নিউজ ডেস্ক:ঝিনাইদহের শৈলকুপায় গভীর রাতে স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে মাথায় দা ঢুকিয়ে রাখল স্ত্রী। গত বুধবার মধ্যরাতে উপজেলার দিগনগর ইউনিয়নের দেবতলা গ্রামে এই নৃশংস ঘটনা ঘটে। কাঠ ব্যবসায়ী উজ্জ্বল শেখকে (৪০) কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন তাঁর স্ত্রী মাজেদা বেগম। খবর পেয়ে আহত উজ্জ্বলের সন্তান ও প্রতিবেশীরা মাথায় দা ঢোকানো অবস্থায় তাঁকে প্রথমে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহত উজ্জ্বল বাহাদুরপুর গ্রামের সাত্তার শেখের ছেলে। শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রহমান গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জানান, এ ঘটনায় উজ্জ্বলের স্ত্রী মাজেদা বেগম ও ছোট ছেলে হৃদয় হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। উজ্জ্বল হোসেনের বোন জোসনা খাতুন জানান, তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে মাজেদা বেগমের আনুমানিক ২০ বছরের সংসার। বেশ কয়েক বছর উজ্জ্বলের সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হতো। দাম্পত্য কলহের জের ধরেই মাজেদা খাতুন তাঁর ভাইকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন বলে তিনি মনে করছেন। জোসনা খাতুন আরও জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে পাশের রুমে ঘুমন্ত অবস্থার দুই সন্তানকে মা মাজেদা বেগম বলে, তোর বাবাকে কে যেন খুন করেছে। এর পরপরই দুই সন্তান মাথায় দা ঢোকানো অবস্থায় বাবাকে উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে মূমুর্ষ অবস্থায় সেখান থেকে তাঁকে কুষ্টিয়া ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রহমান বলেন, দেবতলা গ্রামে স্বামীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার ঘটনার সঙ্গে স্ত্রী মাজেদা বেগম জড়িত। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হবে বলে তিনি জানান।