সোমবার | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশে গেছে ১১ লাখ ১৬ হাজারের বেশি কর্মী, রেমিট্যান্স এসেছে ১৫,৭৯১ মিলিয়ন ডলার Logo চাঁদপুর-৩ আসনে গনফোরাম মনোনীত প্রার্থী অ্যাড. সেলিম আকবরের মনোনয়ন দাখিল Logo চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী নুরুল ইসলাম বেপারী Logo চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন Logo চুয়াডাঙ্গা ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে কাপছে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৬ ডিগ্রি Logo চুয়াডাঙ্গা -১ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী জনাব, মো: শরীফুজ্জামান শরীফ এর মনোনয়ন ফর্ম জমা Logo চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন অ্যাড. শাহজাহান মিয়া Logo ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, মতলব উত্তর উপজেলা শাখার শপথ অনুষ্ঠান Logo আসন্ন নির্বাচন আয়োজনে ‘আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত’ : প্রধান উপদেষ্টা Logo পলাশবাড়ী চৌমাথায় সৌন্দর্যহীন ফাঁকা জায়গা, নান্দনিক উন্নয়নের দাবি স্থানীয়দের

অতিরিক্ত ফিস আদায় : পরীক্ষা বাতিলের নির্দেশ!

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১০:৪০:২২ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৯
  • ৭৪৬ বার পড়া হয়েছে

সরকারি নির্দেশনাকে অমান্যা : আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে প্রথম সাময়িক পরীক্ষ

নিউজ ডেস্ক:আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে সরকারের নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে প্রথম সাময়িক পরীক্ষার নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফিস গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। অভিযোগ পেয়ে জেলা প্রশাসক গোপল চন্দ্র দাস ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে পরীক্ষা বাতিল করার এবং শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া ফিসের টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেন।শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধিকল্পে অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা ও বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহন করবে। অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা ২২ জুন থেকে ৪ জুলাই এবং বার্ষিক পরীক্ষা ২৭ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে গ্রহন করতে হবে। কোন অবস্থাতেই বাইরে থেকে প্রশ্নপত্র ক্রয় করে পরীক্ষা নেয়া যাবে না।  কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ নির্দেশনার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে ২৩ এপ্রিল থেকে প্রথম সাময়িক পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। এক্ষেত্রে পরীক্ষার ফিস বাবদ ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২শ’ টাকা, অষ্টম শ্রেণীর প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২২০ টাকা এবং নবম ও দশম শ্রেণীর প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২৫০ টাকা হারে আদায় করা হয়। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দেয়।  গত মঙ্গলবার দুপুরে ওই বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গেলে নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলে, সরকারের নির্দেশনা রয়েছে অর্ধ-বার্ষিক এবং বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহনের। কিন্তু বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সরকারের নির্দেশনা না মেনে আমাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে প্রথম সাময়িক পরীক্ষা গ্রহনের সিদ্ধান্ত নেন। দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরীক্ষার ফিস বাবদ ৪৯০ টাকা হারে প্রতিজনের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে। আজ (গত মঙ্গলবার) বিদ্যালয়ে এসে জানতে পারছি, উপরের নির্দেশে পরীক্ষা বন্ধ করা হয়েছে এবং ফিসের টাকা ফেরত দেয়া হবে। তবে এখনো পর্যন্ত টাকা ফেরত পায়নি।অপরদিকে, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে শিক্ষকরা তাদের হাতে বুকলিস্ট ধরিয়ে দিয়ে গাইড বই কিনতে বাধ্য করেছে।  এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রওশন আরা বলেন, আজ (মঙ্গলবার) থেকে পুর্বনির্ধারিত পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত থাকলেও তা বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা ফিসের টাকা ফেরত দেয়া হচ্ছে।  এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাহাত মান্নান জানান, বিষয়টি জানার পর পরীক্ষা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি এবং ফিসের টাকা ফেরত দেবারও নির্দেশ দিয়েছি। যদি ফিসের টাকা ফেরত না দেয়, তাহলে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।  জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর পরীক্ষা বন্ধ এবং ফিসের টাকা ফেরত দেয়ার জন্য শিক্ষকদেরকে বলা হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশে গেছে ১১ লাখ ১৬ হাজারের বেশি কর্মী, রেমিট্যান্স এসেছে ১৫,৭৯১ মিলিয়ন ডলার

অতিরিক্ত ফিস আদায় : পরীক্ষা বাতিলের নির্দেশ!

আপডেট সময় : ১০:৪০:২২ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৯

সরকারি নির্দেশনাকে অমান্যা : আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে প্রথম সাময়িক পরীক্ষ

নিউজ ডেস্ক:আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে সরকারের নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে প্রথম সাময়িক পরীক্ষার নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফিস গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। অভিযোগ পেয়ে জেলা প্রশাসক গোপল চন্দ্র দাস ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে পরীক্ষা বাতিল করার এবং শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া ফিসের টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেন।শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধিকল্পে অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা ও বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহন করবে। অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা ২২ জুন থেকে ৪ জুলাই এবং বার্ষিক পরীক্ষা ২৭ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে গ্রহন করতে হবে। কোন অবস্থাতেই বাইরে থেকে প্রশ্নপত্র ক্রয় করে পরীক্ষা নেয়া যাবে না।  কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ নির্দেশনার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে ২৩ এপ্রিল থেকে প্রথম সাময়িক পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। এক্ষেত্রে পরীক্ষার ফিস বাবদ ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২শ’ টাকা, অষ্টম শ্রেণীর প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২২০ টাকা এবং নবম ও দশম শ্রেণীর প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২৫০ টাকা হারে আদায় করা হয়। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দেয়।  গত মঙ্গলবার দুপুরে ওই বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গেলে নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলে, সরকারের নির্দেশনা রয়েছে অর্ধ-বার্ষিক এবং বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহনের। কিন্তু বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সরকারের নির্দেশনা না মেনে আমাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে প্রথম সাময়িক পরীক্ষা গ্রহনের সিদ্ধান্ত নেন। দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরীক্ষার ফিস বাবদ ৪৯০ টাকা হারে প্রতিজনের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে। আজ (গত মঙ্গলবার) বিদ্যালয়ে এসে জানতে পারছি, উপরের নির্দেশে পরীক্ষা বন্ধ করা হয়েছে এবং ফিসের টাকা ফেরত দেয়া হবে। তবে এখনো পর্যন্ত টাকা ফেরত পায়নি।অপরদিকে, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে শিক্ষকরা তাদের হাতে বুকলিস্ট ধরিয়ে দিয়ে গাইড বই কিনতে বাধ্য করেছে।  এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রওশন আরা বলেন, আজ (মঙ্গলবার) থেকে পুর্বনির্ধারিত পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত থাকলেও তা বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা ফিসের টাকা ফেরত দেয়া হচ্ছে।  এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাহাত মান্নান জানান, বিষয়টি জানার পর পরীক্ষা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি এবং ফিসের টাকা ফেরত দেবারও নির্দেশ দিয়েছি। যদি ফিসের টাকা ফেরত না দেয়, তাহলে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।  জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর পরীক্ষা বন্ধ এবং ফিসের টাকা ফেরত দেয়ার জন্য শিক্ষকদেরকে বলা হয়েছে।