বৃহস্পতিবার | ৬ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo বাঁচতে চায় ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত কুবি শিক্ষার্থী প্রভা Logo ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ ও বেরোবির মাঝে সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরিত Logo চাঁদপুরে পাসপোর্ট করতে এসে ২ রোহিঙ্গা নারী আটক Logo বাংলাদেশ থেকে শুভারম্ভন হলো ‘ফোবানার ৪০ তম বর্ষপূর্তি উৎসব আয়োজন Logo বাবার কবর জিয়ারতের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করলেন শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক Logo চাঁদপুর জেলা ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের জরুরী সভা! Logo শ্লীলতাহানির মামলা করে ফের শ্লীলতাহানির শিকার ঝিনাইদহের নারী Logo ঝিনাইদহে পিকাপের ধাক্কায় নসিমন ড্রাইভার নিহত Logo ইবিতে সাংবাদিক মারধর—তিন শিক্ষার্থী বহিষ্কার, নয়জনকে সতর্ক বার্তা Logo হাপানীয়া যুব সংঘের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে ঝুড়ি বিতরণ

নিউইয়র্কে করোনাভাইরাস কমপক্ষে ১৫ বাংলাদেশীর মৃত্যু

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১০:২১:২১ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩০ মার্চ ২০২০
  • ৭৭০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নিউইয়র্ক স্টেট এবং বিশেষ করে নিউইয়র্ক শহর।

সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এক নিউইয়র্ক সিটিতেই মারা গেছে ৭৮০ জন, আক্রান্তের সংখ্যা কমপক্ষে ৩৪ হাজার।

সেফেস্ট নামে একটি সামাজিক সংগঠন এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের নানা সংগঠনের বরাত দিয়ে নিউইয়র্কের সাংবাদিক লাভলু আনসার বিবিসি বাংলাকে বলেন, গত ১০ দিনে নিউইয়র্ক সিটিতে কমপক্ষে ১৫ জন প্রবাসী বাংলাদেশী মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ছয়জন নারী।

এছাড়া, এক শ’রও বেশি বাংলাদেশী বিভিন্ন হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশী অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটস এলাকার কাছে এম্‌হার্স্ট নামে একটি হাসপাতালে গত সপ্তাহে এক দিনে ২৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে চারজন ছিলেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত।

“হাসপাতালে বেড এবং ভেন্টিলেটর মেশিন না থাকায় অনেক রোগী অপেক্ষারত অবস্থাতে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন।”

ঐ মৃত্যুর ঘটনায় গভীর ক্ষোভ এবং শোক প্রকাশ করেছেন নিউইয়র্ক রাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রু ক্যুমো।

লাভলু আনসার বলছেন, এত মৃত্যুর ঘটনায় নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কম্যুনিটিতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

কেন এত বাংলাদেশী মারা গেল?

লাভলু অনসার বলছেন, নিউইয়র্কের পরিস্থিতি ভয়াবহ এবং শুধু বাংলাদেশি নয় নিউইয়র্কে অন্যান্য সব কম্যুনিটির লোকই মারা যাচ্ছে। তবে, তিনি বলেন, ১৯ মার্চ রাজ্যে লক-ডাউন ঘোষণার পর প্রথম দিকে বহু বাংলাদেশী তাকে তেমন গুরুত্ব দেননি।

“অনেক বাংলাদেশী তেমন গায়ে মাখেনি। জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকার বাংলাদেশী গ্রোসারিগুলোর বাইরে তাদের আড্ডা মারতে দেখা গেছে। একসাথে অনেক মানুষ দোকানে ঢুকে কেনাকাটা করেছেন। অনেকেই মাঝেই সচেতনতা কম ছিল অথবা বিপদ বুঝতে পারেননি।”

তিনি বলেন, “এখন দোকানগুলো একজনের বেশি লোক ঢোকাচ্ছে না। ডাক্তাররাও জানালা দিয়ে রোগীর সাথে কথা বলছেন।”

নিউইয়র্ক সিটি এবং আশপাশে কমবেশি তিনলক্ষ বাংলাদেশীর বসবাস। নিউইয়র্ক এবং নিউজার্সি – এই দুই রাজ্যে করোনাভাইরাসের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। নিউইয়র্ক রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা রোববার ১,০০০ ছাড়িয়ে গেছে। আক্রান্তের সংখ্যা ৬০হাজার।

নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের এক হাজারেরও বেশি সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
সূত্র : বিবিসি

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাঁচতে চায় ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত কুবি শিক্ষার্থী প্রভা

নিউইয়র্কে করোনাভাইরাস কমপক্ষে ১৫ বাংলাদেশীর মৃত্যু

আপডেট সময় : ১০:২১:২১ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩০ মার্চ ২০২০

নিউজ ডেস্ক:

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নিউইয়র্ক স্টেট এবং বিশেষ করে নিউইয়র্ক শহর।

সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এক নিউইয়র্ক সিটিতেই মারা গেছে ৭৮০ জন, আক্রান্তের সংখ্যা কমপক্ষে ৩৪ হাজার।

সেফেস্ট নামে একটি সামাজিক সংগঠন এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের নানা সংগঠনের বরাত দিয়ে নিউইয়র্কের সাংবাদিক লাভলু আনসার বিবিসি বাংলাকে বলেন, গত ১০ দিনে নিউইয়র্ক সিটিতে কমপক্ষে ১৫ জন প্রবাসী বাংলাদেশী মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ছয়জন নারী।

এছাড়া, এক শ’রও বেশি বাংলাদেশী বিভিন্ন হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশী অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটস এলাকার কাছে এম্‌হার্স্ট নামে একটি হাসপাতালে গত সপ্তাহে এক দিনে ২৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে চারজন ছিলেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত।

“হাসপাতালে বেড এবং ভেন্টিলেটর মেশিন না থাকায় অনেক রোগী অপেক্ষারত অবস্থাতে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন।”

ঐ মৃত্যুর ঘটনায় গভীর ক্ষোভ এবং শোক প্রকাশ করেছেন নিউইয়র্ক রাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রু ক্যুমো।

লাভলু আনসার বলছেন, এত মৃত্যুর ঘটনায় নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কম্যুনিটিতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

কেন এত বাংলাদেশী মারা গেল?

লাভলু অনসার বলছেন, নিউইয়র্কের পরিস্থিতি ভয়াবহ এবং শুধু বাংলাদেশি নয় নিউইয়র্কে অন্যান্য সব কম্যুনিটির লোকই মারা যাচ্ছে। তবে, তিনি বলেন, ১৯ মার্চ রাজ্যে লক-ডাউন ঘোষণার পর প্রথম দিকে বহু বাংলাদেশী তাকে তেমন গুরুত্ব দেননি।

“অনেক বাংলাদেশী তেমন গায়ে মাখেনি। জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকার বাংলাদেশী গ্রোসারিগুলোর বাইরে তাদের আড্ডা মারতে দেখা গেছে। একসাথে অনেক মানুষ দোকানে ঢুকে কেনাকাটা করেছেন। অনেকেই মাঝেই সচেতনতা কম ছিল অথবা বিপদ বুঝতে পারেননি।”

তিনি বলেন, “এখন দোকানগুলো একজনের বেশি লোক ঢোকাচ্ছে না। ডাক্তাররাও জানালা দিয়ে রোগীর সাথে কথা বলছেন।”

নিউইয়র্ক সিটি এবং আশপাশে কমবেশি তিনলক্ষ বাংলাদেশীর বসবাস। নিউইয়র্ক এবং নিউজার্সি – এই দুই রাজ্যে করোনাভাইরাসের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। নিউইয়র্ক রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা রোববার ১,০০০ ছাড়িয়ে গেছে। আক্রান্তের সংখ্যা ৬০হাজার।

নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের এক হাজারেরও বেশি সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
সূত্র : বিবিসি