সামনেই বিয়ে,পাশ করিয়ে দিন স্যার,খাতায় আর্জি ছাত্রীর !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:৪৬:৫৫ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৮ মে ২০১৭
  • ৭৪৮ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

কথা পাকাপাকি। পরীক্ষায় পাশ করলেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবে সে। কিন্তু বিয়ে নিয়ে কয়েকদিন যে দৌড়ঝাপ গেছে তাতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিটাও ভেস্তে গেছে। পরীক্ষার হলে বসে দেখলো প্রশ্নও কমন পড়েনি। তা হলে উপায়? পরীক্ষার খাতায় কাতর আর্জি, ‘সামনেই বিয়ে, পাশ করিয়ে দিন স্যার। ‘ অদ্ভুত এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশ বোর্ডের সাম্প্রতিক একটি পরীক্ষায়।

পরীক্ষার খাতায় অবশ্য এই ধরনের অনুরোধের ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও বহু বার বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষায় এই ঘটনা ঘটেছে। পাশ করিয়ে দেওয়ার আর্জিতে কোথাও লেখা থাকে বিয়ে ভেঙে যাওয়ার কথা, তো কেউ আবার লেখেন চাকরি না পাওয়ার আশঙ্কার কথা, কেউ লেখেন স্বজন বিয়োগের কথা। কেউ আবার পরীক্ষার খাতার সঙ্গে ৫০-১০০ টাকার নোট অবধি লাগিয়ে দেয়।

উত্তরপ্রদেশে এই সমস্যাটা একটু বেশিই। তবে এ বারের আর্জিটা একটু আলাদা। খাতার লেখাটিও অভিনব। তাতে লেখা রয়েছে, ”স্যার ম্যয় এক লড়কি হুঁ ! মেরি শাদি ২৮ জুন কো হ্যয়, মুঝে পাশ কর দেনা! নেহি তো ঘর বালে গুসসে মে রেহেঙ্গে!। ”  লখনউ এর জেলা স্কুল পরিদর্শক মহেশকুমার সিংহ বলছেন, এই ধরনের ছল চাতুরিতে কোনও কাজের কাজ হয় না। শিক্ষকরা পেশাদার, তাদের কাজই খুঁটিয়ে পরীক্ষার খাতা দেখা। আমরা এই ধরনের কাজকে উৎসাহ দিই না।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সামনেই বিয়ে,পাশ করিয়ে দিন স্যার,খাতায় আর্জি ছাত্রীর !

আপডেট সময় : ১২:৪৬:৫৫ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৮ মে ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

কথা পাকাপাকি। পরীক্ষায় পাশ করলেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবে সে। কিন্তু বিয়ে নিয়ে কয়েকদিন যে দৌড়ঝাপ গেছে তাতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিটাও ভেস্তে গেছে। পরীক্ষার হলে বসে দেখলো প্রশ্নও কমন পড়েনি। তা হলে উপায়? পরীক্ষার খাতায় কাতর আর্জি, ‘সামনেই বিয়ে, পাশ করিয়ে দিন স্যার। ‘ অদ্ভুত এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশ বোর্ডের সাম্প্রতিক একটি পরীক্ষায়।

পরীক্ষার খাতায় অবশ্য এই ধরনের অনুরোধের ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও বহু বার বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষায় এই ঘটনা ঘটেছে। পাশ করিয়ে দেওয়ার আর্জিতে কোথাও লেখা থাকে বিয়ে ভেঙে যাওয়ার কথা, তো কেউ আবার লেখেন চাকরি না পাওয়ার আশঙ্কার কথা, কেউ লেখেন স্বজন বিয়োগের কথা। কেউ আবার পরীক্ষার খাতার সঙ্গে ৫০-১০০ টাকার নোট অবধি লাগিয়ে দেয়।

উত্তরপ্রদেশে এই সমস্যাটা একটু বেশিই। তবে এ বারের আর্জিটা একটু আলাদা। খাতার লেখাটিও অভিনব। তাতে লেখা রয়েছে, ”স্যার ম্যয় এক লড়কি হুঁ ! মেরি শাদি ২৮ জুন কো হ্যয়, মুঝে পাশ কর দেনা! নেহি তো ঘর বালে গুসসে মে রেহেঙ্গে!। ”  লখনউ এর জেলা স্কুল পরিদর্শক মহেশকুমার সিংহ বলছেন, এই ধরনের ছল চাতুরিতে কোনও কাজের কাজ হয় না। শিক্ষকরা পেশাদার, তাদের কাজই খুঁটিয়ে পরীক্ষার খাতা দেখা। আমরা এই ধরনের কাজকে উৎসাহ দিই না।