মঙ্গলবার | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন আপসহীন নেত্রী ও দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণ Logo বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে চাঁদপুর জেলা বিএনপির শোক বইতে স্বাক্ষরসহ কর্মসূচি Logo সাতক্ষীরা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার মাগফুর Logo তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ও একদিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা Logo খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিশ্বনেতাদের শোক Logo আপনারা সবাই আমার মা’র জন্য দোয়া করবেন : তারেক রহমান Logo বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের গভীর শোক Logo ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশে গেছে ১১ লাখ ১৬ হাজারের বেশি কর্মী, রেমিট্যান্স এসেছে ১৫,৭৯১ মিলিয়ন ডলার Logo চাঁদপুর-৩ আসনে গনফোরাম মনোনীত প্রার্থী অ্যাড. সেলিম আকবরের মনোনয়ন দাখিল Logo চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী নুরুল ইসলাম বেপারী

১০ নারীসহ আহত ১৫ : ২০টি ভাঙচুর

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ০৮:০৯:১০ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৯ মে ২০১৯
  • ৭৩৮ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আ.লীগের দু’গ্রপের সংঘর্ষ
নিউজ ডেস্ক:ঝিনাইদহের হরিশংকর ইউনিয়নের চারটি গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের ফরিদ ও মাসুম গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে নারীসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। এসময় উভয় পক্ষের ২০টি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে সদর উপজেলার পরানপুর গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে সিতারামপুর গ্রামের খাদিজা, শেফালী, রোজিনা, চম্পা, শাহিদা ও পরাণপুর গ্রামের রিশনাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আহত শাহিদার ভাই এড বদিউজ্জামান বলেন, রোজার মাসে এ ভাবে নৃশংসভাবে মহিলাদের কোপানো আমি দেখিনি।
খাদিজার ভাই মাহফুজ অবিযোগ করেন, ঘরে ঢুকেই নারীদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। লুট করা হয়েছে ঘরবাড়ি। রোজার মাসে এ ধরণের জুলুম নজীরবিহীন বলেও তিনি দাবী করেন। তাদের ভাষ্য আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের দলাদলীর কারণে সাধারণ সমর্থকরা এলাকায় বসবাস করতে পারছে না। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান খান জানান, হরিশংকরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা ফারুকুজ্জামান ফরিদ এবং বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাসুমের সমর্থকদের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘ দিন বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার রাতে পরানপুর, শীতারামপুর, কান্দড়া ও চন্দ্রযানি গ্রামে দুই পক্ষের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে ফারুকুজ্জামান ফরিদের সমর্থকরা বেশি আহত হয় বলে জানা গেছে।
এ সময় কমপক্ষে ১০টি গরু ও ৮ মন ধান লুট হয়েছে। স্থানীয় ইউপি মেম্বর কিবরিয়া অভিযোগ করেন মাসুম সমর্থকদের ১১টি বাড়ি লুটপাট করা হয়েছে। অন্যদিকে ফরিদ গ্রুপের সমর্থকদেরও বাড়িঘর ব্যাপাক ভাংচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। গ্রামবাসি জানায় পাল্টাপাল্টি হামলায় ২০ টি বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন আপসহীন নেত্রী ও দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণ

১০ নারীসহ আহত ১৫ : ২০টি ভাঙচুর

আপডেট সময় : ০৮:০৯:১০ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৯ মে ২০১৯

ঝিনাইদহে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আ.লীগের দু’গ্রপের সংঘর্ষ
নিউজ ডেস্ক:ঝিনাইদহের হরিশংকর ইউনিয়নের চারটি গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের ফরিদ ও মাসুম গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে নারীসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। এসময় উভয় পক্ষের ২০টি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে সদর উপজেলার পরানপুর গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে সিতারামপুর গ্রামের খাদিজা, শেফালী, রোজিনা, চম্পা, শাহিদা ও পরাণপুর গ্রামের রিশনাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আহত শাহিদার ভাই এড বদিউজ্জামান বলেন, রোজার মাসে এ ভাবে নৃশংসভাবে মহিলাদের কোপানো আমি দেখিনি।
খাদিজার ভাই মাহফুজ অবিযোগ করেন, ঘরে ঢুকেই নারীদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। লুট করা হয়েছে ঘরবাড়ি। রোজার মাসে এ ধরণের জুলুম নজীরবিহীন বলেও তিনি দাবী করেন। তাদের ভাষ্য আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের দলাদলীর কারণে সাধারণ সমর্থকরা এলাকায় বসবাস করতে পারছে না। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান খান জানান, হরিশংকরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা ফারুকুজ্জামান ফরিদ এবং বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাসুমের সমর্থকদের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘ দিন বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার রাতে পরানপুর, শীতারামপুর, কান্দড়া ও চন্দ্রযানি গ্রামে দুই পক্ষের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে ফারুকুজ্জামান ফরিদের সমর্থকরা বেশি আহত হয় বলে জানা গেছে।
এ সময় কমপক্ষে ১০টি গরু ও ৮ মন ধান লুট হয়েছে। স্থানীয় ইউপি মেম্বর কিবরিয়া অভিযোগ করেন মাসুম সমর্থকদের ১১টি বাড়ি লুটপাট করা হয়েছে। অন্যদিকে ফরিদ গ্রুপের সমর্থকদেরও বাড়িঘর ব্যাপাক ভাংচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। গ্রামবাসি জানায় পাল্টাপাল্টি হামলায় ২০ টি বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।