নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সাতগাড়ির নতুনপাড়ায় দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষে শিশুসহ ৩ জন আহত হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আহতদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। আহতরা হলো- চুয়াডাঙ্গার সাতগাড়ি নতুনপাড়ার লিপ্টন শেখের স্ত্রী নাদেরা খাতুন (৩০), লিপ্টনের মেয়ে মায়া ১৪ ও ছেলে মোহাব্বত (৯)।জানা যায়, লিপ্টন শেখের বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথের মুখে প্রতিনিয়ত গরুর গোবর ফেলেন তারই আত্মীয় নুরাল। এই নিয়ে মাঝে মধ্যেই দুই পরিবারের মধ্যে বাকবিতন্ডা বাধে। গতকাল শনিবার রাতে লিপ্টনের ছেলে মোহাব্বত নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় তার পায়ে গরুর গোবর লেগে গেলে, সে গালমন্দ করতে থাকে। এ সময় নুরালের ছেলে আকাশ (১৫) গালমন্দ করার কারণে মোহাব্বতকে কিলঘুষি মারে। এতে মোহাব্বত চিৎকার করলে তার পরিবারের নাদেরা খাতুন ও মায়া নামের দু’জন নারী ছুটে আসেন। এসময় আকাশের পিতা নুরাল ও নুরালের পক্ষ নিয়ে একই এলাকার হাসেমের ছেলে উজ্জল ঘটনাস্থলে আসলে, দুই পরিবারের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। শুরু হয় বাকবিতন্ডা। একপর্যায়ে নুরাল একটি বাঁশ দিয়ে নাদেরা খাতুনের মাথায় আঘাত করলে নাদেরা খাতুন রক্তাক্ত জখম হয়। একই সময়ে মোহাব্বত ও মায়াও আহত হয়। এ সময় পরিবারের সদস্যরা তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাদেরা খাতুনের মাথায় গুরুত্বর আঘাত লাগায় তাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রাখে এবং মোহাব্বত ও মায়ার আঘাত গুরুত্বর না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গুরুত্বর আহত নাদেরা খাতুন হাসপাতালের মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধিন অবস্থায় ছিল ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।























































