বুধবার | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন আপসহীন নেত্রী ও দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণ Logo বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে চাঁদপুর জেলা বিএনপির শোক বইতে স্বাক্ষরসহ কর্মসূচি Logo সাতক্ষীরা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার মাগফুর Logo তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ও একদিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা Logo খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিশ্বনেতাদের শোক Logo আপনারা সবাই আমার মা’র জন্য দোয়া করবেন : তারেক রহমান Logo বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের গভীর শোক Logo ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশে গেছে ১১ লাখ ১৬ হাজারের বেশি কর্মী, রেমিট্যান্স এসেছে ১৫,৭৯১ মিলিয়ন ডলার Logo চাঁদপুর-৩ আসনে গনফোরাম মনোনীত প্রার্থী অ্যাড. সেলিম আকবরের মনোনয়ন দাখিল Logo চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী নুরুল ইসলাম বেপারী

লোকনাথপুরে গরু চুরি : চোরকে গণধোলাই!

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১১:২০:০৭ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২৪ মে ২০১৯
  • ৭৩৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:পবিত্র ঈদকে সামনে রেখে দর্শনাসহ আশপাশ এলাকায় চোরচক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। গত বুধবার গভীর রাতে লোকনাথপুর থেকে একটি চুরি হয়ে যায়। পরে চুরিকৃত গরু পরানপুরের ঘর-জামাই মিলনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে গরুর মালিক ও স্থানীয়রা। এসময় চোর মিলনকে গণধোলাই দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার দিকে ঝড়-বৃষ্টির পরপর দামুড়হুদা উপজেলার লোকনাথপুর গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে আব্দুল কাদেরের বাড়ি থেকে আনুমানিক ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি বলদ গরু চুরি হয়ে যায়। পরে চোরচক্র যে পথ দিয়ে গরু নিয়ে যায়, গরুর পায়ের চিহ্ন অনুসরন করে পরানপুরের কবরস্থানপাড়ার ঘর-জামাই রুদ্রনগর গ্রামের মোমিনের ছেলে মিলনের বাড়িতে আসে গরুর মালিক। পরে গরু মালিক আ. কাদের স্থানীয়দের সহযোগিতায় মিলনের বাড়ির একটি গোপন ঘর থেকে চুরি হওয়া গরুটি উদ্ধার করে। এসময় উৎসুক জনতা চোর মিলনকে গণধোলাই দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে।
এলাকাবাসী আরও জানায়, গত কয়েক মাসে আ.কাদেরের বাড়ি থেকে আরও ৩টি গরু, পরানপুর খেদের মালিথার ছেলে তুজাম আলী, মধু মন্ডলের ছেলে সোহরাব আলীরসহ প্রায় ১০টি গরু চুরি হয়েছে। এছাড়া গরু চোর মিলনের ভাই সিদ্দিকের আলমসাধুতে চোরচক্রের চোরাই গরু রাতারাতি বিভিন্ন হাটে ও গ্রামে গরু ব্যবসায়ীর নাম করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে দর্শনা তদন্ত কেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ জানান, ‘বিষয়টি আমরা জানিনা।’ তবে পৌর কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম জানান ‘এটা গ্রাম্য বিষয়, তাই গ্রামে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে সমাধান করা হবে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দর্শনা পৌর এলাকা সীমান্তবর্তী হওয়ায় পরানপুর গ্রামে দিন দিন বাইরের লোক এসে বসবাস করছে এবং ঘর-জামাইদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদের অধিকাংশই বিভিন্ন ধরনের অবৈধ ব্যবসা ও চুরির সাথে লিপ্ত হয়ে পড়ছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন আপসহীন নেত্রী ও দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণ

লোকনাথপুরে গরু চুরি : চোরকে গণধোলাই!

আপডেট সময় : ১১:২০:০৭ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২৪ মে ২০১৯

নিউজ ডেস্ক:পবিত্র ঈদকে সামনে রেখে দর্শনাসহ আশপাশ এলাকায় চোরচক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। গত বুধবার গভীর রাতে লোকনাথপুর থেকে একটি চুরি হয়ে যায়। পরে চুরিকৃত গরু পরানপুরের ঘর-জামাই মিলনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে গরুর মালিক ও স্থানীয়রা। এসময় চোর মিলনকে গণধোলাই দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার দিকে ঝড়-বৃষ্টির পরপর দামুড়হুদা উপজেলার লোকনাথপুর গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে আব্দুল কাদেরের বাড়ি থেকে আনুমানিক ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি বলদ গরু চুরি হয়ে যায়। পরে চোরচক্র যে পথ দিয়ে গরু নিয়ে যায়, গরুর পায়ের চিহ্ন অনুসরন করে পরানপুরের কবরস্থানপাড়ার ঘর-জামাই রুদ্রনগর গ্রামের মোমিনের ছেলে মিলনের বাড়িতে আসে গরুর মালিক। পরে গরু মালিক আ. কাদের স্থানীয়দের সহযোগিতায় মিলনের বাড়ির একটি গোপন ঘর থেকে চুরি হওয়া গরুটি উদ্ধার করে। এসময় উৎসুক জনতা চোর মিলনকে গণধোলাই দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে।
এলাকাবাসী আরও জানায়, গত কয়েক মাসে আ.কাদেরের বাড়ি থেকে আরও ৩টি গরু, পরানপুর খেদের মালিথার ছেলে তুজাম আলী, মধু মন্ডলের ছেলে সোহরাব আলীরসহ প্রায় ১০টি গরু চুরি হয়েছে। এছাড়া গরু চোর মিলনের ভাই সিদ্দিকের আলমসাধুতে চোরচক্রের চোরাই গরু রাতারাতি বিভিন্ন হাটে ও গ্রামে গরু ব্যবসায়ীর নাম করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে দর্শনা তদন্ত কেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ জানান, ‘বিষয়টি আমরা জানিনা।’ তবে পৌর কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম জানান ‘এটা গ্রাম্য বিষয়, তাই গ্রামে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে সমাধান করা হবে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দর্শনা পৌর এলাকা সীমান্তবর্তী হওয়ায় পরানপুর গ্রামে দিন দিন বাইরের লোক এসে বসবাস করছে এবং ঘর-জামাইদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদের অধিকাংশই বিভিন্ন ধরনের অবৈধ ব্যবসা ও চুরির সাথে লিপ্ত হয়ে পড়ছে।