শিরোনাম :
Logo শেরপুরে নিখোঁজের তিন দিন পর কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার Logo হিটের প্রকল্প মূল্যায়নে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হচ্ছে: ইউজিসি চেয়ারম্যান Logo পলাশবাড়ী কালীবাড়ী বাজারে অবৈধ দখল উচ্ছেদ Logo পলাশবাড়ীতে ইউপি সদস্যের  হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছে একদল দুর্বৃত্তরা  Logo ঝালকাঠির নবগ্রাম কৃষি ব্যাংক ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে সরেজমিনে ডিজিএম Logo সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচারে জর্জরিত দেশের শিল্পাঙ্গন বিনোদন প্রতিবেদন Logo ইবি কারাতে ক্লাবের নেতৃত্বে নোমান-সাদিয়া Logo গৌরবের অষ্টম বর্ষে আলোর দিশার পদার্পণে থাকছে নানা আয়োজন Logo শিক্ষার্থীদের রিটেক সমস্যা সমাধানে গাফিলতির অভিযোগ যবিপ্রবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে  Logo নতুন ভবনেই বদলে যাবে সফিবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র”

নাফ নদীতে ভাসছে মিয়ানমারের শত শত রোহিঙ্গা !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:২২:১২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৬ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৫৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

মিয়ানমারের শত শত রোহিঙ্গা নাগরিক টেকনাফ ও উখিয়া সংলগ্ন নাফ নদীতে ভাসছে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তুমব্রু ২নং পিলারের কাছে বিজিপির ৮ থেকে ১০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করায় দিশেহারা হয়ে তারা নদীর পানিতে ঝাঁপ দিচ্ছে।

অনুপ্রবেশকারী কয়েকজন রোহিঙ্গা জানায়, নাফ নদীতে শত শত রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। রোহিঙ্গাদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত।

এদিকে, সীমান্তে সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান।

তিনি জানান, দুপুর সোয়া ১টার দিকে বিজিপি সীমান্তে রোহিঙ্গাদের লক্ষ্য করে তিন থেকে চার রাউন্ড গুলি ছোড়ে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে এক রাতে ৩০টি পুলিশ পোস্টে হামলার ঘটনার পর উত্তেজনা আর শঙ্কার মধ্যে কক্সবাজার ও বান্দরবান সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টায় রয়েছে।

উখিয়ার পালংখালী সীমান্ত দিয়ে শুক্রবার বাংলাদেশে প্রবেশের পর নাফ নদীর প্রায় চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীরে বসে আছে সহায় সম্বলহীন কয়েক হাজার মানুষ। তারা যাতে কক্সবাজারের ভেতরে ঢুকতে না পারে সেজন্য সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। আগের রাতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় আটক ১৪৬ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে মিয়ানমারে।

মিয়ানমার সরকারের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতের ওই হামলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ১২ সদস্যসহ অন্তত ৭১ জন নিহত হয়েছে।

এদিকে, রাখাইন রাজ্যের অবস্থা অত্যন্ত উত্তপ্ত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সেখানে চারদিকে কেবল সেনাবাহিনীর সদস্যদের দেখা যাচ্ছে। অনেক মানুষ মারা গেছে, লোকজন কাঁদছে। খুব খারাপের দিকে যাচ্ছে সব।

অন্যদিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী বলছে, রাখাইন থেকে স্থানীয়দের হেলিকপ্টারযোগে সরিয়ে নেয়া হবে। এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও অনেককে সরিয়ে নেবেন। স্থানীয়রা বলছেন, নিরাপত্তা বাহিনী ও রোহিঙ্গা মুসলিমদের মধ্যে সংঘর্ষে ছড়িয়ে পড়ায় সেখানে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর প্রচুর গাড়ি দেখা যাচ্ছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শেরপুরে নিখোঁজের তিন দিন পর কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার

নাফ নদীতে ভাসছে মিয়ানমারের শত শত রোহিঙ্গা !

আপডেট সময় : ০৬:২২:১২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৬ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

মিয়ানমারের শত শত রোহিঙ্গা নাগরিক টেকনাফ ও উখিয়া সংলগ্ন নাফ নদীতে ভাসছে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তুমব্রু ২নং পিলারের কাছে বিজিপির ৮ থেকে ১০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করায় দিশেহারা হয়ে তারা নদীর পানিতে ঝাঁপ দিচ্ছে।

অনুপ্রবেশকারী কয়েকজন রোহিঙ্গা জানায়, নাফ নদীতে শত শত রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। রোহিঙ্গাদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত।

এদিকে, সীমান্তে সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান।

তিনি জানান, দুপুর সোয়া ১টার দিকে বিজিপি সীমান্তে রোহিঙ্গাদের লক্ষ্য করে তিন থেকে চার রাউন্ড গুলি ছোড়ে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে এক রাতে ৩০টি পুলিশ পোস্টে হামলার ঘটনার পর উত্তেজনা আর শঙ্কার মধ্যে কক্সবাজার ও বান্দরবান সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টায় রয়েছে।

উখিয়ার পালংখালী সীমান্ত দিয়ে শুক্রবার বাংলাদেশে প্রবেশের পর নাফ নদীর প্রায় চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীরে বসে আছে সহায় সম্বলহীন কয়েক হাজার মানুষ। তারা যাতে কক্সবাজারের ভেতরে ঢুকতে না পারে সেজন্য সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। আগের রাতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় আটক ১৪৬ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে মিয়ানমারে।

মিয়ানমার সরকারের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতের ওই হামলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ১২ সদস্যসহ অন্তত ৭১ জন নিহত হয়েছে।

এদিকে, রাখাইন রাজ্যের অবস্থা অত্যন্ত উত্তপ্ত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সেখানে চারদিকে কেবল সেনাবাহিনীর সদস্যদের দেখা যাচ্ছে। অনেক মানুষ মারা গেছে, লোকজন কাঁদছে। খুব খারাপের দিকে যাচ্ছে সব।

অন্যদিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী বলছে, রাখাইন থেকে স্থানীয়দের হেলিকপ্টারযোগে সরিয়ে নেয়া হবে। এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও অনেককে সরিয়ে নেবেন। স্থানীয়রা বলছেন, নিরাপত্তা বাহিনী ও রোহিঙ্গা মুসলিমদের মধ্যে সংঘর্ষে ছড়িয়ে পড়ায় সেখানে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর প্রচুর গাড়ি দেখা যাচ্ছে।