শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী Logo কুবির বাংলা বিভাগের বাংলা নাটক বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন Logo মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত Logo মাগুরার শ্রীপুরে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী- ২০২৫ এর উদ্বোধন Logo পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জাতীয় প্রাণীসম্পদ সপ্তাহ ২০২৫ প্রদর্শনী Logo আমরা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছি: চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী বাবু খান

খোয়াই নদীর চর থেকে এক ডাকাতের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৫:২০:১২ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৭
  • ৭৯৫ বার পড়া হয়েছে

মোঃ সুমন আলী খাঁন, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লুকড়া ইউনিয়নের যাদবপুর খোয়াই নদীর চর থেকে আব্দুল কদ্দুছ (৪০) নামের এক ডাকাতের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার বিকাল ৪টায় সদর থানার এসআই মির্জা মাহমুদুল করিমের নেতৃত্বে পুলিশ ওই এলাকার ভিংরাজ মিয়ার দখলীয় চর থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
কদ্দুছ লাখাই উপজেলার বুল্লা ইউনিয়নের চরগাও গ্রামের মৃত জবান উল্লার পুত্র। এ সময় তার পকেট থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় লোকজন জানান, ওই সময় চরে খেলতে যায় স্থানীয় শিশুরা। তারা সেখানে লাশটি দেখতে পেয়ে এলাকাবাসিকে জানায়। এলাকাবাসি পুলিশকে খবর দেয়। চরগাও গ্রামের মৃত সুরত আলীর পুত্র সবুর ইসলাম জানান, তার সেচ প্রকল্পের পাহারাদার ছিল কদ্দুছ।
গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে সে নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে তার খবর পাওয়া যায়নি। এ বিষয়টি তিনি বুল্লা ইউপির ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার আবুল কাশেমকে জানান। তিনি ইউপি চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন বেনুর মাধ্যমে বিষয়টি লাখাই থানাকে অবহিত করেন।
এরপর থেকে পুলিশ কদ্দুছকে খোঁজতে থাকে বিভিন্ন স্থানে। গতকাল খবর পেয়ে তারা এখানে ছুটে আসেন। তবে হাসপাতালে তার নিকটতম কোন আত্মীয় স্বজনকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় লোকজন জানান, কদ্দুছ ডাকাতির সাথে জড়িত ছিল। এদিকে লাখাই থানার ওসি মোঃ বজলার রহমান জানান, আব্দুল কদ্দুছের বিরুদ্ধে ডাকাতি, হত্যা ও চুরিসহ ৪টি মামলা রয়েছে।
অপরদিকে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতকারক এসআই মির্জা মাহমুদুল করিম জানান, কদ্দুছের গলা, ঘাড়, মুখ, পেটসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে গুরুতর ২০টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সদর থানার ওসি (তদন্ত) ডালিম আহমেদ জানান, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতির মামলা রয়েছে। তবে যেহেতু এটি একটি হত্যাকান্ড, সেহেতু অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং যারা এর সাথে জড়িত তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী

খোয়াই নদীর চর থেকে এক ডাকাতের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার

আপডেট সময় : ০৫:২০:১২ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৭

মোঃ সুমন আলী খাঁন, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লুকড়া ইউনিয়নের যাদবপুর খোয়াই নদীর চর থেকে আব্দুল কদ্দুছ (৪০) নামের এক ডাকাতের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার বিকাল ৪টায় সদর থানার এসআই মির্জা মাহমুদুল করিমের নেতৃত্বে পুলিশ ওই এলাকার ভিংরাজ মিয়ার দখলীয় চর থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
কদ্দুছ লাখাই উপজেলার বুল্লা ইউনিয়নের চরগাও গ্রামের মৃত জবান উল্লার পুত্র। এ সময় তার পকেট থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় লোকজন জানান, ওই সময় চরে খেলতে যায় স্থানীয় শিশুরা। তারা সেখানে লাশটি দেখতে পেয়ে এলাকাবাসিকে জানায়। এলাকাবাসি পুলিশকে খবর দেয়। চরগাও গ্রামের মৃত সুরত আলীর পুত্র সবুর ইসলাম জানান, তার সেচ প্রকল্পের পাহারাদার ছিল কদ্দুছ।
গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে সে নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে তার খবর পাওয়া যায়নি। এ বিষয়টি তিনি বুল্লা ইউপির ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার আবুল কাশেমকে জানান। তিনি ইউপি চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন বেনুর মাধ্যমে বিষয়টি লাখাই থানাকে অবহিত করেন।
এরপর থেকে পুলিশ কদ্দুছকে খোঁজতে থাকে বিভিন্ন স্থানে। গতকাল খবর পেয়ে তারা এখানে ছুটে আসেন। তবে হাসপাতালে তার নিকটতম কোন আত্মীয় স্বজনকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় লোকজন জানান, কদ্দুছ ডাকাতির সাথে জড়িত ছিল। এদিকে লাখাই থানার ওসি মোঃ বজলার রহমান জানান, আব্দুল কদ্দুছের বিরুদ্ধে ডাকাতি, হত্যা ও চুরিসহ ৪টি মামলা রয়েছে।
অপরদিকে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতকারক এসআই মির্জা মাহমুদুল করিম জানান, কদ্দুছের গলা, ঘাড়, মুখ, পেটসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে গুরুতর ২০টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সদর থানার ওসি (তদন্ত) ডালিম আহমেদ জানান, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতির মামলা রয়েছে। তবে যেহেতু এটি একটি হত্যাকান্ড, সেহেতু অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং যারা এর সাথে জড়িত তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে।