শিরোনাম :
Logo আসিফ বাঁধন বলেন “এটি শুধু আমার গল্প নয়, এটি প্রত্যেক তরুণের জন্য একটি বার্তা জীবনে শুধু নিজের জন্য নয়, অন্যের জন্যও বাঁচতে হয়।” Logo বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিনে বিতারা পশ্চিম ইউনিয়ন ছাত্রদলের দোয়া ও আলোচনা সভা Logo যবিপ্রবিতে সাংবাদিক শিহাব উদ্দিনকে মারধরের ঘটনায় সাবেক চার ছাত্রলীগ কর্মী বহিষ্কার Logo পলাশবাড়ীতে বেগম খালেদা জিয়া’র ৮০ তম জন্মদিন পালিত Logo ইবিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি উদযাপনে বর্ণিল আয়োজন Logo শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতির সাথে দৈনিক মুন্সিগঞ্জের বার্তার সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo খালেদা জিয়ার জন্মদিনে উপলক্ষ্যে বেরোবিতে ছাত্রদলের দোয়া-মাহফিল Logo সংগ্রাম, ত্যাগ, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ৮১ বছরে বেগম খালেদা জিয়া Logo উচ্ছ্বাস আর স্বপ্নে মুখর রাবি ক্যাম্পাস; জীবনের নতুন যাত্রা নিয়ে নবীনদের অনুভূতি Logo গণঅভ্যুত্থানের পরে আনোয়ার ইব্রাহিমের বাংলাদেশ সফর আমাদের প্রেরণা যুগিয়েছিল : অধ্যাপক ইউনূস

দলীয় নিয়মের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন ওবায়দুল কাদের !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০১:০৪:০০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারি ২০১৭
  • ৭৬৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

সভা-সমাবেশে পদক্রম মেনে চলতে দলীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

গতকাল সোমবার বিকেলে পুরান ঢাকায় হোসেনি দালান চত্ত্বরে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক সভাপতিত্ব করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের।

প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য শুরু করার আগে ওবায়দুল কাদের জানতে চান, এই মাহফিলে সভাপতি কে? এ সময় তার পাশে থাকা নেতারা সভাপতির নাম তাকে বলেন। এতে তিনি গম্ভীর কণ্ঠে বলেন, ‘সভাপতি না থাকলে সহ-সভাপতিকে সভায় সভাপতিত্ব করতে হবে। এটাই সংগঠনের নিয়ম।

তিনি আরো বলেন, ‘দলের উত্তরেরই হোক আর দক্ষিণেরই হোক, কোনো সাধারণ সম্পাদক এটা করতে পারবেন না। তাহলে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদগুলো কেন আছে? তাদেরকে গুরুত্ব দিতে হবে। এরপর থেকে যেন আর এরকম না হয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের এই বক্তব্যে উপস্থিত নেতা-কর্মীরা হাততালি দেওয়া শুরু করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখানে তালি দেওয়ার কিছু নেই। আমি দলের নিয়মের কথা বলব। এটা আমাকে বলতে হবে। এখানে নিয়মটা মানতে হবে। তাহলে দলের ভাইস প্রেসিডেন্টরা কেন আছেন? প্রেসিডেন্ট না থাকলে ভাইস প্রেসিডেন্ট সভাপতিত্ব করবেন। এটা আমি বলে যাচ্ছি আজকে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজিজ ভাই (এম এ আজিজ) হৃদয়ে নাম লিখেয়েছেন। আজকে তাকে আমরা স্মরণ করছি তার কর্ম, সততা ও ত্যাগের জন্য। এই গুণাবলী আপনাদেরও অর্জন করতে হবে।’

কর্মী বাড়ান, নেতা কমান, এ মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। উন্নয়ন অর্জনকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। আর আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে পারে আওয়ামী লীগেরই অগণিত ত্যাগী কর্মী। কাজেই কর্মী আরো তৈরি করুন। আমরা সবাই কর্মী। আমাদের নেতা একজন। আমাদের আদর্শের পিতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর এখন নেতা শেখ হাসিনা।’

রাজনীতির অতীত অভিজ্ঞতা স্মরণ করে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘আমরা হরতালে হোসেনি দালানে আসতাম। তখন সবাই কর্মী ছিলাম। তখন স্টেজে এত লোক উঠত না। আওয়ামী লীগের মঞ্চে আমি ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে কোনোদিনও উঠিনি। আওয়ামী লীগের যে মিটিংগুলো হতো ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক আমরা কিন্তু কেউ মঞ্চে উঠতাম না।

স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মোজাফফর হোসনে পল্টু, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান এবং মরহুম এম এ আজিজের ছেলে ও মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ওমর বিন আজিজ তামিম।

যৌথভাবে সভা পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আকতার হোসেন ও মামুনুর রশিদ শুভ্র।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আসিফ বাঁধন বলেন “এটি শুধু আমার গল্প নয়, এটি প্রত্যেক তরুণের জন্য একটি বার্তা জীবনে শুধু নিজের জন্য নয়, অন্যের জন্যও বাঁচতে হয়।”

দলীয় নিয়মের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন ওবায়দুল কাদের !

আপডেট সময় : ০১:০৪:০০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

সভা-সমাবেশে পদক্রম মেনে চলতে দলীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

গতকাল সোমবার বিকেলে পুরান ঢাকায় হোসেনি দালান চত্ত্বরে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক সভাপতিত্ব করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের।

প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য শুরু করার আগে ওবায়দুল কাদের জানতে চান, এই মাহফিলে সভাপতি কে? এ সময় তার পাশে থাকা নেতারা সভাপতির নাম তাকে বলেন। এতে তিনি গম্ভীর কণ্ঠে বলেন, ‘সভাপতি না থাকলে সহ-সভাপতিকে সভায় সভাপতিত্ব করতে হবে। এটাই সংগঠনের নিয়ম।

তিনি আরো বলেন, ‘দলের উত্তরেরই হোক আর দক্ষিণেরই হোক, কোনো সাধারণ সম্পাদক এটা করতে পারবেন না। তাহলে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদগুলো কেন আছে? তাদেরকে গুরুত্ব দিতে হবে। এরপর থেকে যেন আর এরকম না হয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের এই বক্তব্যে উপস্থিত নেতা-কর্মীরা হাততালি দেওয়া শুরু করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখানে তালি দেওয়ার কিছু নেই। আমি দলের নিয়মের কথা বলব। এটা আমাকে বলতে হবে। এখানে নিয়মটা মানতে হবে। তাহলে দলের ভাইস প্রেসিডেন্টরা কেন আছেন? প্রেসিডেন্ট না থাকলে ভাইস প্রেসিডেন্ট সভাপতিত্ব করবেন। এটা আমি বলে যাচ্ছি আজকে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজিজ ভাই (এম এ আজিজ) হৃদয়ে নাম লিখেয়েছেন। আজকে তাকে আমরা স্মরণ করছি তার কর্ম, সততা ও ত্যাগের জন্য। এই গুণাবলী আপনাদেরও অর্জন করতে হবে।’

কর্মী বাড়ান, নেতা কমান, এ মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। উন্নয়ন অর্জনকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। আর আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে পারে আওয়ামী লীগেরই অগণিত ত্যাগী কর্মী। কাজেই কর্মী আরো তৈরি করুন। আমরা সবাই কর্মী। আমাদের নেতা একজন। আমাদের আদর্শের পিতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর এখন নেতা শেখ হাসিনা।’

রাজনীতির অতীত অভিজ্ঞতা স্মরণ করে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘আমরা হরতালে হোসেনি দালানে আসতাম। তখন সবাই কর্মী ছিলাম। তখন স্টেজে এত লোক উঠত না। আওয়ামী লীগের মঞ্চে আমি ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে কোনোদিনও উঠিনি। আওয়ামী লীগের যে মিটিংগুলো হতো ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক আমরা কিন্তু কেউ মঞ্চে উঠতাম না।

স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মোজাফফর হোসনে পল্টু, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান এবং মরহুম এম এ আজিজের ছেলে ও মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ওমর বিন আজিজ তামিম।

যৌথভাবে সভা পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আকতার হোসেন ও মামুনুর রশিদ শুভ্র।