রিপোর্ট : ইমাম বিমান ।
পিরোজপুর জেলার স্বরুপকাঠি নেছারাবাদ উপজেলাধীন কুড়িয়ানা কবিগুরু রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর কলেজে এইচ এস সি পরীক্ষা ২০১৮ ফরমফিলাপে লক্ষাধিক টাকার অর্থবানিজ্যের অভিযোগ। এবার এইচ এস সি পরীক্ষায় অংশগ্রহনের জন্য শতাধিক ছাত্রছাত্রী টেষ্ট পরীক্ষা দিয়েছে কিন্তু কলেজ কতৃপক্ষ ও অধ্যক্ষ মিলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য শতাধিক ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মাত্র ১০ জন ছাত্রছাত্রীকে সব বিষয় পাশ করিয়ে বাকিছাত্রছাত্রীদের ১ থেকে ৫ বিষয়ে অকৃতকার্য করে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে ৬ হাজার দিয়ে শুরু করে ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত নিযেছে।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রধান অধ্যক্ষ গোলাম কবিরের সাথে ২১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমাদের কলেজে এ রকম কোন টাকা পয়সা নেয়া হয় না । বোর্ড কতৃক র্নিধারিত ফি ছাড়া র্বাতী কোন টাকা আমরা নেইনি । টেষ্ট পরীক্ষায় শতাধিক ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কতজন ছাত্রছাত্রী সকল বিষয় কৃতর্কায হয়েছে তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। এবং কতজন ছাত্রছাত্রী সব বিষয়ে কৃতকার্য হয়েছে সেটা রেজাল্টশীট না দেখে বলতে পারবেন না বলে জানান।টেষ্ট পরীক্ষায় কতৃকার্য না হলে সেই ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে পারবে কিনা তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি সংবাদ কর্মীকে কলেজে এসে জানতে বলেন।
অধ্যক্ষের কথামত পরের দিন ২৪ ডিসেম্বর বুধবার কলেজে গিয়ে সরাসরি অধ্যক্ষ গোলাম গোলাম কবিরের সাথে দেখা করতে গেলে তাকে তখন কলেজে না পেয়ে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি উপাধ্যক্ষের সাথে কথা বলতে বলেন। অধ্যক্ষকে না পেয়ে কলেজের উপাধ্যক্ষ সঞ্জীব হালদারের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এইচ এস সি পরীর্ক্ষাথীদের কলেজে লেখা পড়া বাবদ যে টাকা খরচ হয় তার অধিকাংশ টাকা অনেক ছাত্রছাত্রী দেয় না, তাই ফরম ফিলাপের সময় তাদের দুই বছরের বকেয়া মিলে ৬ হাজার টাকার বেশি হয় বলে তিনি সংবাদ কর্মীকে দুই বছরের পাওনা হিসাবের টাকা ও ফরম ফিলাপের জন্য বোর্ড কতৃক নির্ধারিত মানবিক ও বানিজ্য শাখায় ৮২৯৫ টাকা এবং বিজ্ঞান শাখায় ৯১৮৫ টাকা করে নিয়ে থাকি। এবার এইস এস সি পরীক্ষার্থীদের টেষ্ট পরিক্ষার ফলাফল সর্ম্পকে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, শতাধিক ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে ঠিক কতজন সববিষয়ে কৃতর্কায হয়েছে তা সঠিক ভাবে বলতে পারিনা বললে রেজাল্টশীট দেখতে চাইলে তিনি অন্য এক শিক্ষিকার কাছে আছে কিন্তু কিছুক্ষন আগে তিনি বাসায় চলে গেছেন ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ছাত্রছাত্রী জানান, এবার এইচ এস সি পরীক্ষায় অংশগ্রহনের জন্য শতাধিক ছাত্রছাত্রী টেষ্ট পরীক্ষা দিয়েছে কিন্তু কলেজের অধ্যক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য মাত্র ১০ জন ছাত্রছাত্রীকে সব বিষয় পাশ করিয়ে ১ থেকে ৫ বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়া ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে ৬ হাজার দিয়ে শুরু করে ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত নিযেছে। আমাদের পরীক্ষা ভালো হয়েছে কিন্তু তারপরও আমি ছাড়া অনেক ভালো ছাত্রছাত্রী রয়েছে যাদের দুই এক বিষয়ে ফেল দেখিয়ে টাকার বিনিময় পরীক্ষার ফরম ফিলাপ করছে। এ বিষয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক ও স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছরই এ কলেজ থেকে পরীক্ষার ফরমফিলাপ বাবদ প্রচুর টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে । এর আগে এ নিয়ে কয়েকবার পত্রপত্রীকায় সংবাদ প্রকাম করা হলেও কোন কাজ হয়নি। বর্তমান অধ্যক্ষ গোলাম কবির আগামী বছর কলেজ থেকে অবসরে যাবেন তাই তিনি এ বছর ভালো ছাত্রছাত্রীদের ফেল দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আমরা এ বিষয় বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমামিক মিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মহাদ্বয়ের দৃষ্টি আর্কষন করছি।