শিরোনাম :
Logo খুবিতে আন্তঃডিসিপ্লিন ফুটবল প্রতিযোগিতায় টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বাংলা Logo কয়রায় চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে পরিবারের সর্বস্ব লুট  Logo কচুয়ার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় মামুনুর রশীদ মোল্লাকে ফুলেল শুভেচ্ছা Logo ইকসু দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের ‘মার্চ ফর ইকসু’ Logo মৎস্যজীবীদের মুখে হাসি ফোটাতে কচুয়ায় উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনা মাছ অবমুক্তকরণ Logo কচুয়ার নন্দনপুরে ৩৩০ উপকারভোগীর মাঝে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ Logo পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের পানিতে বন্যার দুর্ভোগে অর্ধশত পরিবার। Logo সাতক্ষীরা পৌরসভা ৩ নাম্বার ওয়ার্ডে ক্লিনিং ক্যাম্পেইন উদ্বোধন -মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসের আহ্বান Logo কচুয়ার সন্তান ইয়াসিন হোসেন ফেনী জেলার শ্রেষ্ঠ সার্ভেয়ার নির্বাচিত Logo হাতপাখা বিজয়ী হলে জনগনের বাজেটের  টাকা জনগণের উন্নয়নে খরচ হবে – মানসুর আহমদ সাকী

রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশ প্রচেষ্টা করায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রশংসা !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:০৪:৫১ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৭৪৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

মিয়ানমার থেকে আসা ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মানবিক সহায়তা দেয়া ও সহায়তা পৌঁছানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর এই প্রশংসা করে।

একই সাথে এক বিবৃতিতে রাখাইনে সন্ত্রাসী হামলা ও গ্রামগুলোতে ব্যাপক অগ্নিকাণ্ডের মতো ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের পটভূমিতে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গার বাংলাদেশে এসেছে বলে জাতিসংঘ যে খবর দিয়েছে তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটি।

পররাষ্ট্র দফতরের বিবৃতিতে বলা হয়, বিষয়টি নিয়ে তারা জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন, রেডক্রসসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের মানবিক সহায়তায় এ পর্যন্ত প্রায় ৬৩ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার মুখপাত্র ভিভিয়ান ট্যান গত ৮ সেপ্টেম্বর জানিয়েছিলেন, গত দু সপ্তাহে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে ২ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী।

মাত্র দুদিন আগেও জাতিসংঘের কর্মকর্তারা সর্বশেষ দফায় আসা শরণার্থীর সংখ্যা এক লাখ ৬২ হাজার বলে উল্লেখ করছিলেন।

মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে শরণার্থীর সংখ্যা এক লাখ বেড়ে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে ভিভিয়ান ট্যান বলেন, গত দুই দিনে তারা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়া আরও অনেক শরণার্থীদের সন্ধান পেয়েছেন, যাদের কথা তারা আগে জানতেন না।

তিনি বলেন, ‘সেপ্টেম্বরের ছয় ও সাত তারিখে জাতিসংঘের সব সংস্থা এবং বিভিন্ন এনজিওর একটি যৌথ দল সীমান্তের যেসব এলাকায় শরণার্থীরা এসেছে বলে খবর পাওয়া গেছে সেসব এলাকায় গেছে। সে সময় তারা অনেক নতুন শরণার্থী দলের সন্ধান পেয়েছেন। এসব শরণার্থীরা মূলত আছে বিভিন্ন সীমান্তবর্তী গ্রামে। তারা যেখানেই থাকার মতো জমি পেয়েছে, সেখানেই থাকছে। ‘

শরণার্থীদের যেভাবে স্থানীয় গ্রামবাসীরা আশ্রয় দিচ্ছেন তার প্রশংসা করে ভিভিয়ান ট্যান বলেছিলেন, তারা যথেষ্ট উদারতার পরিচয় দিচ্ছেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খুবিতে আন্তঃডিসিপ্লিন ফুটবল প্রতিযোগিতায় টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বাংলা

রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশ প্রচেষ্টা করায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রশংসা !

আপডেট সময় : ০২:০৪:৫১ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

মিয়ানমার থেকে আসা ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মানবিক সহায়তা দেয়া ও সহায়তা পৌঁছানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর এই প্রশংসা করে।

একই সাথে এক বিবৃতিতে রাখাইনে সন্ত্রাসী হামলা ও গ্রামগুলোতে ব্যাপক অগ্নিকাণ্ডের মতো ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের পটভূমিতে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গার বাংলাদেশে এসেছে বলে জাতিসংঘ যে খবর দিয়েছে তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটি।

পররাষ্ট্র দফতরের বিবৃতিতে বলা হয়, বিষয়টি নিয়ে তারা জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন, রেডক্রসসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের মানবিক সহায়তায় এ পর্যন্ত প্রায় ৬৩ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার মুখপাত্র ভিভিয়ান ট্যান গত ৮ সেপ্টেম্বর জানিয়েছিলেন, গত দু সপ্তাহে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে ২ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী।

মাত্র দুদিন আগেও জাতিসংঘের কর্মকর্তারা সর্বশেষ দফায় আসা শরণার্থীর সংখ্যা এক লাখ ৬২ হাজার বলে উল্লেখ করছিলেন।

মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে শরণার্থীর সংখ্যা এক লাখ বেড়ে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে ভিভিয়ান ট্যান বলেন, গত দুই দিনে তারা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়া আরও অনেক শরণার্থীদের সন্ধান পেয়েছেন, যাদের কথা তারা আগে জানতেন না।

তিনি বলেন, ‘সেপ্টেম্বরের ছয় ও সাত তারিখে জাতিসংঘের সব সংস্থা এবং বিভিন্ন এনজিওর একটি যৌথ দল সীমান্তের যেসব এলাকায় শরণার্থীরা এসেছে বলে খবর পাওয়া গেছে সেসব এলাকায় গেছে। সে সময় তারা অনেক নতুন শরণার্থী দলের সন্ধান পেয়েছেন। এসব শরণার্থীরা মূলত আছে বিভিন্ন সীমান্তবর্তী গ্রামে। তারা যেখানেই থাকার মতো জমি পেয়েছে, সেখানেই থাকছে। ‘

শরণার্থীদের যেভাবে স্থানীয় গ্রামবাসীরা আশ্রয় দিচ্ছেন তার প্রশংসা করে ভিভিয়ান ট্যান বলেছিলেন, তারা যথেষ্ট উদারতার পরিচয় দিচ্ছেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা