যে গ্রামে গেলে কেউ জীবিত ফিরে আসে না !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:০৪:১১ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০১৭
  • ৭৪৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

রাশিয়ায় উত্তর ওশেটিয়ার একটি নির্জন এলাকায় ডারগাভস নামে একটি গ্রাম রয়েছে যেখান থেকে কেউ জীবিত ফিরে আসে না। লোকে গ্রামটিকে মৃতদের শহর বলে ডাকে। গ্রামটিকে ঘিরে রয়েছে পাঁচটি খাড়া পাহাড়। আর গ্রামের ঘরগুলো সব পাহাড়ি পাথরে তৈরি করা হয়েছে।

গ্রামটি দেখতেও খুবই সুন্দর। কিন্তু কেউ এই গ্রামে যেতে সাহস পান না। কারণ সেখানে শুধু মৃতদেহরাই বাস করে। বিশ্বাস করা হয় যে স্থানীয় মানুষরা ওই গ্রামের ঘরগুলোতে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের মৃতদেহগুলো রেখে আসেন।

পাহাড়ি এই গ্রামে এমন অসংখ্য ভবন আছে যেগুলোতে ভূগর্ভস্থ ঘরও আছে। এই গ্রামের কয়েকটি ভবনে চারটি পর্যন্ত তলা আছে। এটি আসলে বিশাল এক গোরস্থান। এই ভবনগুলোর প্রতিটি তলায় মৃতদেহ কবর দেওয়া হয়। গ্রামটিতে প্রায় ৯৯টি ভবন আছে। আজ থেকে প্রায় পাঁচ শ বছর আগে ১৬ শতক থেকেই এই ভবনগুলোতে মৃতদেহ করব দেওয়া হতো।

স্থানীয়দের বিশ্বাস যারা একা একা এই ভবনে যায় তারা আর কখনো জীবিত ফিরে আসে না। আর এ কারণেই এই গ্রামে কখনো কোনো পর্যটকও যাননি। এ ছাড়া পাহাড়ি এলাকা হওয়ার কারণে এখানকার আবহাওয়া ক্ষণেক্ষণেই বদলে যায়। যা ভ্রমণকারীদের জন্য উপযোগী নয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

যে গ্রামে গেলে কেউ জীবিত ফিরে আসে না !

আপডেট সময় : ০২:০৪:১১ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

রাশিয়ায় উত্তর ওশেটিয়ার একটি নির্জন এলাকায় ডারগাভস নামে একটি গ্রাম রয়েছে যেখান থেকে কেউ জীবিত ফিরে আসে না। লোকে গ্রামটিকে মৃতদের শহর বলে ডাকে। গ্রামটিকে ঘিরে রয়েছে পাঁচটি খাড়া পাহাড়। আর গ্রামের ঘরগুলো সব পাহাড়ি পাথরে তৈরি করা হয়েছে।

গ্রামটি দেখতেও খুবই সুন্দর। কিন্তু কেউ এই গ্রামে যেতে সাহস পান না। কারণ সেখানে শুধু মৃতদেহরাই বাস করে। বিশ্বাস করা হয় যে স্থানীয় মানুষরা ওই গ্রামের ঘরগুলোতে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের মৃতদেহগুলো রেখে আসেন।

পাহাড়ি এই গ্রামে এমন অসংখ্য ভবন আছে যেগুলোতে ভূগর্ভস্থ ঘরও আছে। এই গ্রামের কয়েকটি ভবনে চারটি পর্যন্ত তলা আছে। এটি আসলে বিশাল এক গোরস্থান। এই ভবনগুলোর প্রতিটি তলায় মৃতদেহ কবর দেওয়া হয়। গ্রামটিতে প্রায় ৯৯টি ভবন আছে। আজ থেকে প্রায় পাঁচ শ বছর আগে ১৬ শতক থেকেই এই ভবনগুলোতে মৃতদেহ করব দেওয়া হতো।

স্থানীয়দের বিশ্বাস যারা একা একা এই ভবনে যায় তারা আর কখনো জীবিত ফিরে আসে না। আর এ কারণেই এই গ্রামে কখনো কোনো পর্যটকও যাননি। এ ছাড়া পাহাড়ি এলাকা হওয়ার কারণে এখানকার আবহাওয়া ক্ষণেক্ষণেই বদলে যায়। যা ভ্রমণকারীদের জন্য উপযোগী নয়।