পুলিশ বলছে; প্রকৃত অপরাধীরা ছাড় পাবে না
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা শহরের এপেক্স ইটভাটার শ্রমিকদের অস্ত্রের মুখে জিম্ম করে ডাকাতির ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে সদর থানা পুলিশ। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চলিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন গতকাল বুধবার গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করলে বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিন আবেদন না মঞ্চুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। আটককৃতরা হল- চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের বুজরুকগড়গড়ীর আকরাম আলী (৬০), ওমর ফারুক (২৪) ও শান্তিপাড়ার নাবিল (২০), লিটন (২৩), ইভন (২০)।
জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা শহরের এপেক্স ইটভাটায় ডাকাতির ঘটনায় ভাটার দুই নাইটগার্ডসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে থানা পুলিশ। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে অভিযান চলিয়ে ডাকাতির সাথে জড়িত সন্দেহে ওই ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হল- বুজরুকগড়গড়ী এলাকার মৃত কিয়াম উদ্দীনম মন্ডললে ছেলে ভাটার নাইটগার্ড আকরাম আলী ও মুক্তার আলীর ছেলে নাইটগার্ড ওমর ফারুককে আটক করে পুলিশ। এছাড়াও শান্তিপাড়ার লালনের ছেলে নাবিল, বাবর আলীর ছেলে লিটন, ইউনুছের ছেলে ইভনকেও আটক করা হয়। আটককৃতদের দেওয়া বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত যাচাই বাছাই করছে পুলিশ। এসকল তথ্য উপাত্ত থেকে পুলিশ ধারণা করছে এরা ডাকাতির সাথে জড়িত থাকতে পারে। পরদিন গতকাল বুধবার গ্রেফতারকৃত ওই সকল আসামীকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নিদের্শ দেন।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল খালেক জানান, বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাতির একদিন পর অর্থাৎ গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে গ্রেফতারকৃত এসকল আসামীর দেওয়া তথ্য যাচাই বাছাই করে অনুমান করা হচ্ছে এরা সকলে ডাকাতির সাথে জড়িত থাকতে পারে। তবে তাদের দেওয়া ওই সকল তথ্য আরো যাচাই বাছাই চলছে। এসময় তিনি আরো বলেন ওই ঘটনার সাথে আরো যারা জড়িত আছে তাদেরকেও আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে। প্রকৃত অপরাধীরা ছাড় পাবে না।
প্রসঙ্গত, চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের এপেক্স ইটভাটায় রাতের আধারে ইটকাটা শ্রমিকদের থাকার শেডে হামলা চালায় ২০/২২ জন ডাকাত। শেডের মধ্যে ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে শ্রমিকদে ব্যবহৃত মোবাইলফোনসহ নগদ টাকা ও এক মহিলা শ্রমিকের কানের দুল লুট করে নেয় শ্রমিকরা। গত রোববার দিবাগত রাত ৪ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরদিন ভাটা মালিক বাদি হয়ে মামলা দায়ের করলে পুলিশের একাধিক টিম কৌশলে প্রকৃত অপরাধীদের ধরতে অভিযান শুরু করে। ঘটনার একদিন পর এদেরকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ।