শিরোনাম :
Logo চাঁদপুরে কবরস্থ করতে দেওয়া শিশু মৃত নয়, জীবিত! Logo “শিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তনে চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা” – ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান Logo সিরাজগঞ্জে বসতবাড়ির জমি দখলের হুমকির অভিযোগে জিডি Logo  ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ  Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত

কবুতর বাড়াচ্ছে ডিভোর্সের হার !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:০৩:১৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৮ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৭০ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ইন্দোনেশিয়ার একটি প্রদেশে বেড়ে যাচ্ছে ডিভোর্সের হার। আর সেখানকার জনপ্রিয় কবুতর খেলার প্রতি মানুষের ভালোবাসাকেই ডিভোর্সের জন্য দায়ী করা হচ্ছে।

সেন্ট্রাল জাভা প্রদেশের পূর্বালিঙ্গা রিলিজিয়াস কোর্টের একজন কর্মকর্তা দেশটির সংবাদ মাধ্যম জাকার্তা পোস্টকে জানিয়েছেন, তাদের অফিসে জুলাই মাসেই অন্তত ৯০টি ডিভোর্সের পিটিশন হয়েছে। অথচ জুন মাসে এই সংখ্যাটা ছিল মাত্র ১৩।

কোর্ট-এর একজন কর্মকর্তা নূর আফলাহ বলছেন, যারা ডিভোর্সের পিটিশন করছেন তারা সবাই নারী। তারা অর্থনৈতিক বিষয়কে কারণ হিসেবে তুলে ধরে বলেছেন তাদের স্বামীরা কবুতর খেলা নিয়ে খুব বেশি পরিমাণে আসক্ত।

কবুতর খেলা ইন্দোনেশিয়ায় অত্যন্ত জনপ্রিয়। যেখানে প্রতিযোগীদের সাধারণত অর্থ পুরস্কার দেয়া হয় এবং এই খেলায় যে কবুতর প্রথম হয়, আশা করা হয় তাকে হাজার রুপিতে বিক্রি করা যাবে।

অভিযোগকারী নারীরা জানান, স্বামীরা সারাদিন তাদের কবুতর নিয়ে মেতে থাকে এবং সংসারের প্রতি একটুও মনোযোগ বা সময় না দেয়ার কারণে তাদের স্ত্রীরা অত্যন্ত রাগান্বিত। এছাড়া অর্থনৈতিক অবস্থাও এই পরিস্থিতি আরো কঠিন করে তুলেছে।

পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে বলেন নূর আফলাহ বলেন, পূর্বালিঙ্গায় অনেক নারী শ্রমিক আছে যাদের স্বামীরা বেকার। কিছুই করতে চায় না তারা। বেশিরভাগই ‘পাইলট’ হিসেবে পরিচিত। এখানে ‘পাইলট’ মানে বিমান উড়ানো নয়। এসব পুরুষ তাদের নিজেদের কবুতরদের খেলায় ভালো প্রতিযোগী বানানোর চেষ্টা মগ্ন থাকে।

এছাড়া কবুতর প্রতিযোগিতা নিয়ে যে জুয়া খেলা চলে সেটাও অনেক পরিবারের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণ।

একজন গ্রামবাসী সংবাদমাধ্যম জাকার্তা পোস্টকে জানিয়েছেন, প্রতিযোগিতায় কবুতর জয়ী হলে কিছু টাকা তার স্বামী তাকে দেয়, কিন্তু বেশিরভাগ সময় সিগারেটের টাকাও নিজের স্ত্রীর কাছ থেকে নেয় ওই ব্যক্তি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুরে কবরস্থ করতে দেওয়া শিশু মৃত নয়, জীবিত!

কবুতর বাড়াচ্ছে ডিভোর্সের হার !

আপডেট সময় : ০৬:০৩:১৪ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৮ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ইন্দোনেশিয়ার একটি প্রদেশে বেড়ে যাচ্ছে ডিভোর্সের হার। আর সেখানকার জনপ্রিয় কবুতর খেলার প্রতি মানুষের ভালোবাসাকেই ডিভোর্সের জন্য দায়ী করা হচ্ছে।

সেন্ট্রাল জাভা প্রদেশের পূর্বালিঙ্গা রিলিজিয়াস কোর্টের একজন কর্মকর্তা দেশটির সংবাদ মাধ্যম জাকার্তা পোস্টকে জানিয়েছেন, তাদের অফিসে জুলাই মাসেই অন্তত ৯০টি ডিভোর্সের পিটিশন হয়েছে। অথচ জুন মাসে এই সংখ্যাটা ছিল মাত্র ১৩।

কোর্ট-এর একজন কর্মকর্তা নূর আফলাহ বলছেন, যারা ডিভোর্সের পিটিশন করছেন তারা সবাই নারী। তারা অর্থনৈতিক বিষয়কে কারণ হিসেবে তুলে ধরে বলেছেন তাদের স্বামীরা কবুতর খেলা নিয়ে খুব বেশি পরিমাণে আসক্ত।

কবুতর খেলা ইন্দোনেশিয়ায় অত্যন্ত জনপ্রিয়। যেখানে প্রতিযোগীদের সাধারণত অর্থ পুরস্কার দেয়া হয় এবং এই খেলায় যে কবুতর প্রথম হয়, আশা করা হয় তাকে হাজার রুপিতে বিক্রি করা যাবে।

অভিযোগকারী নারীরা জানান, স্বামীরা সারাদিন তাদের কবুতর নিয়ে মেতে থাকে এবং সংসারের প্রতি একটুও মনোযোগ বা সময় না দেয়ার কারণে তাদের স্ত্রীরা অত্যন্ত রাগান্বিত। এছাড়া অর্থনৈতিক অবস্থাও এই পরিস্থিতি আরো কঠিন করে তুলেছে।

পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে বলেন নূর আফলাহ বলেন, পূর্বালিঙ্গায় অনেক নারী শ্রমিক আছে যাদের স্বামীরা বেকার। কিছুই করতে চায় না তারা। বেশিরভাগই ‘পাইলট’ হিসেবে পরিচিত। এখানে ‘পাইলট’ মানে বিমান উড়ানো নয়। এসব পুরুষ তাদের নিজেদের কবুতরদের খেলায় ভালো প্রতিযোগী বানানোর চেষ্টা মগ্ন থাকে।

এছাড়া কবুতর প্রতিযোগিতা নিয়ে যে জুয়া খেলা চলে সেটাও অনেক পরিবারের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণ।

একজন গ্রামবাসী সংবাদমাধ্যম জাকার্তা পোস্টকে জানিয়েছেন, প্রতিযোগিতায় কবুতর জয়ী হলে কিছু টাকা তার স্বামী তাকে দেয়, কিন্তু বেশিরভাগ সময় সিগারেটের টাকাও নিজের স্ত্রীর কাছ থেকে নেয় ওই ব্যক্তি।