জেনে নিন যে ৫ ব্যক্তির সঙ্গে কখনই তর্কে জড়ানো উচিত নয় !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:১৬:৪৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৫৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

তর্ক-বিতর্ক, মানুষের দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ। তবে অনেক সময় এ তর্ক বিতর্কই হয়ে দাঁড়ায় বড় কোনও ক্ষতির কারণ। এর কারণে মানুষের মাঝে হিংসা-বিদ্বেষ, আত্ম-অহমিকা, গোড়ামি-কপটতা এমনকি প্রাণহানির মতো মারাত্মক অপরাধ সংঘটিত হতেও দেখা যায়। তাই যতদূর সম্ভব তর্ক এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। আর এই৭ ব্যক্তির সাথে কখনই তর্ক করা উচিত নয়।

১. শিক্ষকের সাথে তর্কে কোনো ফল লাভ হয় না। শিক্ষকের কাজ জ্ঞান দান করা। শিক্ষার্থী সেই জ্ঞানকে বিনা বিচারে গ্রহণ করবে এমন নয়। কিন্তু শিক্ষাদানের কালে শিক্ষকের সসাথে তর্ক শিক্ষাকেই বিব্রত করে।

২. মা সর্বদাই তর্কের ঊর্ধ্বে। তিনিই প্রথম গুরু, তিনিই জীবনদাত্রী। তার সাথে তর্ক করা মানে নিজের অস্তিত্বের সাথে তর্ক করা। একই কথা প্রযোজ্য পিতার ক্ষেত্রেও। তিনও আদিগুরু। জনক। তার সাথে তর্ক করলে নিজেকেই অপমান করা হয়।

৩. একই ভাবে পুত্র বা কন্যার সাথে তর্কও অর্থহীন। যদি তেমন পরিস্থিতি আসে, যেখানে সন্তানের সঙ্গে তর্ক অনিবার্য, সেখানে চুপ করে যাওয়াই শ্রেয়। কারণ এই পরিস্থিতির স্রষ্টা আপনিই। আপনার শিক্ষার ত্রুটিই সন্তানকে বৃথা তার্কিক করে তুলেছে।

৪. বাসায় আগত অতিথির সাথে তর্ক করা ঠিক নয়। প্রাচীন ভারতে অতিথিকে দেবতাজ্ঞান করা হত। তাছাড়া, অতিথি ক্ষণিকের। তিনি যতটুকু সময় আপনার গৃহে আতিথ্য স্বীকার করছেন, সেই সময়টুকু তাঁর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করাটাই শ্রেয়।

৫. স্ত্রীও তর্কের ঊর্ধ্বে। কারণ তিনি একাধারে জননী, শিক্ষিকা ও সহচরী। তিনি আপানার জীবেনের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে। তার সাথে বৃথা তর্কে জড়িয়ে পড়া মানে নিজের জীবনকেই অর্থহীন প্রমাণ করা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জেনে নিন যে ৫ ব্যক্তির সঙ্গে কখনই তর্কে জড়ানো উচিত নয় !

আপডেট সময় : ১২:১৬:৪৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

তর্ক-বিতর্ক, মানুষের দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ। তবে অনেক সময় এ তর্ক বিতর্কই হয়ে দাঁড়ায় বড় কোনও ক্ষতির কারণ। এর কারণে মানুষের মাঝে হিংসা-বিদ্বেষ, আত্ম-অহমিকা, গোড়ামি-কপটতা এমনকি প্রাণহানির মতো মারাত্মক অপরাধ সংঘটিত হতেও দেখা যায়। তাই যতদূর সম্ভব তর্ক এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। আর এই৭ ব্যক্তির সাথে কখনই তর্ক করা উচিত নয়।

১. শিক্ষকের সাথে তর্কে কোনো ফল লাভ হয় না। শিক্ষকের কাজ জ্ঞান দান করা। শিক্ষার্থী সেই জ্ঞানকে বিনা বিচারে গ্রহণ করবে এমন নয়। কিন্তু শিক্ষাদানের কালে শিক্ষকের সসাথে তর্ক শিক্ষাকেই বিব্রত করে।

২. মা সর্বদাই তর্কের ঊর্ধ্বে। তিনিই প্রথম গুরু, তিনিই জীবনদাত্রী। তার সাথে তর্ক করা মানে নিজের অস্তিত্বের সাথে তর্ক করা। একই কথা প্রযোজ্য পিতার ক্ষেত্রেও। তিনও আদিগুরু। জনক। তার সাথে তর্ক করলে নিজেকেই অপমান করা হয়।

৩. একই ভাবে পুত্র বা কন্যার সাথে তর্কও অর্থহীন। যদি তেমন পরিস্থিতি আসে, যেখানে সন্তানের সঙ্গে তর্ক অনিবার্য, সেখানে চুপ করে যাওয়াই শ্রেয়। কারণ এই পরিস্থিতির স্রষ্টা আপনিই। আপনার শিক্ষার ত্রুটিই সন্তানকে বৃথা তার্কিক করে তুলেছে।

৪. বাসায় আগত অতিথির সাথে তর্ক করা ঠিক নয়। প্রাচীন ভারতে অতিথিকে দেবতাজ্ঞান করা হত। তাছাড়া, অতিথি ক্ষণিকের। তিনি যতটুকু সময় আপনার গৃহে আতিথ্য স্বীকার করছেন, সেই সময়টুকু তাঁর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করাটাই শ্রেয়।

৫. স্ত্রীও তর্কের ঊর্ধ্বে। কারণ তিনি একাধারে জননী, শিক্ষিকা ও সহচরী। তিনি আপানার জীবেনের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে। তার সাথে বৃথা তর্কে জড়িয়ে পড়া মানে নিজের জীবনকেই অর্থহীন প্রমাণ করা।