শিরোনাম :
Logo দূর্গা পূজা উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা পুলিশের মতবিনিময় সভা Logo জাকসু প্রচারণায় আচরণবিধি লঙ্ঘন  বাগছাসের জিএস প্রার্থীর Logo শ্রমিক দলের প্রধান উপদেষ্টার সুস্থতা ও ঝালকাঠি প্রেসক্লাব সভাপতির রুহের মাগফিরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত Logo লস্কর সিনেমার গানে জীবন ওয়াসিফ ও শেরপুরের কলি সাহা Logo সিরাজগঞ্জে এতিমদের জমি দখলে প্রভাবশালীদের টানাটানি Logo চাঁদপুর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ব্র্যাকের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন Logo সাংবাদিক কবির হোসেন মিজি সম্পাদিত ছোট কাগজ জানালা’র মোড়ক উন্মোচন Logo একসময়ের জনপ্রিয় বাউল শিল্পী সফিউল্লাহ এখন রিক্সা–সাইকেল মেকানিক Logo শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ক্ষমতায় ছিল নির্বাচনগুলো নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে: বদরুদ্দীন উমরের জবানবন্দি Logo ঝটিকা মিছিলের বিষয়ে ‘মনিটরিং’ জোরদার করবে সরকার, নেবে কঠোর ব্যবস্থা : প্রেস সচিব

৩ বছর পর আলোচিত মামলার রায় : স্বামী আকাশের ফাঁসি

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১১:২৪:২৩ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০১৯
  • ৭৩৯ বার পড়া হয়েছে

যৌতুকের বলি গৃহবধূ তহমিনা খাতুন : চাহিদাকৃত ৫০ হাজার টাকা না পেয়ে জবাই করে হত্যা
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গার মোহাম্মদজুম্মা গ্রামে পিতার বাড়িতে তহমিনা খাতুন নামে এক গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যার দায়ে স্বামী আকাশ ওরফে মিঠুকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডসহ মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জিয়া হায়দার (জেলা ও দায়রা জজ) এ রায় দেন। মৃত্যুদন্ডাদেশপ্রাপ্ত আকাশ ওরফে মিঠু (৩১) আলমডাঙ্গা উপজেলার তিওরবিলা গ্রামের কুঠিপাড়ার মৃত রমজান আলীর ছেলে।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার তিওরবিলা গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে আকাশ ওরফে মিঠুর সঙ্গে ২০১৫ সালের শেষের দিকে বিয়ে হয় সদর উপজেলার মোহাম্মদজুমা গ্রামের সবদ আলীর মেয়ে তহমিনা খাতুনের। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী তহমিনাকে নানা ভাবে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করতো স্বামী আকাশ। বিয়ের কিছুদিন পর চাহিদাকৃত যৌতুকের ৫০ হাজার টাকা না পেয়ে ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই রাত ১১টার দিকে তহমিনাদের বাড়িতে অবস্থানকালে আকাশ তার স্ত্রী তহমিনাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে মৃত্যুনিশ্চিত করে রাতেই ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পালানোর সময় শাশুড়ি জাহানারা খাতুনকে ধাক্কা দেয় আকাশ। এতে পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হলে ঘরে ঢুকে তহমিনাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরদিন তহমিনার বাবা সবদ আলী চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় তার মেয়ে তহমিনার স্বামী আকাশকে প্রধান আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে যৌতুকের দাবিতে গলা কেটে হত্যা করার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরদিনই গ্রামবাসী আকাশকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাসুদ পারভেজ এ মামলার তদন্ত শেষে অভিযুক্ত আকাশ ওরফে মিঠুর নামে একই বছরের ১০ অক্টোবর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। বিজ্ঞ আদালত এ মামলায় মোট ১৩জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন ও পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/০৩) এর ১১(ক) ধারায় আকাশ ওরফে মিঠুকে দোষী সাব্যস্ত করে নগদ ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডসহ মৃত্যুদন্ড কার্যকরের নির্দেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এড. আব্দুল মালেক ও আসামী পক্ষে ছিলেন এড. সেলিম উদ্দীন খাঁন ও এড. মানি খন্দকার।
তহমিনার মা জাহানারা বেগম বলেন, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে আমার মেয়েকে নানা ভাবে নির্যাতন করতো আকাশ। ৫০ হাজার টাকা যৌতুক চেয়েছিল সে, না পেয়ে বিয়ের ৬ মাসের মাথায় আমার বাড়িতে এসে মেয়েকে জবাই করে পালিয়ে যায়। তবে আদালতের রায়ে জাহানারা খাতুন ও তার পরিবারকে বেশ খুশি দেখা যায়। রায়ের পর সকল প্রক্রিয়া শেষে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে নেয়া হয় তাকে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

দূর্গা পূজা উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা পুলিশের মতবিনিময় সভা

৩ বছর পর আলোচিত মামলার রায় : স্বামী আকাশের ফাঁসি

আপডেট সময় : ১১:২৪:২৩ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০১৯

যৌতুকের বলি গৃহবধূ তহমিনা খাতুন : চাহিদাকৃত ৫০ হাজার টাকা না পেয়ে জবাই করে হত্যা
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গার মোহাম্মদজুম্মা গ্রামে পিতার বাড়িতে তহমিনা খাতুন নামে এক গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যার দায়ে স্বামী আকাশ ওরফে মিঠুকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডসহ মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জিয়া হায়দার (জেলা ও দায়রা জজ) এ রায় দেন। মৃত্যুদন্ডাদেশপ্রাপ্ত আকাশ ওরফে মিঠু (৩১) আলমডাঙ্গা উপজেলার তিওরবিলা গ্রামের কুঠিপাড়ার মৃত রমজান আলীর ছেলে।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার তিওরবিলা গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে আকাশ ওরফে মিঠুর সঙ্গে ২০১৫ সালের শেষের দিকে বিয়ে হয় সদর উপজেলার মোহাম্মদজুমা গ্রামের সবদ আলীর মেয়ে তহমিনা খাতুনের। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী তহমিনাকে নানা ভাবে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করতো স্বামী আকাশ। বিয়ের কিছুদিন পর চাহিদাকৃত যৌতুকের ৫০ হাজার টাকা না পেয়ে ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই রাত ১১টার দিকে তহমিনাদের বাড়িতে অবস্থানকালে আকাশ তার স্ত্রী তহমিনাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে মৃত্যুনিশ্চিত করে রাতেই ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পালানোর সময় শাশুড়ি জাহানারা খাতুনকে ধাক্কা দেয় আকাশ। এতে পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হলে ঘরে ঢুকে তহমিনাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরদিন তহমিনার বাবা সবদ আলী চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় তার মেয়ে তহমিনার স্বামী আকাশকে প্রধান আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে যৌতুকের দাবিতে গলা কেটে হত্যা করার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরদিনই গ্রামবাসী আকাশকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাসুদ পারভেজ এ মামলার তদন্ত শেষে অভিযুক্ত আকাশ ওরফে মিঠুর নামে একই বছরের ১০ অক্টোবর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। বিজ্ঞ আদালত এ মামলায় মোট ১৩জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন ও পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/০৩) এর ১১(ক) ধারায় আকাশ ওরফে মিঠুকে দোষী সাব্যস্ত করে নগদ ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডসহ মৃত্যুদন্ড কার্যকরের নির্দেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এড. আব্দুল মালেক ও আসামী পক্ষে ছিলেন এড. সেলিম উদ্দীন খাঁন ও এড. মানি খন্দকার।
তহমিনার মা জাহানারা বেগম বলেন, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে আমার মেয়েকে নানা ভাবে নির্যাতন করতো আকাশ। ৫০ হাজার টাকা যৌতুক চেয়েছিল সে, না পেয়ে বিয়ের ৬ মাসের মাথায় আমার বাড়িতে এসে মেয়েকে জবাই করে পালিয়ে যায়। তবে আদালতের রায়ে জাহানারা খাতুন ও তার পরিবারকে বেশ খুশি দেখা যায়। রায়ের পর সকল প্রক্রিয়া শেষে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে নেয়া হয় তাকে।