চুয়াডাঙ্গার হিজলগাড়িতে ১৩০ বোতল ফেন্ডিসিডিলসহ মাদকব্যবসায়ী আটক
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গায় হিজলগাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির অভিযানে ১৩০ বোতল ফেন্ডিসিডিলসহ এক মাদকব্যবসায়ী আটক হয়েছে। গতকাল শনিবার ভোরে মাদকব্যবসায়ী বৃদ্ধ ওয়াহেদকে আটক করা হয়। তবে এই অভিযান পরিচালনার সময় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অভিযুক্ত মাদকব্যবসায়ী বৃদ্ধ ওয়াহেদ ও এক পুলিশ সদস্য গুরুত্বর জখম হয়। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্য রাহাতের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। আহত আটক মাদকব্যবসায়ী ওয়াহেদ আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হিজলগাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির একটি টিম ভোরে নিয়মিত টহল দিচ্ছিলেন। এসময় একটি মোটরসাইকেল আসলে দাঁড়ানোর জন্য সংকেত দিলে পাশ কাটিয়ে পালিয়ে যায় মোটরসাইকেল চালক। এতে সন্দেহ হলে ফাঁড়ির ইনচার্জ রাহাত আলী নিজ মোটরসাইকেল নিয়ে ধাওয়া করে। মাইল তিনেক গিয়ে খেজুরা নামক একটি গ্রামের মুখে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের ড্রেনে পড়ে যায় এই মাদকব্যবসায়ী। এসময় পুলিশ সদস্য রাহাত আলীও মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ড্রেনে পড়ে যায়। এতে পুলিশ সদস্য গুরুত্বর আহত হয়। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দু’টি ব্যাগ থেকে ১৩০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে। পরে স্থানীয়রা দু’জনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
পুলিশ সদস্য রাহাতের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। খবর পেয়ে হাসপাতালে দেখতে ছুটে আসেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কানাই লাল সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহসহ জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা। নিজের জীবন বাজি রেখে সাহসি অভিযানকে পুলিশ সদস্য রাহাত আলীকে এলাকাবাসী সাধুবাদ জানিয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহ বলেন, ভোরে এক মাদকব্যবসায়ীকে ধাওয়া দিয়ে ধরার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিতে গুরুত্বর আহত হয় হিজলগাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রাহাত। এসময় ওই মাদক ব্যবসায়ীও আহত হয়। পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা ঘটনাস্থল পৌছে এক ব্যাগ থেকে ১৩০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। জীবন বাজি রেখে এমন দৃষ্টান্তমূলক কাজের জন্য রাহাতকে সাধুবাদ জানান তিনি।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান বলেন, ‘অভিযুক্ত ওয়াহেদ শক্তিশালী মাদককারবারির সাথে যুক্ত। আমরা এই চক্রের সবাইকে আটকের জন্য ইতোমধ্যে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু ওয়াহেদ রানা বলেন, ‘এই পুলিশ সদস্যের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷ তার দু’পা ভেঙে গুড়িয়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা সম্মেলিত সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে পঙ্গু হাসপাতালে নেয়া হবে বলে জানায় এই চিকিৎসক।