নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অজ্ঞাত পরিচয় সুমনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল আনুমানিক ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর তার মরদেহ লাশ ঘরে রাখা হয়। বিকাল ৪টার দিকে ডা. মশিউর রহমানের উপস্থিতিতে সুমনের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন। পরে বাদ মাগরিব নামাজের জানাযা শেষে জান্নাতুল মাওলা কবরস্থানে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
জানা গেছে, গত ৬ জানুয়ারি অজ্ঞাত এক ব্যক্তি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডের বারান্দায় পড়ে ছিলো। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গত ১৬ জানুয়ারি তাকে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং চিকিৎসা সেবা দিতে থাকেন। অবশেষে গতকাল শুক্রবার সকালে অজ্ঞাত সুমনের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। সুমন জীবিত থাকা অবস্থায় এ প্রতিবেদককে জানিয়েছিলেন, তিনি বিভিন্ন রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে বেড়ান। তার এ দুনিয়ায় কেউ নেই। জন্মের পর তার পিতা-মাতাকে দেখেননি। তিনি বড় হয়েছেন বিভিন্ন রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মে। তার নামটা সুমন বললেও তার কোন পরিচয় তিনি দিতে পারেন নি। সে জানান, গত ৩ মাস আগে মোবারকগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে একটি মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় তিনি আহত হয়। পরে তিনি জখম হলে ওই স্টেশনের লোকজন নিষ্ঠুরতার পরিচয় দিয়ে তাকে চুয়াডাঙ্গা মুখে একটি ট্রেনে তুলে দেন। তিনি পৌঁছায় চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে। তিনি জানান, চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে ভিক্ষা করতেন। পরে তার শরীরে ব্যথায় যখন তিনি কাতরাচ্ছিলেন তখন যশোরে বাড়ি চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে আসা খলিলুর রহমান নামের এক ব্যক্তি গত ৬ জানুয়ারি তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে গতকাল সকালে তার মৃত্যু হয়।