকানে ঢুকে কেনাকাটা করেছেন। অনেকেই মাঝেই সচেতনতা কম ছিল অথবা বিপদ বুঝতে পারেননি।”

তিনি বলেন, “এখন দোকানগুলো একজনের বেশি লোক ঢোকাচ্ছে না। ডাক্তাররাও জানালা দিয়ে রোগীর সাথে কথা বলছেন।”

নিউইয়র্ক সিটি এবং আশপাশে কমবেশি তিনলক্ষ বাংলাদেশীর বসবাস। নিউইয়র্ক এবং নিউজার্সি – এই দুই রাজ্যে করোনাভাইরাসের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। নিউইয়র্ক রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা রোববার ১,০০০ ছাড়িয়ে গেছে। আক্রান্তের সংখ্যা ৬০হাজার।

নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের এক হাজারেরও বেশি সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
সূত্র : বিবিসি

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মাদকবিরোধী ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ খেলাধুলার মাধ্যমে তরুণদের মাদক থেকে দূরে রাখতে হবে” — অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ এরশাদ উদ্দিন

নিউইয়র্কে করোনাভাইরাস কমপক্ষে ১৫ বাংলাদেশীর মৃত্যু

আপডেট সময় : ১০:২১:২১ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩০ মার্চ ২০২০

নিউজ ডেস্ক:

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নিউইয়র্ক স্টেট এবং বিশেষ করে নিউইয়র্ক শহর।

সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এক নিউইয়র্ক সিটিতেই মারা গেছে ৭৮০ জন, আক্রান্তের সংখ্যা কমপক্ষে ৩৪ হাজার।

সেফেস্ট নামে একটি সামাজিক সংগঠন এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের নানা সংগঠনের বরাত দিয়ে নিউইয়র্কের সাংবাদিক লাভলু আনসার বিবিসি বাংলাকে বলেন, গত ১০ দিনে নিউইয়র্ক সিটিতে কমপক্ষে ১৫ জন প্রবাসী বাংলাদেশী মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ছয়জন নারী।

এছাড়া, এক শ’রও বেশি বাংলাদেশী বিভিন্ন হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশী অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটস এলাকার কাছে এম্‌হার্স্ট নামে একটি হাসপাতালে গত সপ্তাহে এক দিনে ২৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে চারজন ছিলেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত।

“হাসপাতালে বেড এবং ভেন্টিলেটর মেশিন না থাকায় অনেক রোগী অপেক্ষারত অবস্থাতে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন।”

ঐ মৃত্যুর ঘটনায় গভীর ক্ষোভ এবং শোক প্রকাশ করেছেন নিউইয়র্ক রাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রু ক্যুমো।

লাভলু আনসার বলছেন, এত মৃত্যুর ঘটনায় নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কম্যুনিটিতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

কেন এত বাংলাদেশী মারা গেল?

লাভলু অনসার বলছেন, নিউইয়র্কের পরিস্থিতি ভয়াবহ এবং শুধু বাংলাদেশি নয় নিউইয়র্কে অন্যান্য সব কম্যুনিটির লোকই মারা যাচ্ছে। তবে, তিনি বলেন, ১৯ মার্চ রাজ্যে লক-ডাউন ঘোষণার পর প্রথম দিকে বহু বাংলাদেশী তাকে তেমন গুরুত্ব দেননি।

“অনেক বাংলাদেশী তেমন গায়ে মাখেনি। জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকার বাংলাদেশী গ্রোসারিগুলোর বাইরে তাদের আড্ডা মারতে দেখা গেছে। একসাথে অনেক মানুষ দোকানে ঢুকে কেনাকাটা করেছেন। অনেকেই মাঝেই সচেতনতা কম ছিল অথবা বিপদ বুঝতে পারেননি।”

তিনি বলেন, “এখন দোকানগুলো একজনের বেশি লোক ঢোকাচ্ছে না। ডাক্তাররাও জানালা দিয়ে রোগীর সাথে কথা বলছেন।”

নিউইয়র্ক সিটি এবং আশপাশে কমবেশি তিনলক্ষ বাংলাদেশীর বসবাস। নিউইয়র্ক এবং নিউজার্সি – এই দুই রাজ্যে করোনাভাইরাসের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। নিউইয়র্ক রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা রোববার ১,০০০ ছাড়িয়ে গেছে। আক্রান্তের সংখ্যা ৬০হাজার।

নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের এক হাজারেরও বেশি সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
সূত্র : বিবিসি