আলমডাঙ্গার পাইকপাড়ায় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা
নিউজ ডেস্ক:আলমডাঙ্গা উপজেলার পাইকপাড়ায় তৃতীয় শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে ওই স্কুলছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। এদিকে, অভিযুক্ত আহমদ এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। পুলিশ একাধিকবার অভিযান চালিয়েও তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলমডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোস্তফা জানান, ‘ধর্ষণের ঘটনায় স্কুলছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন। যার মামলা নম্বর ৩৫, তারিখ ২৭-০৯-২০১৯। অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক ডা. আকলিমা খাতুন জানান, ‘রোগী আমার ওয়ার্ডে ভর্তি আছে। আমি তাকে পরীক্ষা করে রক্তাক্তের চিহ্ন পেয়েছি।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শামীম কবির বলেন, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণ বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে প্যাথলজিসহ অন্যান্য পরীক্ষার ফলাফল প্রাপ্তি সাপেক্ষে ধর্ষণ হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করে বলা যাবে।
চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান বলেন, গতকাল শুক্রবার সকালে ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীর প্রাথমিক আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। আজ শনিবার তার প্যাথলজিসহ যাবতীয় সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে। এরপর রিপোর্ট এলেই বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার ঘোলদাঁড়ি পাইকপাড়া গ্রামের হঠাৎপাড়ার দিনমজুরের মেয়ে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ফুঁসলিয়ে একটি স্যালোমেশিন ঘরের মধ্যে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে একই এলাকার মারফত আলীর ছেলে আহমদ আলীর বিরুদ্ধে। পরে স্কুলছাত্রী বিষয়টি পরিবারের কাছে জানালে তার পরিবারের সদস্যরা ওই রাতেই তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত আহমদ আলী পলাতক রয়েছেন।