শ্রমিদের পমাবাইলসহ নগদ টাকা লুট; দু’নাইটগার্ড আটক
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের বুজরুক গড়গড়ি এপেক্স ইটভাটায় রাতের আধারে দুর্ধর্ষ ডাকাতির অভিযোগ উঠেছে। কাঁচা ইটকাটা শ্রমিকদের ব্যবহৃত মোবাইলফোনসহ নগদ টাকা লুট হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ভাটার দুই নাইটগার্ডকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। ভাটা মালিক বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ করেছে। ডাকাতির ঘাটনায় জড়িতদের ধরতে মাঠে নেমেছে পুলিশ। গত রোববার দিবাগত ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক দুই নাইটগার্ড হল- বুজরুকগড়গড়ির আকরাম হোসেন (৬০) ও জোহামুন্সি পাড়ার ওমর ফারুক (২৫)।
জানা যায়, এপেক্স ইটভাটার ২/৩ নং খোলার কাঁচা ইটকাটা শ্রমিকদের দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুধর্ষ ডাকাতি করেছে ২০/২২ জনের একদল ডাকাত সদস্যরা। গত রোববার দিবাগত ভোর রাতে শ্রমিকদের থাকার ঘরে হানা দিয়ে ডাকাতি করে তারা। হাড়ভাঙ্গা প্ররিশ্রম করা শ্রমিকরা যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ঠিক তখন শ্রমিকদের থাকার শেডের দরজায় ধাক্কা দিয়ে লাথি মের দরজা খুলতে বলে ডাকাতরা। ভয় পেয়ে এক শ্রমিক দরজা খুলে দিলে ডাকাত সদস্যরা শেডের ভিতর প্রবেশ করে। পরে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে শ্রমিকদের ব্যবহৃত ৯টি মোবাইলফোনসহ নগদ প্রায় ২৪ হাজার টাকা ও এক মহিলা শ্রমিকের কানের দুল লুট করে নিয়ে নিরাপদে চলে যায়। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে এই ডাকাতি করে তারা। ডাকাতির ঘটনার খবর পেয়ে ভাটা মালিক কোর্ট পাড়ার হাসানর ইমাম বকুল বাদী হয়ে সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করলে ভাটার দুই নাইটগার্ড বুজরুকগড়গড়ির মৃত কিয়াম উদ্দীন মন্ডলের ছেলে আকরাম হোসেন ও জোহামুন্সি পাড়ার মুক্তার আলীর ছেলে ওমর ফারুককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। একই সাথে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ জড়িতদের ধরতে কাজ শুরু করেছে থানা পুলিশ। তবে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আটক দুই’নাইটগার্ডকে থানা হেফাজতেই রাখা হয়েছে।
এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানা ওসি (তদন্ত) আব্দুল খালেক বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তিনি জানেন। এ ঘটনার সুষ্টু তদন্ত চলছে। জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। অপরাধীদের আটক করে খুব শিঘ্রই অইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়াও ওই ভাটার দুই নাইটগার্ডকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যহত আছে বলে তিনি জানান।