নিউজ ডেস্ক:
কথিত আছে প্রাচীনকালে এদেশের সৌখিন জমিদারেরা লাখ টাকা খরচ করে বিড়ালের বিয়ে দিতেন। জমিদারি প্রথা বিলুপ্তির সাথে সাথে বিদায় নিয়েছে তাদের এ ধরনের কাণ্ড। এখন আর বিড়ালের বিয়ের খবর শোনা যায় না। তবে সম্প্রতি ইংল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর সেন্ট হেলেনের এক নারী মহা ধুমধাম করে বিড়ালের বিয়ে দিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন।
জমিদারেরা স্রেফ নিজেদের অর্থ আর প্রতিপত্তি জাহির করার জন্য লাখ টাকা খরচ করে বিড়ালের বিয়ে দিলেও মারিয়া লাইনা নামের ওই নারী বিড়ালের বিয়ে দিয়েছেন একটি অসুস্থ শিশুকে বাঁচানোর জন্য। শিশুটির নাম কেসি। পাঁচ বছর বয়সি ফুটফুটে এই শিশু মস্তিষ্কের দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত। যে শিশুটি এক সময় হেসে খেলে বেড়াতো, সে এখন বাকশক্তি হারিয়ে নির্বাক। প্রতি দুই সপ্তাহ পর পর তাকে এনজাইম ট্রিটমেন্টের জন্য লন্ডন শহরে নিতে হয়। মেয়ের এই জটিল রোগের চিকিৎসা করাতে গিয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে কেসির বাবা-মায়ের।
তাদের দুর্দশা দেখে এগিয়ে এসেছেন সেন্ট হেলেনার পশুপ্রেমী বলে পরিচিত মারিয়া লাইনা। স্পিইন্স এবং মগিস এই দুই প্রজাতি মিলিয়ে আটটি বিড়াল আছে তার। কেসি ও তার পরিবারের জন্য ভিন্ন কিছু করার তাগিদ থেকেই তিনি বন্ধুদের নিয়ে স্থানীয় একটি পানশালায় দুটি বিড়ালের বিয়ের আয়োজন করেন।
শর্ত ছিল যারা অদ্ভুত এই বিয়েতে উপস্থিত থাকবেন তাদের স্বেচ্ছায় কেসির জন্য কিছু অর্থ দিতে হবে। পানশালার মালিকও বিনা পয়সায় তার বাগান ছেড়ে দিয়েছেন বিয়ে আয়োজনের জন্য। পানশালার নিয়মিত ক্রেতা ছাড়াও শহরের বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন বিয়েতে। প্রত্যেকে সাধ্য মতো সাহায্যও করেছেন। সব মিলিয়ে একশত পাউন্ড সংগৃহীত হয়েছে।
স্থানীয় দৈনিক লিভারপুল ইকো’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মারিয়া লাইনা বলেন, ‘শহরের সকলেই কেসির অবস্থা জানেন। ফলে যে যেমন পেরেছে সাহায্য করেছে। হয়ত কাজটি অদ্ভুত এবং অর্থের পরিমাণ খুব বেশি নয়, তবে কেসিকে সাহায্য করার জন্য তিনি যেকোনো ধরনের অদ্ভুত কাজ করতে প্রস্তুত।