শিরোনাম :
Logo বীরগঞ্জে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ডিপিইও নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন। Logo টাকার জন্য হরিদাস বাবু’কে হয়রানী তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার অনুসন্ধানে প্রমাণ। Logo খুবির সঙ্গে গবেষণা সহযোগিতায় আগ্রহ জাপানি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের Logo শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে ট্রাকের ধাক্কায় এনজিও কর্মীর মৃত্যু Logo সাতক্ষীরায় রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ তরুণী, থানায় সাধারণ ডায়েরি Logo আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০২৫ উপলক্ষে কয়রায় র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo দর্শনা থানা পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযান, ৪ কেজি গাঁজাসহ আটক ১ Logo জীবননগরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২৫ উদযাপন Logo আইএফএডিকে বাংলাদেশের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার Logo চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ এলাকায় বিষাক্ত মদপানে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।

সমুদ্র পথে জেদ্দায় সুদানের হজ যাত্রীরা !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৭:৪০:৩১ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৯৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

আকাশপথ, স্থলপথের পাশাপাশি নৌপথেও শুরু হয়েছে হজ যাত্রীদের আগমন। আর দীর্ঘদিন ধরেই জেদ্দা সমুদ্র বন্দরটি  হজযাত্রীদের কাছে অনেক প্রাচীনতম বন্দর হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

এখনও চালু রয়েছে এই নৌবন্দরটি। যদিও বিমানের স্বল্প সময়ের ভ্রমণের ফলে নৌপথে হাজিদের যাতায়াত ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়েছে। তবে হাজার হাজার হজযাত্রী এখনো নৌপথ ব্যবহার করছেন। আর সুদান হজের জন্য প্রতিবছরই জেদ্দা নৌবন্দর ব্যবহার করে থাকে।

আর এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ আগস্ট (শুক্রবার) সুদান থেকে ৪৮০ জন হজযাত্রী নিয়ে নৌপথে প্রথম জাহাজ ‘মাওয়াদ্দাহ’ জেদ্দা (ইসলামিক পোর্টে) নৌবন্দরে পৌছেছে।

জেদ্দার বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং মদিনার প্রিন্স মুহাম্মদ বিন আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পর হজযাত্রীদের জন্য তৃতীয় বৃহত্তম প্রবেশ পথ হলো জেদ্দার ইসলামিক নৌবন্দর।

সুদান থেকে ৪৮০ হজযাত্রী বহনকারী জাহাজ ‘মাওয়াদ্দাহ’ গত শুক্রবার জেদ্দায় পৌঁছালে হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মারওয়ান সুলেইমানি এবং সুদানের রাষ্ট্রদূত আওয়াদ হুসেইন জারুক হজযাত্রীদের স্বাগত জানান।

জেদ্দা নৌবন্দরের মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল জালিলি জানান, ‘এ বছর নৌপথে সুদান থেকে ৩০টি জাহাজের মাধ্যমে ১৮ হাজার হজযাত্রীকে যাতায়াত সুবিধা প্রদান করবে। ’

নৌবন্দরেও হজযাত্রী স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্মী নিয়োগ করেছে। হজযাত্রীদের নিরাপত্তায় নৌবন্দরে পাসপোর্ট, বন্দরসেবাসহ অ্যাম্বুলেন্স, অগ্নিনির্বঅপক বাহিনী নিরাপত্তাকর্মীদের ব্যবস্থা রয়েছে।

সুদানের সুকিন নৌবন্দর থেকে এ হজযাত্রীরা জাহাজে করে জেদ্দা নৌবন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এক সময় এ সুকিন বন্দরটি পূর্ব আফ্রিকার প্রধান নৌবন্দর ছিল।

উল্লেখ্য যে, যদিও সময়ের পরিক্রমায় এখন বিমানে অল্প সময়ে হাজার মাইল পথ পাড়ি দেয়া সম্ভব। এক সময় ছিল যখন মানুষকে ১ বছর বা ৬ মাস আগ থেকেই হজের সফর শুরু করতে হয়েছিল। যা এখন অতীত।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বীরগঞ্জে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ডিপিইও নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন।

সমুদ্র পথে জেদ্দায় সুদানের হজ যাত্রীরা !

আপডেট সময় : ০৭:৪০:৩১ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

আকাশপথ, স্থলপথের পাশাপাশি নৌপথেও শুরু হয়েছে হজ যাত্রীদের আগমন। আর দীর্ঘদিন ধরেই জেদ্দা সমুদ্র বন্দরটি  হজযাত্রীদের কাছে অনেক প্রাচীনতম বন্দর হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

এখনও চালু রয়েছে এই নৌবন্দরটি। যদিও বিমানের স্বল্প সময়ের ভ্রমণের ফলে নৌপথে হাজিদের যাতায়াত ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়েছে। তবে হাজার হাজার হজযাত্রী এখনো নৌপথ ব্যবহার করছেন। আর সুদান হজের জন্য প্রতিবছরই জেদ্দা নৌবন্দর ব্যবহার করে থাকে।

আর এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ আগস্ট (শুক্রবার) সুদান থেকে ৪৮০ জন হজযাত্রী নিয়ে নৌপথে প্রথম জাহাজ ‘মাওয়াদ্দাহ’ জেদ্দা (ইসলামিক পোর্টে) নৌবন্দরে পৌছেছে।

জেদ্দার বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং মদিনার প্রিন্স মুহাম্মদ বিন আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পর হজযাত্রীদের জন্য তৃতীয় বৃহত্তম প্রবেশ পথ হলো জেদ্দার ইসলামিক নৌবন্দর।

সুদান থেকে ৪৮০ হজযাত্রী বহনকারী জাহাজ ‘মাওয়াদ্দাহ’ গত শুক্রবার জেদ্দায় পৌঁছালে হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মারওয়ান সুলেইমানি এবং সুদানের রাষ্ট্রদূত আওয়াদ হুসেইন জারুক হজযাত্রীদের স্বাগত জানান।

জেদ্দা নৌবন্দরের মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল জালিলি জানান, ‘এ বছর নৌপথে সুদান থেকে ৩০টি জাহাজের মাধ্যমে ১৮ হাজার হজযাত্রীকে যাতায়াত সুবিধা প্রদান করবে। ’

নৌবন্দরেও হজযাত্রী স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্মী নিয়োগ করেছে। হজযাত্রীদের নিরাপত্তায় নৌবন্দরে পাসপোর্ট, বন্দরসেবাসহ অ্যাম্বুলেন্স, অগ্নিনির্বঅপক বাহিনী নিরাপত্তাকর্মীদের ব্যবস্থা রয়েছে।

সুদানের সুকিন নৌবন্দর থেকে এ হজযাত্রীরা জাহাজে করে জেদ্দা নৌবন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এক সময় এ সুকিন বন্দরটি পূর্ব আফ্রিকার প্রধান নৌবন্দর ছিল।

উল্লেখ্য যে, যদিও সময়ের পরিক্রমায় এখন বিমানে অল্প সময়ে হাজার মাইল পথ পাড়ি দেয়া সম্ভব। এক সময় ছিল যখন মানুষকে ১ বছর বা ৬ মাস আগ থেকেই হজের সফর শুরু করতে হয়েছিল। যা এখন অতীত।