সোমবার | ১ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo নোবিপ্রবির আধুনিকায়নে ৩৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ Logo চাঁদপুরে যোগদানের প্রথম দিনেই সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় Logo সদরপুরে গার্ডিয়ান এর এরিয়া অফিস উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে ১০ লাখ টাকার মৃত্যু দাবী চেক বিতরণ। Logo ৪৫তম বিসিএস-এ ক্যাডার বুটেক্সের ১৩ শিক্ষার্থী Logo হাবিপ্রবিতে মশার উপদ্রবে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীরা, ভ্রুক্ষেপ নেই প্রশাসনের Logo জবিস্থ চুয়াডাঙ্গা ছাত্রকল্যাণের নেতৃত্বে সজিব ও তরিকুল Logo মেডিকেল বোর্ডের দেওয়া চিকিৎসা খালেদা জিয়া গ্রহণ করতে পারছেন : ডা. জাহিদ Logo কচুয়ায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন গণঅধিকার পরিষদ নেতা এনায়েত হাসিব

সাতক্ষীরার জলাবদ্ধ ২০ বিলে বোরো চাষের উদ্যোগ !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৯:২০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারি ২০১৭
  • ৮০৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

জলাবদ্ধতার কবলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কপোতাক্ষ অববাহিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ফলে আমন ধান থেকে বঞ্চিত হয়েছে ওই এলাকার কৃষক। বোরো চাষ করে আমনের সেই ঘাটতি পুষিয়ে নিতে কৃষকরা এখন শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি নিষ্কাশন করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
এক সপ্তাহ ধরেই তালা উপজেলার কপোতাক্ষ অববাহিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের পানি নিষ্কাশন চলছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর তালা উপজেলায় ১৭,৪০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি সেচের মাধ্যমে বিলগুলোর জলাবদ্ধতা দূর করা গেলে এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হবে।

তালা উপজেলার ইসলামকাটি চলিশার বিল, ভবানীপুর, ঘোনা, পারঘোনা, ডেমশাখোলা, বারাত, মোহনা, কলিয়া, দেওয়ানীপাড়া, শুভাষিনী, লক্ষ্মণপুর, মির্জাপুর, কেসমতঘোনা, কাজীডাঙ্গা গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে এসব এলাকার কমপক্ষে ২০টি বিলে প্রায় ৪ হাজার বিঘা জমি জলাবদ্ধতার কারণে আমন চাষ হয়নি। বৃষ্টির পানিতে ছয় মাস যাবৎ তিন থেকে চার ফুট পানি বিদ্যমান। সেক্ষেত্রে বর্ষা মৌসুমে ওই সব বিলে শাপলা, চেঁচো ঘাস ভর্তি হয়ে যায়। এজন্য বোরো চাষ করতে কৃষকরা এসব বিলের পানি শ্যালো পাম্প দিয়ে নিষ্কাশন করছেন।

এসবের মধ্যে তালা-পাটকেলঘাটা সড়কের ইসলামকাটি ব্রিজের দক্ষিণ পাশে ১৬টি শ্যালোমেশিন দিন-রাত বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছে।
গোপালপুর গ্রামের কৃষক মতিয়ার রহমান জানান, ঘোনা বিলে তার সাত বিঘা জমি রয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে তিনি আমন ধান চাষ করতে পারেননি। মাছ চাষের পাশাপাশি বোরো মৌসুমে ধান চাষ না করতে পারলে কষ্টে দিন কাটানো ছাড়া উপায় থাকবে না।

একই ইউনিয়নের প্রবীর সরকার জানান, প্রতি বছর ছয় মাস পানি জমে থাকায় ভবানীপুর বিলে আমন ধান হয় না। যে কারণে বাধ্য হয়ে জমির মালিকরা জমির হারি দিতে বাধ্য হয়েছে। তবে মাঘ মাসের শেষের দিকে বিলে পানি কমে গেলে কৈ, চ্যাং, শৈল, মাগুরসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। তাতে আমন ধানের  ঘাটতি পোষায় না। বাধ্য হয়ে বোরো মৌসুম শুরুতেই এলাকার কয়েকটি বিলের জমির মালিকদের  নিয়ে পানি সেচের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এভাবে চলতি মৌসুমে বোরো চাষ করতে পারলে কৃষকরা কিছুটা ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে পারবে।

তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সামসুল আলম জানান, আমনের ঘাটতি পূরণে কপোতাক্ষ তীরবর্তী অন্তত ২০ টি বিলের জমির মালিকরা পানি সেচ করে বোরো ধান ফলানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। ফলে খরচ একটু বেশি হলেও তাদের টার্গেট পূরণ হবে।
তালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘোষ সনত কুমার জানান, পানি সেচ করে ধান চাষ নিঃসন্দেহে কৃষকদের ভাল উদ্যোগ।

ট্যাগস :

নোবিপ্রবির আধুনিকায়নে ৩৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন

সাতক্ষীরার জলাবদ্ধ ২০ বিলে বোরো চাষের উদ্যোগ !

আপডেট সময় : ০৭:৫৯:২০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

জলাবদ্ধতার কবলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কপোতাক্ষ অববাহিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ফলে আমন ধান থেকে বঞ্চিত হয়েছে ওই এলাকার কৃষক। বোরো চাষ করে আমনের সেই ঘাটতি পুষিয়ে নিতে কৃষকরা এখন শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি নিষ্কাশন করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
এক সপ্তাহ ধরেই তালা উপজেলার কপোতাক্ষ অববাহিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের পানি নিষ্কাশন চলছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর তালা উপজেলায় ১৭,৪০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি সেচের মাধ্যমে বিলগুলোর জলাবদ্ধতা দূর করা গেলে এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হবে।

তালা উপজেলার ইসলামকাটি চলিশার বিল, ভবানীপুর, ঘোনা, পারঘোনা, ডেমশাখোলা, বারাত, মোহনা, কলিয়া, দেওয়ানীপাড়া, শুভাষিনী, লক্ষ্মণপুর, মির্জাপুর, কেসমতঘোনা, কাজীডাঙ্গা গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে এসব এলাকার কমপক্ষে ২০টি বিলে প্রায় ৪ হাজার বিঘা জমি জলাবদ্ধতার কারণে আমন চাষ হয়নি। বৃষ্টির পানিতে ছয় মাস যাবৎ তিন থেকে চার ফুট পানি বিদ্যমান। সেক্ষেত্রে বর্ষা মৌসুমে ওই সব বিলে শাপলা, চেঁচো ঘাস ভর্তি হয়ে যায়। এজন্য বোরো চাষ করতে কৃষকরা এসব বিলের পানি শ্যালো পাম্প দিয়ে নিষ্কাশন করছেন।

এসবের মধ্যে তালা-পাটকেলঘাটা সড়কের ইসলামকাটি ব্রিজের দক্ষিণ পাশে ১৬টি শ্যালোমেশিন দিন-রাত বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছে।
গোপালপুর গ্রামের কৃষক মতিয়ার রহমান জানান, ঘোনা বিলে তার সাত বিঘা জমি রয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে তিনি আমন ধান চাষ করতে পারেননি। মাছ চাষের পাশাপাশি বোরো মৌসুমে ধান চাষ না করতে পারলে কষ্টে দিন কাটানো ছাড়া উপায় থাকবে না।

একই ইউনিয়নের প্রবীর সরকার জানান, প্রতি বছর ছয় মাস পানি জমে থাকায় ভবানীপুর বিলে আমন ধান হয় না। যে কারণে বাধ্য হয়ে জমির মালিকরা জমির হারি দিতে বাধ্য হয়েছে। তবে মাঘ মাসের শেষের দিকে বিলে পানি কমে গেলে কৈ, চ্যাং, শৈল, মাগুরসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। তাতে আমন ধানের  ঘাটতি পোষায় না। বাধ্য হয়ে বোরো মৌসুম শুরুতেই এলাকার কয়েকটি বিলের জমির মালিকদের  নিয়ে পানি সেচের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এভাবে চলতি মৌসুমে বোরো চাষ করতে পারলে কৃষকরা কিছুটা ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে পারবে।

তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সামসুল আলম জানান, আমনের ঘাটতি পূরণে কপোতাক্ষ তীরবর্তী অন্তত ২০ টি বিলের জমির মালিকরা পানি সেচ করে বোরো ধান ফলানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। ফলে খরচ একটু বেশি হলেও তাদের টার্গেট পূরণ হবে।
তালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘোষ সনত কুমার জানান, পানি সেচ করে ধান চাষ নিঃসন্দেহে কৃষকদের ভাল উদ্যোগ।